পরবর্তী টার্গেট তাজিকিস্তান


 

সোভিয়েত তাজিকিস্তানের শাসকশ্রেণির সিংহভাগ সদস্য আসতো প্রজাতন্ত্রটির খুজান্দ অঞ্চল থেকে। প্রজাতন্ত্রটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্যদের অধিকাংশ আসতো কুলোব অঞ্চল থেকে। তাজিকিস্তান স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পরও সোভিয়েত আমলের ধর্মনিরপেক্ষ এবং কমিউনিস্ট ভাবধারার অনুসারী শ্রেণি রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। ১৯৯৩ সালে সরকারবিরোধী দলগুলো 'সম্মিলিত তাজিক বিরোধীদলজোট গঠন করে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখে।

https://en.wikipedia.org/wiki/United_Tajik_Opposition

আফগানিস্তানের বিভিন্ন ইসলামপন্থী দল তাজিক জঙ্গীদের নানাভাবে সহায়তা প্রদান করেছিল। তাছাড়া সৌদি আরব ও আল-কায়েদার সমর্থন তো ছিলই।

https://en.wikipedia.org/wiki/Tajikistani_Civil_War

রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান কাজাখস্তান সমর্থন প্রদান করেছিল তাজিকিস্তান সরকারকে। তাজিকিস্তানে ইসলামপন্থী সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে এই রাষ্ট্রগুলোর ইসলামপন্থী জঙ্গীরা তাজিকিস্তানকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতো এবং আফগানিস্তান থেকে তাজিকিস্তানের মধ্য দিয়ে আফগান অন্যান্য জঙ্গীরা মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোতে রাশিয়ায় অনুপ্রবেশ করতো। তাজিকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের ,৩৫৭ কি.মি. দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এবং এই সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানে অবস্থিত ঘাঁটিগুলো থেকে তাজিক জঙ্গীরা তাজিকিস্তানে প্রবেশ করে তাজিকিস্তানের সরকারি বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালাতো। সীমান্ত পাহারা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ সৈন্য তাজিকিস্তানের সরকারের হাতে ছিল নাতাদের সীমিত সংখ্যক সৈন্য তাজিকিস্তানের অভ্যন্তরে বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। তাজিক সরকারের অনুরোধে রাশিয়া তাজিক-আফগান সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং রুশ সীমান্তরক্ষীদের সীমান্ত বরাবর মোতায়েন করে। তাজিকিস্তানের গৃহযুদ্ধ চলাকালে মস্কো রাষ্ট্রটিতে ,০০০-২৫,০০০ সৈন্য মোতায়েন করেছিল এবং এদের বড় একটি অংশ ছিল সীমান্তরক্ষী। আফগানিস্তানে সোভিয়েত সৈন্যরা আফগান জঙ্গীদের বিরুদ্ধে প্রায় বছর যুদ্ধে লিপ্ত ছিল এবং এই জঙ্গীদের একটি অংশ এসেছিল আফগান তাজিকদের মধ্য থেকে। ১৯৯২-১৯৯৭ সালে সংঘটিত তাজিক যুদ্ধে রুশ সৈন্যরা তাজিক জঙ্গীদের সঙ্গে প্রায় বছর যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। রুশ সীমান্তরক্ষীরা তাজিক-আফগান সীমান্তে বেশ কয়েকটি 'জাস্তাভাগড়ে তুলেছিল। রুশ ভাষায় 'জাস্তাভা' অর্থ 'দূরবর্তী ঘাঁটি'। জাস্তাভাগুলোর উদ্দেশ্য ছিল তাজিক-আফগান সীমান্ত দিয়ে তাজিক আফগান জঙ্গীদের অনুপ্রবেশ রোধ করা, উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে অস্ত্রশস্ত্র মাদকদ্রব্য চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সীমান্ত অঞ্চলে সক্রিয় তাজিক জঙ্গী দলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা। আফগান যুদ্ধের সময় আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে সোভিয়েত সৈন্যরা অনুরূপ বহু 'জাস্তাভা' স্থাপন করেছিল এবং এগুলোর ওপর আফগান জঙ্গীরা আক্রমণ চালাতো। তাজিক-আফগান সীমান্তের রুশ জাস্তাভাগুলোর ওপর তাজিক এবং আফগান জঙ্গীরা আক্রমণ চালাতো এবং ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত রুশ সীমান্তরক্ষীরা জঙ্গীদের প্রতিটি আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। তাজিক-আফগান সীমান্তবর্তী 'জাস্তাভা-১২' তে মোতায়েনকৃত ছিল ৪৭ জন রুশ সীমান্তরক্ষী এবং একজন বেসামরিক বিশেষজ্ঞ। ঘাঁটিটিতে কোনো ভারী সামরিক সরঞ্জাম ছিল না, কেবল একটি হালকা অস্ত্রে সজ্জিত 'আইএফভি' ছিল।

https://en.wikipedia.org/wiki/Infantry_fighting_vehicle

ঘাঁটিটির সৈনিকদের কাছে কিছু অ্যাসল্ট রাইফেল, কয়েকটি মেশিনগান এবং ১টি এজিএস-১৭ গ্রেনেড লঞ্চার ছাড়া আর কিছু ছিল না। 

https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_assault_rifles

https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_machine_guns

https://en.wikipedia.org/wiki/AGS-17

১৯৯৩ সালের জুলাইয়ের প্রথম দিক থেকে তাজিক জঙ্গীরা পার্শ্ববর্তী পাহাড়গুলো থেকে ঘাঁটিটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছিল। রুশ সীমান্তরক্ষীরা চাইলেই তাদের ওপর গুলি চালাতে পারতো; কিন্তু গ্যারিসন সদর দপ্তর থেকে তাদের কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, কোনোরকম উস্কানি ছাড়া যাতে সীমান্তরক্ষীরা গুলি না ছোঁড়ে। আফগানদের একটি প্রতিনিধি দল ঘাঁটিটিতে এসেছিল এবং রুশ সীমান্তরক্ষীদের আশ্বস্ত করেছিল যে, তাদের ওপর কোনো আক্রমণ চালানো হবে না। ১৯৯৩ সালের ১২ জুলাই গ্যারিসন সদর দপ্তর থেকে সীমান্তরক্ষীদের নির্দেশ দেয়া হয়, ঘাঁটির সীমানার বাইরে যে ফায়ারিং পয়েন্টগুলো তারা স্থাপন করেছে সেগুলো যেন সরিয়ে নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে ঘাঁটিটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই ভোর ৪টায় তাজিক আফগান জঙ্গীরা জাস্তাভা-১২ এর ওপর আক্রমণ চালায়।

https://www.rbth.com/history/328921-black-tuesday-how-russian-border-troops-fought-terrorists/amp

আক্রমণকারী দলটিতে প্রায় ৪০০ জন জঙ্গী ছিল, যাদের মধ্যে প্রায় ২৫০ জন তাজিক এবং প্রায় ১৫০ জন আফগান। এই আফগানরা ছিল আফগান সেনাবাহিনীর ৫৫তম পদাতিক ডিভিশনের অংশ। তাজিক জঙ্গীদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলো কোরি হামিদুল্লো নামক এক জঙ্গী কমান্ডার। তাজিক আফগানরা মর্টার, মেশিনগান, গ্রেনেড লঞ্চার স্নাইপার রাইফেলে সুসজ্জিত ছিল। তারা পার্শ্ববর্তী পাহাড়গুলো থেকে ঘাঁটিটির ওপর আক্রমণ চালায়। রুশ সীমান্তরক্ষীরা এই আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিল না। আক্রমণের প্রথম পর্যায়ে তাজিক আফগানরা মর্টার ব্যবহার করে ঘাঁটিতে থাকা একমাত্র সাঁজোয়া যানটিকে অকেজো করে দেয়। সীমান্তরক্ষীদের কাছে থাকা একমাত্র গ্রেনেড লঞ্চারটি যুদ্ধের সময় অকার্যকর হয়ে পড়ে। তাজিক আফগানরা ঘাঁটিটি ঘিরে ফেলে এবং সীমান্তরক্ষীরা তাদের ব্যারাকের মধ্যে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়। ঘাঁটিটির ওপর প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ শুরু হয়, এর জবাব দেয়ার মতো কোনো ভারী অস্ত্র সীমান্তরক্ষীদের কাছে ছিল না। একজন সীমান্তরক্ষী তাদের সদর দপ্তরের কাছে সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়। কয়েক ঘণ্টা পর গোলাবর্ষণ স্তিমিত হয়ে আসে এবং সংঘর্ষটি প্রলম্বিত গোলাগুলিতে রূপ নেয়। সীমান্তরক্ষীরা ব্যারাকের মধ্য থেকে যুদ্ধ করছিল এবং তাদের গোলাবারুদের ডিপোটি ছিল বাইরে। তাদের গুলি ক্রমশ ফুরিয়ে আসছিল, অ্যামিউনিশন ডিপো থেকে গুলি সংগ্রহ করার জন্য তাদের কয়েকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। অফিসারদের ব্যারাকে ২০০ রাউন্ড গুলিসহ একটি বাক্স ছিল। একজন সৈনিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাক্সটি সেখান থেকে নিয়ে আসলে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘাঁটিটির ২৫ বছর বয়সী অধিনায়ক ঘাঁটি ছেড়ে পশ্চাৎপসরণ করতে ইচ্ছুক ছিলেন না। ইতিমধ্যে তাদের সদর দপ্তরে সাহায্য চেয়ে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছিল এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সহায়তা এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছিলো। এজন্য গুলি প্রায় শেষ হয়ে আসার পরও তারা ঘাঁটি আঁকড়ে ধরে ছিল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রায় ঘণ্টা পর সকাল ১১টায় অবরুদ্ধ সীমান্তরক্ষীদের সহায়তা উদ্দেশ্যে দু’টি রুশ হেলিকপ্টার গানশিপ ঘাঁটিটিতে উপস্থিত হয়। হেলিকপ্টার দু’টি থেকে ঘাঁটিটির আশেপাশের পাহাড়গুলোতে তাজিক আফগান জঙ্গীদের অবস্থান লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করা হয় এবং তাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। হেলিকপ্টার দু’টির পাইলটরা নিচে অবতরণ করে অবরুদ্ধ সীমান্তরক্ষীদের উদ্ধার করার সাহস পায়নি, কারণ কয়েক মাস আগে অঞ্চলে তাজিক জঙ্গীরা কাঁধ থেকে নিক্ষেপযোগ্য সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলের সাহায্যে নিচু দিয়ে ওড়া অবস্থায় একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল।

https://en.wikipedia.org/wiki/Surface-to-air_missile

রকেট হামলার পর হেলিকপ্টার দু’টো ফিরে যায়। তাজিক আফগান জঙ্গীরা বিশৃঙ্খলভাবে তাদের আক্রমণ আবার শুরু করে এবং গোলাগুলিতে জাস্তাভা-১২ এর অধিনায়ক নিহত হন। ঘাঁটির উপ-অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট আন্দ্রেই মের্জলিকিন পশ্চাৎপসরণের সিদ্ধান্ত নেন এবং তাজিক আফগানদের গোলাগুলির মধ্য দিয়ে জীবিত সৈন্যদের নিয়ে নিকটবর্তী সারি-গোর গ্রামের দিকে রওনা হন। যুদ্ধে ২৫ জন রুশ সৈন্য নিহত হয় এবং ২৩ জন পশ্চাৎপসরণ করতে সক্ষম হয়। তাজিক আফগানরা পরিত্যক্ত জাস্তাভাটি দখল করে নেয় এবং নিহত রুশ সৈন্যদের লাশগুলোকে বিকৃত করে ফেলে। এ যুদ্ধে প্রায় ৭০ জন তাজিক আফগান নিহত হয়েছিল। আফগানিস্তান জুড়ে ৮৬২টি সোভিয়েত জাস্তাভা ছিল এবং এগুলোর কোনো কোনোটিতে এক ডজনের বেশি সৈন্য ছিল না। এরপরও আফগান জঙ্গীরা একটিও সোভিয়েত 'জাস্তাভা' দখল করতে পারেনি। কিন্তু ১৯৯৩ সালের এই যুদ্ধে তাজিক আফগানরা 'জাস্তাভা-১২' দখল করতে সক্ষম হয়। জাস্তাভা-১২ এর জীবিত সীমান্তরক্ষীরা সারি-গোর গ্রামে পৌঁছে নিকটবর্তী 'জাস্তাভা-১৩' এর সীমান্তরক্ষীদের দেখা পায়। তারা ট্যাঙ্ক ভারী কামান নিয়ে জাস্তাভা-১২ কে সহায়তা করার জন্য অগ্রসর হচ্ছিলো। জাস্তাভা-১৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ভাসিলি মাসিউক তাদের জানান, জাস্তাভা-১২ থেকে সাহায্যের আবেদন আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা এবং তাজিক সেনাবাহিনীর একটি সৈন্যদল দু’টি হেলিকপ্টারসহ তাদের সহায়তা করার জন্য রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু জাস্তাভা-১২ তে পৌঁছানোর একমাত্র পাকা রাস্তাটিতে তাজিক জঙ্গীরা অসংখ্য মাইন পুঁতে রেখেছিল এবং তারা মাইন সরানোর চেষ্টা করলে জঙ্গীরা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এমতাবস্থায় তাজিক সৈন্যরা পশ্চাৎপসরণ করে ঘুরপথে জাস্তাভা-১২ এর দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন, এজন্য তাদের এতো দেরি হয়েছে। ঐদিন বিকেলে জাস্তাভা-১২ এর অবশিষ্ট সৈন্যরা এবং জাস্তাভা-১৩ এর সহায়তাকারী বাহিনী তাজিক আফগানদের দখলকৃত জাস্তাভা-১২ এর ওপর আক্রমণ চালায়। রুশদের প্রচণ্ড গোলাবর্ষণে ঘাঁটিটি প্রায় ধ্বংস হয়ে যায় এবং তাজিক আফগান জঙ্গীরা আশেপাশের পাহাড়গুলোর দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।  সংঘর্ষে আরো ৩৫ জন তাজিক আফগান জঙ্গী নিহত হলেও রুশদের মধ্যে নতুন কোনো হতাহত হয়নি। রুশ সীমান্তরক্ষীরা দিনটিকে 'কালো মঙ্গলবার' হিসেবে অভিহিত করে। জাস্তাভা-১২ এর যুদ্ধে জড়িত সৈন্যদের বিভিন্ন সম্মাননা প্রদান করা হয়। জাস্তাভা-১২ এর উপ-অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট মের্জলিকিনসহ জনকে রাশিয়ার সর্বোচ্চ সামরিক পদক 'রুশ ফেডারেশনের বীরপ্রদান করা হয়। এদের মধ্যে জন মরণোত্তর এই সম্মানে ভূষিত হন।

https://en.wikipedia.org/wiki/Hero_of_the_Russian_Federation

জাস্তাভা-১২ এর যুদ্ধের পরও তাজিক জঙ্গীরা রুশ সীমান্তরক্ষীদের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং ১৯৯৪ সালে একই ঘাঁটিতে জঙ্গীদের আক্রমণে জন রুশ সীমান্তরক্ষী নিহত হয়।

https://www.latimes.com/archives/la-xpm-1994-08-20-mn-29173-story.html

এই ঘটনার পর তাজিক-আফগান সীমান্তবর্তী জাস্তাভাগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়, ফলে তাজিকিস্তানের গৃহযুদ্ধ চলাকালে জঙ্গীরা আর কোনো রুশ ঘাঁটি দখল করতে সক্ষম হয়নি। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় তাজিকিস্তানি সরকার সম্মিলিত তাজিক বিরোধীদলের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

 

 

 

 

 

 

 

Comments

Popular posts from this blog

শিবিরনামা [পর্ব-এক]

পশ্চিমাদের পুতুল সরকার [পর্ব-এক]

দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-এক]