১৯৪১ সালের ২২ জুন এডলফ হিটলারের নির্দেশে জার্মান আর্মির এক বিশাল বহর সোভিয়েত ইউনিয়ন জয় করার উদ্দেশ্যে পূর্বদিকে যাত্রা শুরু করে। এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছিল অপারেশন বারবারোসা।
 |
| স্তালিনগ্রাদ শহরের দিকে অগ্রসরমান জার্মান ট্যাঙ্ক |
তিনটি বড় বড় সেনাদলে বিভক্ত জার্মান বাহিনীর সংখ্যা কম করে হলেও ত্রিশ লক্ষের কম ছিল না। মোট দেড়শটি বিভিন্ন ডিভিশনের সাথে ছিল তিন হাজার ট্যাংক এবং অজস্র আর্টিলারি পিস।
http://www.history.com/topics/world-war-ii/battle-of-stalingrad
যুদ্ধের শুরুতে ফায়ার পাওয়ার কিংবা টেকিনিক্যাল দিক বিবেচনায় জার্মান আর্মি লাল ফৌজের চেয়ে বহুগুণে শক্তিশালী ছিল। বিভিন্ন ফ্রন্টে পিছু হটতে শুরু করলো লাল ফৌজ। একে একে ইউক্রেন হয়ে রাশিয়ার ইউরোপ অংশের অনেকটা দখল করে ফেললো জার্মান সেনারা।
https://global.britannica.com/event/Battle-of-Stalingrad
হিটলারের লক্ষ্য তখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সোভিয়েত রাশিয়াকে পরাজিত করা। জার্মান বাহিনী তখন মস্কোর উপকন্ঠে। কিন্তু ১৯৪১ এর ডিসেম্বরের প্রচন্ড শীত এবং লাল ফৌজের প্রবল প্রতিরোধের মুখে ব্যর্থ হয় যায় জার্মান আর্মির মস্কো অভিযান। ফলস্বরূপ সোভিয়েত রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করার পরও সুপিরিয়র জার্মান বাহিনী তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হলো। হিটলার এবার নিজেই দায়িত্ব নিলেন ইস্টার্ণ ফ্রন্টের। দ্রুত ফুরিয়ে আসছিল সোভিয়েত রাশিয়াতে অবস্থান করা জার্মান আর্মির তেলের রিজার্ভ।
http://www.historylearningsite.co.uk/world-war-two/famous-battles-of-world-war-two/the-battle-of-stalingrad/
তাই হিটলার সিদ্ধান্ত নিলেন যে করেই হোক চেচনিয়ার তেলের খনিগুলো দখল করতে হবে। ইস্টার্ণ জোনে সেনাবাহিনীর একটি অংশকে হিটলার পাঠিয়ে দিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের ককেশাস অঞ্চলে চেচনিয়ার উদ্দেশ্যে। অন্য অংশকে পাঠালেন স্তালিনগ্রাডের দিকে। যতক্ষণে জার্মান আর্মি চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনিতে পৌঁছলো ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। সোভিয়েতরা শত্রুর হাতে পড়ার আগে তেলের খনিগুলোতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল ভল্গার তীরে অবস্থিত স্তালিনগ্রাড। ভল্গা নদী শুধু ইউরোপের দীর্ঘতম নদী নয়, ভল্গা বিভক্ত করেছে এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশকে। ভল্গার এশিয়া অংশে অবস্থিত ছিল স্তালিনগ্রাড। হিটলার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন যেকোন মূল্যে স্তালিনগ্রাড দখলের জন্য। সেসময় জার্মান সিক্সথ আর্মি হিটলারের এলিট ফোর্স হিসাবে পরিচিত ছিল। এর আগে ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও ইউক্রেনে বেশ কয়েকটি সফল অভিযান শেষে সিক্সথ আর্মি। হিটলারের সিক্সথ আর্মি পৌঁছে গেলো ভল্গার পাড়ে। সাত লক্ষ লোকের আবাস্থল স্তালিনগ্রাড তখন জার্মান আর্মির অবরোধের মুখে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে ফোর্থ প্যাঞ্জার আর্মির যোগ দেয়ার কথা ছিল সিক্সথ আর্মির সাথে। কিন্তু তেল শঙ্কটে ভুগতে থাকা জার্মানরা কাঙ্খিত গতিতে এগুতে পারছিল না। মূলত সিক্সথ আর্মিকে আর্মার সাপোর্ট দিয়ে স্তালিনগ্রাড ঘিরে ফেলতে সাহায্য করার জন্য ফোর্থ প্যাঞ্জার আর্মিকে পাঠানো হয়েছিল। ব্যাটেল অব স্তালিনগ্রাড শুরু হয়েছিল ১৯৪২ সালের ২৩ আগস্ট। শহরের বাইরে অবস্থান করতে থাকা সিক্সথ আর্মির পদাতিক সৈন্যরা আক্রমণের আগেই জার্মান বিমান বাহিনী ক্রমাগত এক সপ্তাহ ধরে বোমাবর্ষণ করতে থাকে স্তালিনগ্রাডে। দুর্ধর্ষ জার্মান জঙ্গি বিমানের মুহুর্মুহু আক্রমণের ফলে অল্প সময়ের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে যায় স্তালিনগ্রাড। তারপর জার্মান পদাতিক সৈন্যরা প্রবেশ করতে শুরু করে স্তালিনগ্রাডে। জার্মান আর্মি মনে করেছিল সহজেই পতন হবে স্তালিনগ্রাডের। জার্মানদের তখনও ধারণা ছিল না আসল যুদ্ধ এখনও বাকি। শহরে প্রবেশের পর প্রবল বাঁধার সম্মুখীন হলো জার্মানরা। তাই প্রত্যাশার চেয়ে ধীর গতিতে আগ্রসর হচ্ছিলো জার্মান বাহিনী। শহরের ভগ্ন বিল্ডিংগুলো হয়ে উঠলো সোভিয়েতদের একেকটি দুর্গ। যে এলাকাগুলো জার্মানরা দিনের বেলায় দখল করতো সে এলাকাগুলোই রাতে আবার পুনর্দখল করে নিতো সোভিয়েতরা। সুপিরিয়র জার্মান আর্টিলারি ও আর্মার কোন কাজেই আসছিল না সোভিয়েত চোরাগুপ্তা গেরিলা হামলার কাছে। পুরো যুদ্ধটা তখন হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট। স্তালিনগ্রাড পরিণত হলো জার্মান বাহিনীর কাছে দুঃস্বপ্নপুরীতে। গেরিলা যুদ্ধে ত্যক্ত-বিরক্ত জার্মানরা এই যুদ্ধের নাম দিয়েছিল র্যাটেনক্রিয়েগ। যুদ্ধের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে স্তালিনগ্রাডের উপকণ্ঠে মামায়েভ কুরগান নামক পাহাড়টির মোট ১৪ বার দখল ও পাল্টা দখল হয়েছিল দুই শিবিরের মধ্যে। প্রচন্ড শীতের মধ্যেও পাহাড়টিতে তুষারের আচ্ছাদন পড়েনি, কারণ এতবেশি শেলিং করা হয়েছিল যে পাহাড়ের সমস্ত বরফ গলে গিয়েছিল। ১৯ নভেম্বর শহরের বাইরে সোভিয়েত রিইনফোর্সমেন্ট এসে ঘিরে ধরলো জার্মান বাহিনীকে। জার্মান ফোর্থ প্যাঞ্জার আর্মি তখন তিন দিনের দূরত্বে ছিল স্তালিনগ্রাড থেকে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে পুরো শহরকে ঘিরে ধরা সম্ভব হলো না জার্মান আর্মির পক্ষে। শহরের ভেতরে থাকা সিক্সথ আর্মি ফোর্থ প্যাঞ্জার আর্মির কোন সাহায্যই পেলো না। ১৯ নভেম্বরের আগে জার্মান বাহিনীকে স্তালিনগ্রাডের বাইরে থেকে সাহায্য করে যাচ্ছিল রুমানিয়, ইতালিয় ও হাঙ্গেরীয়দের সম্মিলিত বাহিনী। কিন্তু লাল ফৌজের নতুন সৈন্য সমাগমের পর বাইরের সাহায্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লো শহরের ভেতরে থাকা জার্মান সিক্সথ আর্মি। অবরোধ করতে গিয়ে উল্টো অবরোধের শিকার হলো জার্মানরা! জার্মান সিক্সথ আর্মির প্রধান জেনারেল ফ্রেডরিখ পাউলাস চেয়েছেন পিছু হটে আসতে। কিন্তু হিটলার চাইছিলেন জার্মানরা যাতে একচুল পরিমাণও সরে না আসে। ১৯৪৩ এর জানুয়ারিতে হিটলার জেনারেল পাউলাসকে প্রমোশন দিয়ে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করলেন উৎসাহ দিতে। আর কড়া নির্দেশ দিলেন যেকোন মূল্যে শহরটি ভেতর থেকে দখল করতে। এদিকে জার্মানদের গোলাবারুদ এবং রসদ ফুরিয়ে আসছিল। কিন্তু হিটলার আশ্বাস দিলেন বিমানযোগে পৌঁছে দেয়া হবে প্রয়োজনীয় রসদ ও অস্ত্র। সেসময় স্তালিনগ্রাডে থাকা জার্মান সৈন্যদের প্রতিদিন দরকার ছিল ৮০০ টন রসদের, অথচ বিমানযোগে সাপ্লাই ছিল মাত্র ১৪০ টন! শেষের দিকে অবশ্য হিটলার পিছু হটার অনুমতি দিয়েছিলেন শহরের ভেতরের নিয়ন্ত্রণ অক্ষুন্ন রেখে। কিন্তু অস্ত্র ও খাবারের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়া জার্মান আর্মির পক্ষে এটি করা আদৌ সম্ভব ছিল না। বরং অনেকগুলো ছোট ছোট পকেটে বিভক্ত হয়ে পড়লো আটকে পড়া জার্মান বাহিনী। অনাহারে ও অস্ত্র শঙ্কটে একে একে মারা পড়তে শুরু করলো সিক্সথ আর্মির সৈন্যরা। স্তালিনগ্রাড যুদ্ধে প্রায় দেড় লক্ষ জার্মান সৈন্য মারা পড়েছিল আর বন্দী হয়েছিল আরও ৯৫ হাজার। ১৯৪৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ করলো জার্মান বাহিনী। এর আগে ৩০ জানুয়ারি বন্দী করা হয়েছিল ফিল্ডমার্শাল ফ্রেডরিখ পাউলাসকে। জার্মান বাহিনীর এই শোচনীয় পরাজয় সম্পর্কে শুরুতে দেশে থাকা জার্মানদের কিছুই জানানো হয়নি। ১৯৪২ সালের ডিসেম্বরে সারা দেশের মানুষ জানতো জীবন বাজি রেখে লড়ে যাচ্ছে বীর জার্মান সেনারা! আর কিছুদিনের মধ্যেই চলে আসবে বিজয়ের সু সংবাদ! ততক্ষণে লাল ফৌজের ফাঁদে আটকা পড়ে গেছে জার্মান আর্মি। একদিকে ডিসেম্বরের প্রচণ্ড শীত এবং অন্যদিকে রসদের অভাবে তাদের পরিস্থিতি তখন অত্যন্ত নাজুক। তারপরও হিটলারের আদর্শে মোহমুগ্ধ জার্মানরা লড়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু একমাস পরেই ফ্রেব্রুয়ারির শুরুতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলো সিক্সথ সিক্সথ আর্মি।
https://factslegend.org/40-facts-battle-stalingrad/
হিটলার শীত আসার আগেই স্তালিনগ্রাড বিজয়ের ব্যাপারে এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে জার্মান বাহিনীকে সোভিয়েত রাশিয়ার প্রচন্ড শীত মোকাবেলা করার মত পর্যাপ্ত গরম কাপড়ও সরবরাহ করা হয়নি। মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ও জাত্যাভিমানে ভুগতে থাকা হিটলারের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত স্তালিনগ্রাডে শুধু আড়াই লক্ষ জার্মান সৈন্যের কবর খুঁড়েনি, সেই সাথে সূচনা করেছিল অক্ষশক্তির পরাজয়ের! স্তালিনগ্রাডের প্রতিটি ইটে ইটে, প্রতিটি অভুক্ত জার্মান সৈন্যদের ডায়েরিতে কিংবা বোমার আঘাতে চিরপঙ্গু সোভিয়েত যুবকের কান্নায় যে ইতিহাস লেখা হয়েছে তাকে মাত্র কিছু শব্দে কোনদিনও পুরোপুরি বন্দী করা সম্ভব নয়।
 |
| যুদ্ধ চলাকালে স্তালিনগ্রাদের একটি ভবন গোলার আঘাতে জ্বলছে। জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি করছে মানুষ |
 |
| বোমা বর্ষণের ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি সোভিয়েত রেললাইন। পুনরায় চলাচল উপযোগী করে তুলতে সেখান থেকে জঞ্জাল সরানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন কয়েকজন সোভিয়েত নারী |
 |
| জার্মান যুদ্ধবিমানগুলোর মূহুর্মূহু বোমাবর্ষণে স্তালিনগ্রাদ পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তুপে |
 |
যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত লড়ে যায় সোভিয়েত সৈন্যরা। লক্ষ লক্ষ সহযোদ্ধা মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও যুদ্ধের ময়দান থেকে পিছপা হয়নি সোভিয়েত ইউনিয়ন। ছবিতে এমনই একজন অদম্য সোভিয়েত সৈন্যকে দেখা যাচ্ছে, যিনি যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের মাঝেও উঁচিয়ে ধরেছেন সোভিয়েত পতাকা |
 |
স্তালিনগ্রাদ শহরে ফেলা অসংখ্য বোমার মধ্যে কিছু কিছু অবিস্ফোরিত থেকে গেছে। এরকমই একটি অবিস্ফোরিত বিশালাকৃতির জার্মান গোলা পরীক্ষা করে দেখছেন একজন সোভিয়েত সৈন্য
|
 |
| ব্যাটল অব স্তালিনগ্রাদে জার্মান বাহিনী ব্যবহার করেছিল 'Mark 3H', 'Mark 4H', 'Stug 3' ইত্যাদি মডেলের ট্যাঙ্ক। অন্যদিকে সোভিয়েত সেনাবাহিনীর মধ্যে 'T-34', 'KV-1' ইত্যাদি মডেলের ট্যাঙ্কের ব্যবহার ছিল উল্লেখযোগ্য। |
 |
| প্রিয় শহরের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করেছে প্রতিটি সোভিয়েত সৈন্য। ছবিতে শহর রক্ষার কাজে নিয়োজিত এমনই দু'জন সৈন্যকে দেখা যাচ্ছে |
 |
| ছবিতে একজন সোভিয়েত সৈন্য যুদ্ধের ময়দানে তার আহত সহযোদ্ধার শুশ্রুষায় ব্যস্ত। অন্যরা তখনও যুদ্ধ করে যাচ্ছিলো শত্রুপক্ষের সাথে |
 |
| একজন সোভিয়েত যুদ্ধ সংবাদদাতা ফ্রন্টলাইনে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ভয়াবহ বোমা বর্ষণের কারণে তার যাত্রা থেমে আছে আপাতত। |
 |
| একজন সোভিয়েত সৈনিক নোটবুকে টুকে নিচ্ছে যুদ্ধের প্রয়োজনীয় তথ্য |
 |
| একটুখানি উষ্ণতার আশায় আগুন জ্বালিয়ে চারপাশে ভিড় করেছে কিছু সোভিয়েত সৈন্য |
 |
| পুরু তুষারের স্তর অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে সোভিয়েত সৈন্যরা |
 |
| তুষারের মধ্যে শত্রুর চোখ এড়ানোর জন্য সাদা রঙের বিশেষ ধরনের পোশাক পরিহিত অবস্থায় তিনজন সোভিয়েত সৈন্য। তাদের মধ্যে সর্ববামের জন হলেন বিখ্যাত সোভিয়েত স্নাইপার ভাসিলি যেইস্তেভ। |
 |
| স্তালিনগ্রাদের বিধ্বস্ত রাস্তায় শত্রুর দিকে অস্ত্র তাক করে আছে কয়েকজন লাল ফৌজের সৈনিক |
 |
| একসময়ের সাজানো গোছানো স্তালিনগ্রাড পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। তার মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে কয়েকজন সোভিয়েত সৈন্য। |
 |
| স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধে পাঁচ লক্ষের মতো সোভিয়েত সৈন্য প্রাণ হারিয়েছিল। আহত, যুদ্ধবন্দী এবং নিখোঁজ মিলিয়ে এই সংখ্যা এক মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। তাদের আত্মদান বৃথা যায়নি। এত প্রাণের বিনিময়ে একসময় সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে পুরোপুরি বিতাড়িত করা সম্ভব হয় হিটলার বাহিনীকে। |
 |
| লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে ১৯৪৩ সালে জার্মান বাহিনীর হাত থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয় স্তালিনগ্রাদ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সদ্য মুক্ত হওয়া শহরের বাসিন্দাদের বাধঁভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। |
 |
| যুদ্ধবন্দী রোমানিয়ান সৈন্যদের বিশাল বহর |
 |
| নাৎসি বাহিনী শহর ছেড়ে যাওয়ার পর স্তালিনগ্রাদের বাসিন্দারা ফিরে এসেছে নিজেদের আবাসভূমিতে। যুদ্ধের ফলে সৃষ্টি হওয়া যাবতীয় জঞ্জাল সরিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরুর স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে স্তালিনগ্রাদবাসী। |
 |
| যুদ্ধের ফলে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া স্তালিনগ্রাদ বিমানবন্দর |
Comments