হায়দার আলিয়েভের কুলাঙ্গার পুত্র (পর্ব-দুই)


প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন আজারবাইজানি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ওসমানীয় সাম্রাজ্য কর্তৃক প্রদত্ত সামরিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

https://eurasiantimes.com/pakistan-turkey-azerbaijan-trilateral-partnership-emerges-as-a-big-threat-to-armenia/?amp

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মিত্রশক্তি তুরস্ককে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়ার প্রক্রিয়া আরম্ভ করলে তুর্কি স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় এবং বলশেভিক নিয়ন্ত্রিত আজারবাইজান তুর্কি জাতীয়তাবাদীদের ব্যাপক সহায়তা প্রদান করে। বহুসংখ্যক দক্ষিণ এশীয় মুসলিম এই যুদ্ধের সময় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তুর্কি জাতীয়তাবাদীদের পক্ষে যুদ্ধ করে। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান ও তুরস্ক উভয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ব্লকের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করে এবং উভয় দেশইক মিউনিজম বিরোধী সামরিক জোট Central Treaty Organization (CENTO) এর সদস্য ছিল।

https://www.aa.com.tr/en/asia-pacific/turkey-azerbaijan-pakistan-issue-joint-declaration/2109284

১৯৯১ সালে আজারবাইজান সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর তুরস্ক ও পাকিস্তান আজারবাইজানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। প্রথম নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধ (১৯৮৮-১৯৯৪) চলাকালে তুরস্ক ও পাকিস্তান উভয়ে আজারবাইজানকে সমর্থন করে। ১৯৯৫ সালের আজারবাইজানি সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় তুর্কি সংশ্লিষ্টতা, আজারবাইজান কর্তৃক গোপনে তুরস্কের কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন প্রদান ও তুর্কি-আর্মেনীয় সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রচেষ্টা প্রভৃতি কারণে তুরস্ক ও আজারবাইজানের মধ্যে কিছুটা দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক থাকলেও পরবর্তীতে আজারবাইজান তুরস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে।

https://www.google.com/amp/s/www.dawn.com/news/amp/1601304

আজারবাইজানের প্রতি সমর্থনের নিদর্শন হিসেবে পাকিস্তান আর্মেনিয়াকে স্বীকৃতি প্রদান থেকে বিরত থাকে। পাকিস্তান বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্র, যেটি আর্মেনিয়াকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না। ২০০৩ সালে পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক সংলাপ মেকানিজম স্থাপিত হয় এবং একই বছর পাকিস্তান ও আজারবাইজানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১০ সালে তুরস্ক ও আজারবাইজানের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১০ এর দশকে পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর মার্কিন নির্মিত 'এফ-১৬' জঙ্গিবিমানগুলোর আধুনিকায়ন করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্বীকৃতি জানালে তুরস্ক এই প্রকল্প হাতে নেয় এবং পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর ৪১টি 'এফ-১৬' জঙ্গিবিমানের আধুনিকায়ন সম্পন্ন করে। পাকিস্তান তুরস্কের কাছ থেকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যে ৩০টি 'টিএআই টি১২৯ আতাক' হেলিকপ্টার ক্রয় করে এবং তুরস্ক পাকিস্তানি নৌবাহিনীর জন্য ৪টি 'আদা' শ্রেণিভুক্ত কর্ভেট নির্মাণ করছে।

https://yandex.ru/turbo/tj.sputniknews.ru/s/columnists/20210119/1032655984/karabakh-turkey-pakistan-voennyy-soyuz.html

তুরস্ক পাকিস্তানের কাছ থেকে ৫২টি 'এমএফআই-১৭ সুপার মুশশাক' প্রশিক্ষণ বিমান ক্রয় করে। তুরস্ক পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। উভয় দেশের সশস্ত্রবাহিনী নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। ২০২০ সালে আজারবাইজান তুরস্কের কাছ থেকে বহু 'বায়রাকতার টিবি২' অ্যাটাক ড্রোন ক্রয় করেছে, যেগুলো দ্বিতীয় নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে আজারবাইজানি সামরিক সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রথম ও দ্বিতীয় নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে তুর্কি সৈন্য, সামরিক উপদেষ্টা ও স্বেচ্ছাসেবকরা আজারবাইজানের পক্ষে যুদ্ধ করে। তুরস্ক আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্র দু'টি নিয়মিত বিভিন্ন যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করে এবং আজারবাইজানে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। দ্বিতীয় নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধের পর তুরস্ক আজারবাইজানে একাধিক সেনা ও বিমানঘাঁটি স্থাপন করতে যাচ্ছে, গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচারিত হয়েছে। আজারবাইজানি বিমানবাহিনী ২৪টি পাকিস্তান নির্মিত 'পিএসি জেএফ-১৭ থান্ডার' জঙ্গিবিমান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তেলসমৃদ্ধ আজারবাইজানের পক্ষে 'জেএফ-১৭' এর তুলনায় উন্নততর ও অধিক ব্যয়বহুল জঙ্গিবিমান ক্রয় করা সম্ভব, কিন্তু পাকিস্তানি জঙ্গিবিমান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে আজারবাইজান নাগর্নো-কারাবাখ ইস্যুতে পাকিস্তানি সহায়তার প্রতিদান দিচ্ছে। আজারবাইজান পাকিস্তান কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন সামরিক মহড়ায় (২০১৩ সালে আয়োজিত 'আমান-২০১৩' বহুপাক্ষিক নৌ মহড়া) অংশগ্রহণ করে। সাম্প্রতিক নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে পাকিস্তানি জঙ্গিরা আজারবাইজানের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, এমন প্রমাণ আছে। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তান, আজারবাইজান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি, তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোলু এবং আজারবাইজানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেয়হুন বায়রামভ দ্বিতীয় পাকিস্তানি-তুর্কি-আজারবাইজানি ত্রিপক্ষীয় সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। এই সংলাপ চলাকালে তুরস্ক ও আজারবাইজান কাশ্মির সঙ্কট সম্পর্কে পাকিস্তানি দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মির ইউনিয়ন অঞ্চলে ভারতীয় সরকার কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায়। তুরস্ক ও পাকিস্তান নাগর্নো-কারাবাখ ইস্যুতে আজারবাইজানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে এবং সাম্প্রতিক যুদ্ধে আজারবাইজান কর্তৃক অধিকৃত অঞ্চলের পুনর্গঠনে অংশগ্রহণের জন্য আজারবাইজান তুর্কি ও পাকিস্তানি কোম্পানিগুলোকে আহ্বান জানায়। পাকিস্তান ও আজারবাইজান পূর্ব ভূমধ্যসাগর বিরোধ ও সাইপ্রাস সমস্যা সম্পর্কে তুর্কি দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে। পাকিস্তান, তুরস্ক ও আজারবাইজান আফগানিস্তানে চলমান শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে। পাকিস্তান, তুরস্ক ও আজারবাইজানের প্রতিনিধিবৃন্দ বর্তমান বিশ্বে ক্রমবর্ধমান ইসলামভীতির প্রতি নিন্দা জানায় এবং এর মোকাবেলা করার জন্য একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করে। সংলাপের আগে ইসলামাবাদে পাকিস্তানি ও আজারবাইজানি বিমানবাহিনীর প্রধানদ্বয় বৈঠক করেন এবং যৌথভাবে উভয় পক্ষের বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ ও সামরিক মহড়ার আয়োজনের ব্যাপারে একমত হন। সংলাপের পর আঙ্কারায় তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার, আজারবাইজানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাকির হাসানভ এবং পাকিস্তানি বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মুজাহিদ আনোয়ার খান বৈঠক করেন এবং মন্তব্য করেন যে, তারা এক হৃদয়ে এবং এক মুষ্টিতে কাজ করবেন। ২০২১ সালের ১-১২ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের কার্স প্রদেশে তুর্কি-আজারবাইজানি যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্ক জোরেশোরে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তর তুর্কি জাতিভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তুর্কমেনিস্তান আজারবাইজানের সঙ্গে কাস্পিয়ান সাগরের মধ্য দিয়ে গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণে সম্মত হয়েছে, উজবেকিস্তানের মাটিতে তুর্কি-পাকিস্তানি-উজবেকিস্তানি যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আফগানিস্তানে পাকিস্তান সমর্থিত তালিবানের প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তুরস্ক ন্যাটো জোটের সদস্য, কিন্তু ন্যাটো সদস্য গ্রিসের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক সম্পর্কে জড়িত। পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, কিন্তু একই সঙ্গে চীন পাকিস্তানের প্রধান সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগী। আজারবাইজান তুরস্কের কৌশলগত অংশীদার, কিন্তু তাদের সামরিক সরঞ্জামের মূল উৎস রাশিয়া। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত ও আফগানিস্তানের বিরোধ রয়েছে এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে শিয়াদের ওপর নিষ্পেষণ ও বালুচিস্তান সমস্যার কারণে ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক সুখকর নয়। তুরস্ক গ্রিস ও সিরিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত, ইরান ও ইরাকের সঙ্গে নানা কারণে বিরোধে জড়িত এবং আর্মেনিয়ার প্রতি শত্রুভাবাপন্ন।

https://www.google.com/amp/s/www.trtworld.com/magazine/what-s-behind-the-growing-azerbaijan-pakistan-turkey-friendship-43259/amp

আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার অঘোষিত যুদ্ধাবস্থা চলছে, জর্জিয়ার সঙ্গে তাদের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে, রাশিয়াকে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী আর্মেনিয়ার মূল সঞ্চালক হিসেবে বিবেচনা করে এবং ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক দ্বান্দ্বিক। এজন্য আজারবাইজানি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী তোফিগ আব্বাসভের মতে পাকিস্তান, তুরস্ক ও আজারবাইজানের মধ্যবর্তী অনানুষ্ঠানিক জোটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি। এক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ বলতে রাষ্ট্র তিনটি কী বোঝে সেটি মুখ্য বিষয়। পাকিস্তানি সরকার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অঞ্চলগুলোতে সক্রিয় জঙ্গিদের সন্ত্রাসবাদী হিসেবে বিবেচনা করে। তুর্কি সরকার তুরস্ক ও সিরিয়ার কুর্দি গেরিলাদের সন্ত্রাসবাদী হিসেবে বিবেচনা করে। আজারবাইজানি সরকার নাগর্নো-কারাবাখ কেন্দ্রিক আর্তসাখ রাষ্ট্রের সশস্ত্রবাহিনীকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে বিবেচনা করে। সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে এই তিন রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার অর্থ হচ্ছে তাদের নিজ নিজ অভ্যন্তরীণ সমস্যা মোকাবেলায় কূটনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা লাভ। রাষ্ট্র তিনটির বৈদেশিক মৈত্রীব্যবস্থা ভিন্ন ধরনের। পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে চীনা প্রভাব বলয়ের অন্তর্ভুক্ত এবং সৌদি-তুর্কি ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে কোনো এক পক্ষ অবলম্বন করা পাকিস্তানের স্বার্থবিরোধী। তুরস্ক মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং তাদের পররাষ্ট্রনীতি এখনো ইউরোপমুখী। আজারবাইজান বর্তমানে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সভাপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত আছে এবং কোনো প্রকার সামরিক জোটে যোগদান তাদের জোট নিরপেক্ষ অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এমন অনেক ইস্যু রয়েছে যেগুলোর বিষয়ে রাষ্ট্র তিনটির দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। সিরীয় গৃহযুদ্ধে তুরস্ক সরাসরি সিরীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জঙ্গি গ্রুপকে সমর্থন দিলেও পাকিস্তান ও আজারবাইজান এই যুদ্ধের বিষয়ে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করেছে। রুশ-তুর্কি ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রেও পাকিস্তান ও আজারবাইজান নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করে এবং পাকিস্তান ২০১৬ সালে রুশ নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট "যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থা"য় পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগদানের প্রচেষ্টা চালিয়েছে (আর্মেনিয়ার ভেটোর কারণে তাদের প্রচেষ্টা সফল হয়নি)। পাকিস্তান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি প্রদান করতে নারাজ হলেও তুরস্ক ও আজারবাইজানের সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান।













Comments

Popular posts from this blog

শিবিরনামা [পর্ব-এক]

পশ্চিমাদের পুতুল সরকার [পর্ব-এক]

দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-এক]