কুর্দি সমাচার
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর ১৯২০ সালে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো তুরস্কের সাথে চুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ করে, যেখানে কুর্দিদের গণভোটের মাধ্যমে স্বাধীন কুর্দিস্তান প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। কিন্তু নব প্রতিষ্ঠিত তুরস্ক প্রজাতন্ত্র সেসময় ঐ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানায়।
https://www.encyclopedia.com/history/modern-europe/turkish-and-ottoman-history/treaty-sevres
১৯২৩ সালে তুরস্ক এবং পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে লুজান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
https://www.britannica.com/event/Sykes-Picot-Agreement
এই চুক্তি অনুসারে তুরস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়, কিন্তু কুর্দিদের গণভোটের প্রতিশ্রুতিটি বাতিল করা হয়।
https://www.encyclopedia.com/history/modern-europe/turkish-and-ottoman-history/treaty-lausanne
ব্রিটিশ আর ফরাসিরা বৃহৎ কুর্দিস্তান এলাকাকে সাইকস-পিকো চুক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট একাধিক রাষ্ট্রের মধ্যে ভাগাভাগি করে তাদের মধ্যে কৃত্রিম সীমারেখা টেনে দেয়।
https://www.theguardian.com/world/2017/sep/27/over-92-of-iraqs-kurds-vote-for-independence
তুরস্কের অধিবাসীদের মধ্যে ২০% কুর্দি। তুরস্কে কুর্দিরা অত্যন্ত নির্যাতিত এবং সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়। আধুনিক তুরস্ক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর থেকে কুর্দিসহ অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর ভিন্ন পরিচয়ের দাবিকে কঠোরভাবে দমন করা হয়।
https://m.dw.com/en/who-are-the-kurds/a-19515578
তুরস্কের সংবিধানে তুর্কি ছাড়া অন্য সকল সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব অস্বীকার করে তাদের ‘পাহাড়ি তুর্কি‘ নামে অভিহিত করা হয়। কুর্দিদের নিজস্ব নাম এবং পোশাক নিষিদ্ধ করা হয়। কুর্দিদের মাতৃভাষা তুরস্কে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল!
https://www.aljazeera.com/news/2017/10/1/who-are-the-kurds
তুরস্কের সরকার কুর্দিদের তাদের এলাকার সম্পদ থেকে পরিকল্পিতভাবে বঞ্চিত করতে থাকে। ১৯৭৮ সালে আব্দুল্লাহ ওকালান তুরস্কের কুর্দিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Abdullah_%C3%96calan
১৯৮৪ সাল থেকে মার্ক্সীয় সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী পিকেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Kurdistan_Workers'_Party
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন পিকেকে-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-29702440
তবে জাতিসংঘ, চীন এবং রাশিয়া একে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে না। ২০১২ সালে তুরস্ক পিকেকে'র সাথে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু ২০১৫ সালে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের আক্রমণে ৩৩ জন কুর্দি রাজনৈতিক কর্মী নিহত হলে পিকেকে এর জন্য তুরস্কের সরকারকে দায়ী করে তুর্কি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ শুরু করে।
https://www.bbc.com/news/world-europe-20971100
পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তুরস্ক পিকেকে এবং আইএসের বিরুদ্ধে যৌথ যুদ্ধ ঘোষণা করে। পিকেকে-ও আইএস এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখে।
সিরিয়ায় কুর্দিদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০%। ১৯৬০ সাল থেকে অন্তত ৩ লাখ কুর্দি জনগোষ্ঠী নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে এসেছে। কুর্দি সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলোকে আরবিকরণের লক্ষ্য নিয়ে তাদের ঘরবাড়ি দখল করে আরবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। কুর্দিদের সংগঠিত হওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টাকে কঠোরভাবে দমন করা হয়েছে। ২০১১ সালের আরব বসন্তে বাশার আল-আসাদ বিরোধী বিদ্রোহ শুরু হলে কুর্দিরা প্রথম দিকে কোনো পক্ষে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে।
https://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/middleeast/syria/11198326/Who-are-the-Kurds-A-users-guide-to-Kurdish-politics.html
২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি বাহিনী অন্যান্য এলাকার বিদ্রোহ দমনের জন্য কুর্দি এলাকা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলে কুর্দিরা সেসব এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Al-Nusra_Front
পরবর্তীতে আল-কায়েদার সিরীয় শাখা আল-নুসরা ফ্রন্ট এবং আইএস কুর্দি এলাকাগুলোতে আক্রমণ করলে কুর্দিরা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
https://foreignpolicy.com/2017/05/15/syrias-kurds-are-not-the-pkk-erdogan-pyd-ypg/
নিজেদের এলাকা নিরাপদ রাখার জন্য তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় সিরিয়ান সরকার এবং বিদ্রোহী- উভয় পক্ষকে সহায়তা করে। সিরিয়ার কুর্দিদের প্রধান সংগঠন হচ্ছে ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পার্টি, যা ২০০৩ সালে তুরস্কের পিকেকে'র আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Democratic_Union_Party_(Syria)
এদের সামরিক শাখার নাম পিপল’স প্রটেকশন ইউনিট।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/People's_Protection_Units
https://www.theguardian.com/world/2015/jan/26/kurdish-forces-take-control-kobani-syria
তারা পিকেকে'র মতো সিরিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়ায়নি এবং তুরস্ক ছাড়া অন্য কোনো রাষ্ট্র তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করে না। উইমেন’স প্রটেকশন ইউনিট নামে এদের একটি নারী যোদ্ধাদের দল আছে, যারা আইএস বিরোধী যুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Women%27s_Protection_Units
https://www.aljazeera.com/news/2017/6/26/us-backed-sdf-forces-advance-in-raqqa
২০১৪ সালে PYD এর নেতৃত্বে অন্যান্য কুর্দি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত কুর্দিস্তান ন্যাশনাল কাউন্সিল তিনটি কুর্দি প্রধান এলাকা আলেপ্পো, রাক্কা এবং হাশাকার অংশবিশেষ নিয়ে স্বায়ত্ত্বশাসিত গণতান্ত্রিক সরকারের ঘোষণা দেয়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Kurdish_National_Council
২০১৪-১৫ সালে আইএস একের পর এক বিভিন্ন এলাকা দখল করতে থাকলে কুর্দিরা তাদের বিরুদ্ধে অন্যতম শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে আবির্ভূত হয়। ২০১৫ সালে তারা মার্কিন বিমান হামলার সহায়তায় সিরিয়ার কোবানি শহরকে আইএসের হাত থেকে মুক্ত করে। ২০১৫ সালের শেষের দিকে YPG এর নেতৃত্বে আরব এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের সমন্বয়ে গঠিত হয় সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় আইএসের হাত থেকে সিরিয়ার বিশাল এলাকা মুক্ত করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Syrian_Democratic_Forces
আইএসের তথাকথিত রাজধানী রাক্কা মুক্তকরণ অভিযানেও নেতৃত্ব দিয়েছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন SDF।
ইরাকি জনগোষ্ঠীর ২০% কুর্দি। ১৯২৩ সালে লুজান চুক্তির পর সাবেক কুর্দি গভর্নর শেখ মাহমুদ বারিজিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেন।
https://www.kdp.se/
তিনি ইরাকের সুলায়মানিয়াতে কুর্দি রাজতন্ত্র ঘোষণা করেন।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Mahmud_Barzanji
পরবর্তীতে ব্রিটিশরা তাকে পরাজিত করে সুলায়মানিয়া দখল করে নেয়। ১৯৪৬ সালে মুস্তফা বারজানি কুর্দিদের স্বায়ত্ত্বশাসন আদায়ের উদ্দেশ্যে কুর্দিস্তান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Kurdistan_Democratic_Party
তাদের আন্দোলনের মুখে ইরাকের নতুন সংবিধানে কুর্দিদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়, কিন্তু তাদের স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি নাকচ করে দেয়া হয়। ১৯৬১ সালে কেডিপি ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর ইরাকের কুর্দি এলাকাগুলো আরবিকরণের উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ কুর্দিকে বাস্তুচ্যুত করে এবং সেসব এলাকায় মধ্য ও দক্ষিণ ইরাক থেকে আনা আরবদের স্থানান্তরিত করে। ইরাকের তেল সমৃদ্ধ অঞ্চল কিরকুক থেকে কুর্দিদের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা হয়। আশির দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় কুর্দিরা ইরানকে সমর্থন দেয়। সাদ্দাম হোসেনের সরকার এজন্য কুর্দিদের ৪,০০০ গ্রাম ধ্বংস করে দেয় এবং সেসব এলাকার অধিবাসীদের অন্যান্য শহরে স্থানান্তরিত করে।
https://www.hrw.org/reports/2004/iraq0804/4.htm
১৯৮৮ সালে সাদ্দাম সরকার ইরাকের হালাবিয়া শহরে কুর্দিদের উপর গ্যাস আক্রমণ করে প্রায় ৫০,০০০ মানুষকে মেরে ফেলে।
https://www.aljazeera.com/opinions/2016/3/16/remembering-halabja-chemical-attack
১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে সাদ্দাম হোসেনের পরাজয়ের পর মাসুদ বারজানির নেতৃত্বে কুর্দিরা পুনরায় বিদ্রোহ করে এবং কিরকুকসহ ইরাকি কুর্দিস্থানের বিশাল এলাকা দখল করে নেয়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Masoud_Barzani
সাদ্দাম সরকার পাল্টা আক্রমণ শুরু করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দিপ্রধান এলাকাগুলোতে নো-ফ্লাই জোন কার্যকর করে।
https://www.rudaw.net/english/kurdistan/03042017
জালাল তালাবানিসহ অন্যান্য নেতারা মতপার্থক্যের কারণে ১৯৭৫ সালে KDP থেকে বেরিয়ে প্যাট্রিয়টিক ইউনিয়ন অফ কুর্দিস্তান নামে পৃথক রাজনৈতিক দল গঠন করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Jalal_Talabani
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Patriotic_Union_of_Kurdistan
https://www.smh.com.au/world/middle-east/operation-red-dawns-eight-month-hunt-20031215-gdhzl6.html
১৯৯২ সালে উভয় দল মিলে স্থানীয়ভাবে সংসদীয় এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করে এবং কুর্দি রিজিওনাল গভর্নমেন্ট গঠন করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Kurdistan_Regional_Government
১৯৯৪ সালে KDP এবং PUK এর মধ্যকার সমঝোতা ভেঙ্গে পড়ে এবং তারা দীর্ঘদিনব্যাপী গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ইরাকি কুর্দিস্তানের সামরিক বাহিনীর নাম পেশমার্গা।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Peshmerga
এর সদস্য সংখ্যা প্রায় পৌনে তিন লাখ। ২০০৩ সালে মার্কিন বাহিনী ইরাক আক্রমণ করলে পেশমার্গারা সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়।
https://theweek.com/articles/465013/how-cia-really-caught-bin-ladens-trail#axzz34IzUbxqb
সাদ্দামকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পেশমার্গা বাহিনী ২০০৪ সালে আল কায়েদা নেতা হাসান আল গুলকে গ্রেপ্তার করে, যার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে ওসামা বিন লাদেনের সন্ধান পাওয়া যায়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hassan_Ghul
সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর দেশব্যাপী গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে ইরাকিরা তাদের সংবিধানে কুর্দিস্তান রিজিওনাল গভর্নমেন্ট এবং কুর্দি সংসদকে স্বীকৃতি দেয়। ২০০৫ সালে ইরাকি সংসদ PUK নেতা জালাল তালাবানিকে ইরাকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে।
https://kurdistantribune.com/peshmarga-the-only-effective-forces-fighting-daesh/
২০১৪ সালে জঙ্গি সংগঠন আইএস যখন ইরাকি সরকারি বাহিনীকে পরাজিত করে একের পর এক বিস্তৃত এলাকা দখল করে নিচ্ছিলো, তখন কুর্দি পেশমার্গা বাহিনী তাদের অধিকৃত এলাকাগুলো রক্ষা করার জন্য আইএসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
https://www.reuters.com/article/us-mideast-crisis-sinjar-idUSKBN0JW22G20141218
আইএসের হাতে সিনজারের পতন হলে সেখানকার ইয়াজিদিরা যখন গণহত্যার শিকার হয়, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী আইএসের উপর বিমান হামলা শুরু করে এবং পেশমার্গাদের নেতৃত্বে কুর্দিরা আইএসের হাত থেকে দখলকৃত এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Yazidis
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-28103124
KRG নেতারা আইএসের উত্থানকে ইরাকি কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখে এবং ইরাক থেকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ গণভোটের আয়োজন করার ঘোষণা দেয়। ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ইরাকি সরকার, ইরান ও তুরস্কের প্রবল প্রতিবাদের মুখে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটে ইরাকি কুর্দিস্তানের ৯৩% ভোটার স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেয়।
https://www.independent.co.uk/news/world/middle-east/kurdistan-referendum-results-vote-yes-iraqi-kurds-independence-iran-syria-a7970241.html
কুর্দিস্তানের স্বাধীনতার পক্ষে একমাত্র ইসরায়েল ছাড়া অন্য কোনো রাষ্ট্রকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিতে দেখা যায়নি।
https://www.nytimes.com/2017/09/22/world/middleeast/kurds-independence-israel.html
ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূমি অবৈধভাবে দখল করে রাখলেও কুর্দি এবং কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার ব্যাপারে উচ্চকন্ঠে সমর্থন দেয় মূলত নিজেদের নোংরা স্বার্থের কারণে।
https://www.theguardian.com/commentisfree/2017/sep/22/the-guardian-view-on-the-kurdish-referendum-a-fair-question
তবে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ রাষ্ট্র কুর্দিস্তানের স্বাধীনতার দাবির বিপক্ষে। ইরাকি কুর্দিস্তান চারিদিক থেকে ইরাক, সিরিয়া, তুরস্ক ও ইরান দ্বারা পরিবেষ্টিত। তাদের কেউই কুর্দিস্তানের স্বাধীনতা চায় না।








Comments