আজারবাইজানের কুর্দি গেরিলারা
https://iwpr.net/global-voices/heidar-aliev-political-colossus
১৯৭৮ সাল থেকে পিকেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত। তুর্কি সরকারের দৃষ্টিতে পিকেকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রও যাতে পিকেকে'কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে, সেজন্য তুরস্ক তাদের ওপর নিয়মিত চাপ প্রয়োগ করে থাকে। আজারবাইজান ২০১১ সালে পিকেকে'কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৩ সালে রাশিয়ার ইয়ারোস্লাভল প্রদেশের একটি আদালত রায় দেয়, রুশ সরকার ইব্রাহিম মুসায়েভ নামক আজারবাইজানি শরণার্থীকে আজারবাইজানি সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে পারে।
https://wikileaks.org/plusd/cables/09BAKU270_a.html
মুসায়েভকে আজারবাইজানি সরকারের নিকট হস্তান্তর করার পর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। মুসায়েভ ছিল আজারবাইজানি গোয়েন্দা সংস্থা 'এমটিএন' এর কর্মকর্তা।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Ministry_of_National_Security_of_Azerbaijan
মুসায়েভের বক্তব্য ছিল, আজারবাইজানি সরকার গোপনে কুর্দিস্তান শ্রমিক দল'কে সাহায্য করছে এবং তার কাছে এর প্রমাণ রয়েছে! আজারবাইজান কর্তৃক পিকেকে'কে গোপনে সহায়তা প্রদান তুর্কি-আজারবাইজানি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তির লঙ্ঘন। এজন্য মুসায়েভকে চুপ করানোর জন্য আজারবাইজানি সরকার ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছিল।
https://www.google.com/amp/s/www.rferl.org/amp/azerbaijan-pkk-arms-allegations/25098645.html
১৯৯৩ সাল থেকে 'ইয়েনি আজারবাইজান পার্তিয়াস' রাষ্ট্রটির শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/New_Azerbaijan_Party
১৯৯৩-২০০৩ সাল পর্যন্ত হায়দার আলিয়েভ আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং ২০০৩ সালে তার মৃত্যুর পর থেকে ছেলে ইলহাম আলিয়েভ দেশটির শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। হায়দার আলিয়েভ ছিলেন সোভিয়েত গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও কমিউনিস্ট নেতা।
http://www.radikal.com.tr/1998/06/25/yorum/buo.html
১৯৪১ সালে তিনি সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা এনকেভিডি'তে যোগদান করেন এবং পরবর্তী ২৮ বছর বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করেন।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/NKVD
এই সূত্রে তুরস্কের কুর্দিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ১৯৬৪ সালে তিনি কেজিবি'র আজারবাইজানি শাখার উপপ্রধান নিযুক্ত হন এবং ১৯৬৭ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে সংস্থাটির প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে তিনি আজারবাইজান কমিউনিস্ট দলের প্রথম সচিব (আজারবাইজান সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের শাসক) নিযুক্ত হন। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। স্নায়ুযুদ্ধে তুরস্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ অবলম্বন করেছিল এবং দেশটি মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Turkish_Straits_crisis
১৯৭৮ সালে পিকেকে প্রতিষ্ঠিত হয় হওয়ার পিছনে আজারবাইজানি কেজিবি'র সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ১৯৮২ সালে হায়দার আলিয়েভ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়ে মস্কোয় চলে যান, কিন্তু তার উত্তরসূরীরা পিকেকে'কে সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙ্গনের পর আর্মেনিয়ার সঙ্গে চলমান নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধ এবং ১৯৯২ সালের জুনে বৃহত্তর তুর্কি জাতীয়তাবাদী আবুলফাজ এলচিবের ক্ষমতায় আরোহণের প্রেক্ষাপটে আজারবাইজান রাজনৈতিকভাবে তুরস্কের নিকটবর্তী হয়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Abulfaz_Elchibey
১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে সামরিক অভ্যুত্থানে এলচিবে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং হায়দার আলিয়েভ আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন। তার শাসনামলে নতুন করে অভিযোগ উত্থাপিত হয় যে, আজারবাইজানি সরকার গোপনে পিকেকে'কে অস্ত্র সহায়তা প্রদান করছে এবং আজারবাইজানের অভ্যন্তরে পিকেকে'র ঘাঁটি রয়েছে।
https://www.panorama.am/en/news/2015/10/20/turgut-er-aliyev/1465734?__cf_chl_jschl_tk__=70a0f9bc46f3e14ae89ce17c4c87941510eb791a-1611220568-0-AbRUWBJ8h_zV7su_8AdksWfKS67XXhtBKADrHBqYTamD8legScEDHPqNxtqYAXKG2YIJ76Rw5kyGfcwL4pf3qdC5AEXLMVZKrMcQ5bFJ8okGKs3x3STz63tmZMQ1z7yIJhoNgSOKh96KYM-_l3gZ31NHiRau-KONsRAgDsmGx4tR2DJXpMDJn82yrleUtjuRVFc4Y-rxtjo06DAdEIjPu7ww8hZ-RJZCBJRAKXHU7-s74El28PcDgdZX0U-JnCCFoiHYIw9OhG7Kr6DW3PNftMxZcCk4X43pXmYymvuqJjShG_WfSsIXc2nQImK4qA030-KmXW67bWp-mRp4DhbdnM98U2niOWNrS0m-ygoN64wJ
ইলহাম আলিয়েভের শাসনামলেও আজারবাইজানি সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপিত হয়। ২০০২ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে আজারবাইজানি বিরোধী দলগুলোর চাপ সত্ত্বেও আজারবাইজানি সরকার পিকেকে'কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানায়। কেবল তুর্কি-আজারবাইজানি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ২০১১ সালে আজারবাইজানি সরকার পিকেকে'কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। মুসায়েভ ছিল আজারবাইজানি গোয়েন্দা সংস্থা 'এমটিএন' এর নাখচিভান শাখার কর্মকর্তা। 'নাখচিভান স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র' আজারবাইজানের অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্র স্বশাসিত প্রোটো রাষ্ট্র যেটি আর্মেনীয় ভূমির মাধ্যমে আজারবাইজানের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এবং যেটির সঙ্গে ইরান ও তুরস্কের সীমান্ত রয়েছে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Nakhchivan_Autonomous_Republic
'এমটিএন' অফিসার হিসেবে মুসায়েভ ইরানি আজারবাইজানের ওপর নজরদারি করতো। সে জানতে পারে, আজারবাইজানের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রতি সপ্তাহে দুই দিন অস্ত্রবাহী বিমান নাখচিভান বিমানবন্দরে আসছে এবং এই অস্ত্র গোপনে পিকেকে'র কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য সে তুরাক জেয়নালভ নামক নাখচিভান বিমানবন্দরের এক টেকনিশিয়ানকে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করে। ২০১১ সালের ২ আগস্ট বাকু থেকে নাখচিভানে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও রসদপত্রসহ একটি মালবাহী বিমান বাকু থেকে নাখচিভানে আসে। সেটি থেকে গাড়িতে মাল নামানোর সময় এক নেশাগ্রস্ত আজারবাইজানি সামরিক কর্মকর্তা কিছু কাগজপত্র গাড়িতে ফেলে যায়। জেয়নালভ সেগুলো স্ক্যান করে মূল কাগজগুলো গাড়িতে রেখে দেয় এবং স্ক্যানকৃত কাগজগুলো মুসায়েভের কাছে পৌঁছে দেয়। কাগজগুলোতে ছিল সরবরাহকৃত অস্ত্রের বিবরণ এবং পিকেকে'র নাম। এর তিন সপ্তাহের মধ্যে আজারবাইজানি কর্তৃপক্ষ জেয়নালভকে গ্রেপ্তার করে এবং তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। বন্দি থাকা অবস্থায় জেয়নালভের মৃত্যু ঘটে। আজারবাইজানি কর্তৃপক্ষ দাবি করে, ত্বকের ক্যান্সারের কারণে জেয়নালভের মৃত্যু হয়েছে। মুসায়েভকে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানায় বিষয়টির সঙ্গে আজারবাইজানের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও তুর্কি-আজারবাইজানি কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রশ্ন জড়িত, সুতরাং এ বিষয়ে সে যেন কাউকে কোনো কিছু না জানায়। স্ত্রী গুলনার জেয়নালোভা তার স্বামীর মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছিল, এজন্য তাকে চুপ করানোর জন্য মুসায়েভকে নির্দেশ দেয়া হয়। মুসায়েভ জেয়নালোভার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে এবং এক পর্যায়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। দৃশ্যটির ভিডিও করে রাখা হয় এবং সেটি প্রকাশ করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আজারবাইজানি কর্তৃপক্ষ জেয়নালোভাকে স্বামীর মৃত্যুর বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করে। মুসায়েভের মতে, তাকে দিয়ে যেসব কাজ করানো হচ্ছিলো সেগুলো তার বিবেকে সায় দিচ্ছিল না, সুতরাং সে আজারবাইজান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে সে রাশিয়া পালিয়ে যায় এবং ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে শরণার্থী হওয়ার জন্য আবেদন জানায়। আজারবাইজানি সরকার মুসায়েভের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং তাদের অনুরোধে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রুশ কর্তৃপক্ষ মুসায়েভকে গ্রেপ্তার করে। ইয়ারোস্লাভলের একটি আদালত তাকে আজারবাইজানের নিকট হস্তান্তরের পক্ষে রায় দেয় এবং রুশ সরকার তাকে আজারবাইজানি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে। ২০০০ এর দশকের প্রথম থেকে বিভিন্ন আজারবাইজানি বিরোধী দল অভিযোগ করছিল আজারবাইজানি সরকার পিকেকে'র সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করছে এবং আজারবাইজানের মাটিতে পিকেকে'র গোপন ঘাঁটি রয়েছে।
তারা দাবি করে, সুমগাইৎ পৌর পরিষদের সিনিয়র সদস্যরা এবং রাষ্ট্রপতি হায়দার আলিয়েভের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর প্রধান বায়লার এয়্যুবভ গোপনে পিকেকে'কে সহায়তা করছে। ২০০২ সালের জুনে আজারবাইজানি গোয়েন্দা সংস্থা 'এমটিএন' আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় পিকেকে'র সঙ্গে আজারবাইজানি সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং বিগত বছরগুলোতে তারা আজারবাইজানের মাটিতে গ্রেপ্তারকৃত ৩৩ জন পিকেকে সদস্যকে তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করেছে। ২০০৩ সালের প্রথমদিকে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আজারবাইজান সফরকালে উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, পিকেকে সদস্যরা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আড়ালে আজারবাইজানে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
তুরস্কে নিযুক্ত আজারবাইজানি রাষ্ট্রদূত মামেদ আলিয়েভ তুর্কি সরকারকে জানান আজারবাইজানের মাটিতে পিকেকে'র কোনো উপস্থিতি নেই। আজারবাইজানের তুর্কিপন্থী বিরোধী দলগুলোর মতে, দেশটিতে প্রায় দেড় লক্ষ কুর্দি বসবাস করে এবং তাদের অনেকে অত্যন্ত প্রভাবশালী। কুর্দিরা আজারবাইজানি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত এবং আজারবাইজানের বহু ব্যাঙ্ক, নির্মাণ কোম্পানি, হোটেল প্রভৃতির মালিক কুর্দি। আজারবাইজানে অবস্থিত তুর্কি দূতাবাসের প্রাক্তন প্রেস অ্যাটাশে তুরগুত এরের মতে, হায়দার আলিয়েভ হচ্ছেন পিকেকে'র প্রকৃত স্রষ্টা! কট্টর তুর্কিপন্থী আবুলফাজ এলচিবেকে ক্ষমতাচ্যুত করে হায়দার আলিয়েভ ক্ষমতায় এসেছিলেন। প্রাক্তন সোভিয়েত উপপ্রধানমন্ত্রী আলিয়েভকে আঙ্কারা ভালো চোখে দেখতো না। ১৯৯৫ সালের মার্চে সংঘটিত আজারবাইজানি সামরিক অভ্যুত্থানে তুরস্ক সক্রিয়ভাবে অভ্যুত্থানকারীদের সহায়তা করে। এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আজারবাইজানি বিশেষ পুলিশ বাহিনী 'ওপন' এর কমান্ডার কর্নেল রোভশান জাভাদভ এবং আজারবাইজানি সশস্ত্রবাহিনীর কিছু সদস্য তার পক্ষ অবলম্বন করেছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Special_Purpose_Police_Unit#:~:text=The%20Special%20Purpose%20Police%20Unit,early%201990s%20formed%20during%20the
অভ্যুত্থানকারীদের লক্ষ্য ছিল হায়দার আলিয়েভকে উৎখাত করা।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Police_Special_Operation_Department
তুর্কি সশস্ত্রবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং তুর্কি গোয়েন্দা সংস্থা 'এমআইটি', তুর্কি পুলিশের 'স্পেশাল অপারেশন্স ডিপার্টমেন্ট', তুর্কি উগ্র জাতীয়তাবাদী সংগঠন 'গ্রে উলভস' ও তুর্কি মাফিয়ার কিছু সদস্য অভ্যুত্থানে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/National_Intelligence_Organization_(Turkey)
কিন্তু অভ্যুত্থানটি ব্যর্থ হয়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Grey_Wolves_(organization)
পরবর্তীতে তুরস্কের একটি অভ্যন্তরীণ স্ক্যান্ডালে অভ্যুত্থানে তুর্কিদের জড়িত থাকার তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Turkish_mafia
২০০০ এর দশকের শেষদিকে তুরস্ক আর্মেনিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রচেষ্টা চালায়। উইকিলিকসের ফাঁসকৃত তথ্য অনুযায়ী, ইলহাম আলিয়েভ সরাসরি তুর্কি নেতৃবৃন্দকে 'মিথ্যুক', 'ঠগ' প্রভৃতি অভিধায় অভিষিক্ত করেছিলেন। পরবর্তীতে তুর্কি-আর্মেনীয় সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রচেষ্টা পরিত্যক্ত হয় এবং তুর্কি-আজারবাইজানি সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। কিছু তুর্কি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত দাবি অনুযায়ী, আজারবাইজানের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন নাখচিভান প্রজাতন্ত্রের সরকার পিকেকে'র প্রতি সহানুভূতিশীল এবং তারা সক্রিয়ভাবে পিকেকে'কে সহায়তা প্রদান করছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, নাখচিভানের রাষ্ট্রপ্রধান ভাসিফ তালিবভ নিজেও কুর্দি।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Vasif_Talibov
রাশিয়া পিকেকে'কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেনি এবং তুর্কিদের দাবি অনুযায়ী রুশরা এখনো পিকেকে'র কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Syrian_Democratic_Forces
২০২০ সালের নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধের সময় তুর্কি সরকার জানিয়েছে পিকেকে'র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিরীয় কুর্দি গেরিলারা আর্মেনিয়া ও আর্তসাখের পক্ষে যুদ্ধ করেছে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Republic_of_Artsakh




Comments