সুন্দরী পরগাছা বনাম শ্রমজীবী নারী
অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ মিলিয়ে কৃষিতে নারী কৃষকের হার ৪৩ শতাংশ। তাদের পরিচর্যায় আঙ্গিনায় বেড়ে উঠে শাকসবজি। পরিবারের সদস্যদের সাথে তারা ক্ষেতে ফসল বুনে, ফসল কাটে। প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবহনেও নারীরা এগিয়ে আছে পুরুষের মতোই। বিশ্বব্যাপী যে পরিমাণ ফসল উৎপাদিত হয়, তার মোট ৮০% আসে পারিবারিক কৃষি থেকে। গৃহস্থালির কাজ আর রান্না ছাড়াও পরিবারের শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ সদস্যদের দেখাশোনার পরও কৃষিতে নারীরা যেভাবে সরাসরি অংশগ্রহণ করে চলেছে, তাতে খাদ্য নিরাপত্তায় নারীর অবদান অপরিসীম। ফিলিপাইনে ২০১৮ সালে যখন চালের মূল্য বৃদ্ধি পেলো, তখন সরকার 'রাইস টেরিফিকেশন ল' পাস করে। এই আইনের মাধ্যমে বাইরে থেকে চাল আমদানির সকল বাধা শেষ হয়। যেহেতু ফিলিপাইনের প্রধান কৃষিপণ্য চাল এবং প্রধান খাবার ভাত, তাই বিপাকে পড়ে ধানচাষীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের ধান চাষ বাদ দিয়ে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকতে হয়। দেশটির কৃষকদের বড় একটি অংশ নারী হওয়ায় পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নারীরা এই সংগ্রামের পথিক হয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন বাজার দখলের মতো নতুন ধরনের ফসল উৎপাদনের ঝুঁকি নিয়ে নারীরাই সাফল্য দেখিয়েছে বেশি। গ্রামীণ অঞ্চলের কৃষিক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য বিশ্বব্যাপী নির্মম বাস্তবতা। পারিবারিক কৃষি এই বৈষম্য কমিয়ে আনতে কাজ করেছে। তাইওয়ানে পারিবারিক কৃষি পারিবারিক বন্ধনের নতুন দ্বারপ্রান্ত খুলে দিয়েছে। এই কৃষির মাধ্যমেই তাদের মধ্যে লিঙ্গ সমতার অনুশীলন হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের কাছে নারীদের সম্মান বাড়ছে, নতুন প্রজন্মও শিখছে নারীর প্রতি নতুন ধারণা নিয়ে বেড়ে উঠা। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ প্রতি বছর বাড়ছে। শহরমুখো নারীরা আসছে শিল্পখাতে। তারপরও নারীদের প্রধান কাজের খাত এখনও কৃষি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, দেশে কৃষিকাজে নিয়োজিত শ্রমশক্তির সংখ্যা ২ কোটি ৫৬ লাখ। এর মধ্যে নারী ১ কোটি ৫ লাখের বেশি। অথচ জাতীয়ভাবে নারী কৃষকদের 'কৃষক' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। কৃষিকাজের ২১টি ধাপের মধ্যে নারীরা ১৭টি ধাপের কাজ করে। বাড়ির আঙ্গিনায় শাকসবজির চাষ কিংবা গবাদিপশুর যত্ন থেকে শুরু করে ক্ষেতের ফসল বোনা, কাটা এবং পরিবহন- সবকিছুতেই নারীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ রয়েছে। এসব নারী কৃষকরা খাদ্য উৎপাদন নিয়ে লড়ছে, দেশের কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছে। ভৌগলিক অবস্থানের বিচারে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি স্বীকার। যার ধারাবাহিকতায় দেশের নিম্নাঞ্চলগুলোতে প্রতি বছর বন্যা, নদী ভাঙনের মতো ঘটনা ঘটে। ফসলের ক্ষেত, বাজার সবকিছুই তখন পানির নিচে। তারপরও নারীরা ঠিকই নিজেদের মতো করে বন্যা পূর্ববর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। শুকনো কাঠ, চাল, ডাল, শুকনো খাবার- সবকিছুর অগ্রীম জোগাড় রাখে। এই দুর্যোগের সময়ও পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দেয়। পাহাড়ি অঞ্চল; বিশেষত থানচি, সাজেক, রুমা এলাকায় যে বছর জুমে ইঁদুরের আক্রমণে ফলন ভালো হয়না সেই বছর খাদ্য সঙ্কটে পড়ে স্থানীয়রা। সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ের ত্রাণ সামগ্রী দুর্গম এলাকাতে যতক্ষণে পৌঁছে, ততদিন না খেয়ে থাকলে মারা যেতে পারে কয়েকশ মানুষ। এমন সময়ে তাদের খাবারের তালিকায় থাকে বন্য ফল কিংবা সবজি, বিশেষ করে আলু। বেশিরভাগ সময় নারীরাই এগুলো জোগানের ব্যবস্থা করে। সারাবিশ্বে কোটি কোটি মানুষের খাদ্য নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাওয়া এসব নারী কৃষকরাই ভুগছে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায়, অপুষ্টিজনিত সমস্যায়। সামাজিক অবস্থান, দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব- সবকিছুই নারীর পুষ্টিবিষয়ক সঙ্কটের জন্য দায়ী। বিশ্বজুড়ে গর্ভবতী মোট নারীর ৫০ শতাংশ রক্তশূন্যতায় ভুগছে। অনুন্নত দেশগুলোতে অন্ততপক্ষে ১২০ মিলিয়ন নারী স্বল্প ওজনের সমস্যায় ভুগছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই দক্ষিণ এশিয়ার। জলবায়ুর পরিবর্তন, দারিদ্রতার হার বৃদ্ধি, যুদ্ধ-বিগ্রহ, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা- সবকিছু মিলিয়ে ক্রমশ খাদ্য সঙ্কট বাড়ছে। এখনও বাংলাদেশের ৬০% নারী অপুষ্টিজনিত জতিলতায় ভুগছে। গর্ভবতী নারীদের খাদ্যাভ্যাস, কিশোরীর নারীস্বাস্থ্য- সবকিছুতেই অবহেলা প্রকট। যে কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ নারী ভোগে রক্তশূন্যতায়। দেশজুড়ে এই পরিমাণ শতকরা ৪৪%। যদিও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তায় বেশ অগ্রগতি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় সবার তলানিতে।দেশের অর্ধেকের বেশি নারী অপুষ্টিতে ভুগছে বলে খর্বতা সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। হাওড় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি কম ওজন নিয়ে খর্বাকৃতির বাচ্চার জন্ম হয়। শুধু হাওড় অঞ্চল নয়, দেশব্যাপীই এই সমস্যা প্রকট। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে খর্বাকৃতির শিশু জন্মের হার এখনও বেশি। কারণ তাদের মায়েদের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়না। শহর অঞ্চলে নিম্ন আয়ের নারীরা নিজেদের জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারেনা। তাই শহরেও নারীর স্বাস্থ্য প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়ছে। পারিবারিক কৃষিতে নারীদের জন্য কোনো মজুরির ব্যবস্থা নেই। বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানাচ্ছে, কৃষিকাজকে নারীর প্রত্যাহিক কাজের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে তাদের মজুরী দেয়ার কথা চিন্তা করা হয়না। অথচ খাদ্য নিরাপত্তায় নারীরাই সবচেয়ে বেশি শ্রম দিচ্ছে।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে মাত্র ৪% নারী শ্রমশক্তির অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা ২০১৬ সালের এক পরিসংখ্যান অনুসারে শতকরা ৩৫.৬%। অন্যদিকে ১৯৭৪ সালে ৮০.৪% পুরুষ শ্রমশক্তিতে ছিলো, যা ২০১৬ সালে ৮১.৯% হয়। শহরের তুলনায় গ্রামের নারীদের কর্মক্ষেত্রে যোগদানের অনুপাত বেশি। সেই তুলনায় নারীদের মজুরি বা বেতন বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সমান সময় প্রদান ও সমান খাটুনির পরও কর্মক্ষেত্রে নারীদের এই বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে পুরুষদের গড় আয় ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা হলেও নারীদের গড় আয় মাত্র ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ নারী সাধারণত গৃহস্থালির অবৈতনিক কাজগুলো পুরুষদের তুলনায় বেশি করে থাকে। এসব কাজের চাপে অনেক সময় নারীদের বৈতনিক চাকরির সাথে সমঝোতা করে নিতে হয়। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেকে ইচ্ছা করে কম বেতনের চাকরি নেয় যাতে পারিবারিক দায়িত্ব পালন করতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকে না। তাই তারা আয়ের দিক থেকেও এগিয়ে থাকে নারীদের তুলনায়। অনেক নারী শিক্ষক, নার্স হিসেবে কাজ করে বা এমন কোনো চাকরি করে যেখানে কম সময় থাকা লাগে বা সীমিত দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফলশ্রুতিতে তাদের বেতন যেসকল পুরুষ প্রকৌশলী, সার্জন হিসেবে কিংবা কোনো কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মচারি হিসেবে কাজ করে তাদের তুলনায় কম হয়ে থাকে। নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য এবং জব ফ্লেক্সিবিলিটির মধ্যকার এই সম্পর্ক ক্লডিয়া গোল্ডিন ‘এ গ্র্যান্ড জেন্ডার কনভারজেন্স: ইটস লাস্ট চ্যাপ্টার’ আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন।
https://www.aeaweb.org/articles?id=10.1257/aer.104.4.1091
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করে কয়েকটি মূল ফ্যাক্টর বের করেন, যা এই বৈষম্যের পেছনে মূলত কাজ করে থাকে। ফ্যাক্টরগুলো কম-বেশি সব দেশে খাটানো সম্ভব। অনেক নারী প্রায়ই পার্ট টাইম চাকরি করতে চায় কিংবা ফুল-টাইম চাকরি হলেও যে চাকরিতে থেকে পরিবারকে বেশি সময় দেয়া যায় বা পারিবারিক দায়িত্ব বিনা বাধায় পালন করা যায় সেরকম কিছু তারা বেছে নিচ্ছে। বাংলাদেশে কর্মরত নারী-পুরুষদের মধ্যে ১০% নারী এবং শুধুমাত্র ৪% পুরুষ পার্ট-টাইম চাকরি করে থাকে। তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, টেলিকমিউনিকেশন, পরিবহন, ব্যাংকিং এবং ইনসুরেন্স সেক্টরে নারীদের অবদান পরিলক্ষিত হয়। উচ্চশিক্ষার কারণে চাকরির বাজারে উচ্চপর্যায়ে চাকরি পাচ্ছে নারীরা। তবে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে বা উচ্চপর্যায়ের কোনো পদে নারীদের অংশগ্রহণ সন্তোষজনক নয়। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশে একজন পুরুষ যত আয় করে তার শতকরা ৯৪ ভাগ আয় করে একজন নারী। চাকরির সেক্টর ভেদে এই অনুপাত সমান নয়। আর মজুরি বৈষম্য তো সব ক্ষেত্রে আছেই। বাংলাদেশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। তবে সুপারভাইজার পদে নারীদের বেশি দেখা যায়না। ফ্যাক্টরির বড় বড় পদগুলোর বেশিরভাগ পুরুষদের হাতে থাকে। শ্রমিক হিসেবে অনেক নারী যোগদান করলেও গড় মজুরি হিসাব করলে পুরুষদের তুলনায় নারীরা পিছিয়ে যায়। বাংলাদেশে যেসকল নারী শ্রমশক্তির অন্তর্ভুক্ত, তাদের শতকরা ৮৯ ভাগ অনানুষ্ঠানিক সেক্টরগুলো থেকে আয় করে। এসব সেক্টরের মধ্যে রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন ব্যবসা ইত্যাদি। তারা আসলেই কত আয় করছে সেই উপাত্ত বের করা কঠিন। কেননা বিষয়টি পুরোপুরি ব্যক্তিগত উদ্যোগে করা হচ্ছে। তাছাড়া এসব সেক্টর থেকে প্রাপ্ত আয় সাধারণত অনেক বেশি হয় না। আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভালো ভালো পদে কর্মরত ব্যক্তিদের সাথে তুলনা করলে তা প্রায়শই কম। উচ্চপদে নারীরা যোগদান করলেও সেই অনুপাত পুরুষদের তুলনায় অনেকাংশে কম। নারীদের মধ্যে মাত্র ৪% উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে, যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান ৮.২%। যেসব সেক্টরে বেতন কম সেসব সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণও বেশি। আর যেখানে বেতনের পরিমাণ বেশি, সেসব ক্ষেত্রে নারীদের যোগদানের অনুপাত কম। একজন নারী যখন গর্ভবতী হয়, তখন তার মাতৃত্বকালীন ছুটির প্রয়োজন হয়। চাকরিক্ষেত্রে যথেষ্ট ছুটির অভাব বা পরবর্তীতে সন্তানের দেখাশোনা করার জন্য কেউ না থাকায় বা দিবাযত্ন কেন্দ্রের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় নারীদের চাকরি ছাড়তে হয়। আবার না ছাড়লে যতটা সম্ভব বড়সড় দায়িত্ব নেয়া থেকে দূরে থাকে অনেকে। মাতৃত্বকালীন সময়ে বা এর পরবর্তী সময়ে চাকরিক্ষেত্রে নারীদের যে পেনাল্টি দিতে হয় তা ‘দ্য মাদারহুড পেনাল্টি’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশে বা উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর আরেকটি সমস্যা হলো এসব দেশে শিশুদের জন্য দিবাযত্নকেন্দ্রের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। অফিসেও এরকম কোনো ব্যবস্থা থাকে না, ফলে সন্তানকে ঘরে একা রেখে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া হয়ে ওঠে না। যদিও অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন ছুটি বেশি, তবে পরবর্তী সময়ে সন্তানের দেখাশোনা করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় নারীদের চাকরি ছাড়ার পরিমাণ কমানো সম্ভবপর হচ্ছে না। বাংলাদেশে সরকারিভাবে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এই ছুটি মাত্র তিন মাস। চীনে ১৪ সপ্তাহ। বাংলাদেশে হাতেগোনা এরকম কয়েকটি কেন্দ্র রয়েছে; তবে এগুলোর খরচ যেমন বেশি, তেমনি এগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারিভাবে কোনো পদক্ষেপও নেয়া হয়না। চাকরিক্ষেত্রে বা পাবলিক পরিবহনগুলোতে প্রায়ই হেনস্তার শিকার হয় নারীরা। এজন্য অনেকেই সন্ধ্যায় ও রাতে অফিসের কাজ করতে চায় না এবং অফিস যদি বাসা থেকে দূরে হয় তাহলে যাতায়াতের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অনেকে চাকরিটা আর করে না। অনেক সময় নিরাপদ পরিবেশের অভাব চাকরিক্ষেত্রে নারীদের যোগদান কম হওয়ার পেছনে দায়ী থাকে। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় সন্তানের পরিচর্যার দায়িত্ব শুধুমাত্র মায়ের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। পারিবারিক সকল দায়িত্ব ও কর্তব্যের দায়ভারও শুধুমাত্র নারীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। তখন সামাজিক ও পারিবারিক চাপে চাকরির সুযোগ থাকলেও তা আর কাজে লাগানো যায় না।
Comments