শাভেজের ভেনিজুয়েলা

 

হুগো শাভেজের মাঝে রাজনীতির বীজ বপনের কাজটি করেছিলেন দাদী রোজা আইনেস শাভেজ। কৈশোরে তার এক স্থানীয় শিক্ষক হোসে এস্তেবান রুইজ গুয়েভারা তাকে সিমন বলিভার এবং কার্ল মার্কস বিষয়ে দীক্ষা দেন। পরবর্তী জীবনে শাভেজের নিজস্ব রাজনৈতিক দর্শন গড়ে ওঠার পেছনে বলিভার ও মার্কসের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মড ফোর্সেস বিদ্রোহী কার্যক্রম দ্বারা তিনি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হন। এটি ছিল মূলত সাম্যবাদী গেরিলাদের একটি দল, যারা ১৯৬০ সাল থেকে ভেনিজুয়েলা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক আক্রমণ পরিচালনা করে আসছিল। সাম্যবাদী ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসী গেরিলাদের দলটি পেয়েছিল ফিদেল ক্যাস্ট্রোর সমর্থন। ‘বলিভারিয়ান বিপ্লব’ এর নামকরণ করা হয় মূলত সিমন বলিভিয়ার নামানুসারে।

https://www.britannica.com/topic/Movement-of-the-Fifth-Republic

‘বলিভারিয়ান বিপ্লব’ প্রকৃতপক্ষে সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলন হলেও শাভেজের উদ্যোগে সেটি কিছুটা ভিন্ন খাতে পরিচালিত হয় ভেনিজুয়েলায়। পরবর্তীতে তার নিজস্ব রাজনৈতিক চেতনা পরিচিত হয় ‘শ্যাভিজমো’ নামে। প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ ল্যাটিন অ্যামেরিকান দেশ ভেনিজুয়েলাকে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক পুন:সংস্কারের মধ্য দিয়ে। দেশকে তিনি যে ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পরিচালনা করেছিলেন, সেটি ছিল বিদ্যমান সমাজতন্ত্র আর মুক্ত বাজার অর্থনীতির মধ্যপন্থা। বেসবল প্রতিভার কারণে দেশের প্রসিদ্ধ মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে যোগদানের সুযোগ আসে তার। সেনাবাহিনীতে পদোন্নতি পেয়ে তিনি প্যারাট্রুপারদের একটি দলকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পান। সেসময় ভেনিজুয়েলা সরকারে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের অবাধে ঘুষ গ্রহণ, জুয়ার নেশা, বাজি ধরা ইত্যাদি বিষয়গুলো হয়ে গিয়েছিল অতি স্বাভাবিক। শাভেজ সমমনা আরও কয়েকজন অফিসারকে নিয়ে দুর্নীতি বিরোধী কমিশন গঠন করেন, যেটি গোপনীয়তার সাথে কার্যক্রম চালাতে থাকে। শাভেজ দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রম শুরু করেন ১৯৮০ সালে। ১৯৯২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ১২,০০০ সৈন্য সহযোগে ভেনেজুয়েলার তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘোষণা করেন তিনি।

https://www.nytimes.com/1992/02/05/world/venezuela-crushes-army-coup-attempt.html

রাষ্ট্রপতি কারলোস আন্দ্রেজ পেরেজ বিদ্রোহ দমন করেন। শাস্তি হিসেবে শাভেজ কারাবন্দিত্ব গ্রহণ করেন। ভেনিজুয়েলার সরকারের মুখোশ উন্মোচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে দেশ কোন পথে যাচ্ছে। অভিশংসনের মাধ্যমে পেরেজ সরকারের পতন ঘটে। ১৯৯৪ সালে জেল থেকে মুক্তি পান হুগো শাভেজ।

https://www.britannica.com/place/Venezuela/The-Hugo-Chavez-presidency

বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে তিনি মিলিটারিতে থাকা ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন ব্যক্তিদের সাথে নিজস্ব রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বাস্তবায়নে মনোনিবেশ করেন এবং এর মাধ্যমে ‘বলিভারিয়ান বিপ্লবী আন্দোলন’ এর সূচনা হয়। জর্জ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে তুলনামূলক ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে বৈষম্য ও শোষণমূলক আচরণ ছিল, শাভেজ ছিলেন তার স্পষ্ট বিরোধী। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নেতৃত্বে ভেনিজুয়েলায় শাভেজের বিরুদ্ধে যে অভ্যুত্থান সংগঠিত হয় তার কিছুকাল পর তিনি পুনরায় ক্ষমতায় আসীন হন। তিনি ইরান, কিউবা, নিকারাগুয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী দেশগুলোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে মনোযোগী হন।

https://m.dw.com/en/venezuela-and-the-us-from-friends-to-foes/a-47224923

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের সরাসরি ও প্রকাশ্য সমালোচনা করতে গিয়ে শাভেজ জর্জ ডব্লিউ বুশকে ‘গাধা’ বলে আখ্যা দেন। ভেনিজুয়েলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে শাভেজ জনমানুষের রাজনীতিবিদ হিসেবে স্থান পেলেও উচ্চ-মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত শ্রেণির নাগরিকদের কাছে তিনি বিরক্তির পাত্র ছিলেন। তিনি দেশের মুষ্টিমেয় লোকের কাছে সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে থাকার বিরুদ্ধে ছিলেন। এই শ্রেণির নাগরিক কর্তৃক অধিকৃত সম্পত্তির (ভূমি, শিল্প কারখানা) একটি নির্দিষ্ট অংশ তিনি জাতীয়করণ করেন। বুর্জোয়া শ্রেণি তার উপর ক্ষুব্ধ হয়। তার সহজাত রাজনৈতিক বোধবুদ্ধির সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করবেন আর্জেন্টিনার হুয়ান ডমিঙ্গো পেরন। শাভেজ সেসব জনগণের নেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে পেরেছিলেন যারা যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের তথা নিজেদের মোড়ল হিসেবে মেনে নেয়ার বদলে স্বীয় শক্তির উপর ভিত্তি করে লড়াই চালিয়ে যেতে ছিল বদ্ধপরিকর। ১৫২২ সাল থেকে প্রায় দুশো বছর স্প্যানিশ উপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিল ভেনিজুয়েলা। প্রথমে স্পেনিশদের সাথে যুদ্ধ আর পরে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ভেনিজুয়েলার স্বাধীনতা আসে ১৮৩০ সালে।

https://www.armyupress.army.mil/special-topics/world-hot-spots/venezuela/defining-venezuela/

এরপর দীর্ঘ সময় ভেনিজুয়েলা স্বৈরশাসনের অধীনে ছিল, রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রভাব বিস্তার করেছিল স্থানীয় সামরিক গোষ্ঠীর নেতারা। ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়, প্রবর্তিত হয় দুই দলীয় ব্যবস্থা। এরপর দীর্ঘ সময় ভেনিজুয়েলার রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেয় থার্ড ওয়ে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি আর মধ্যপন্থী বাম দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক। আশি আর নব্বইয়ের দশকে দু'টি অর্থনৈতিক সঙ্কট টালমাটাল করে দেয় অর্থব্যবস্থা, ৮৯-তে হয় ভয়াবহ দাঙ্গা।

https://constitutionnet.org/country/constitutional-history-venezuela

দুর্নীতি আর বৈষম্য দূর করতে সামরিক বাহিনীর একটা অংশ বিদ্রোহ করে ১৯৯২ সালে। ব্যর্থ সেই বিপ্লবকে নেতৃত্ব দেয়া লেফটেন্যান্ট কর্নেল হুগো শ্যাভেজ হয়ে উঠেন নাগরিকদের প্রত্যাশার প্রতীক। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়ে ওঠা শাভেজ শৈশবে খুব কাছ থেকে দেখেছেন ভেনিজুয়েলার দারিদ্র্য আর বৈষম্যের শিকার হওয়া মানুষদের। সতেরো বছর বয়সে ১৯৭১ সালে শ্যাভেজ যখন সামরিক বাহিনীতে যোগদান করেন, মিলিটারি কারিকুলাম 'আন্দ্রেস বেলো প্ল্যান' তাকে অনুপ্রাণিত করে। মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশনড হয়ে শ্যাভেজ পড়াশুনা শুরু করেন ইতিহাস নিয়ে; আকৃষ্ট হন জমুরা,বলিভার আর রুদ্রিগেজের মতাদর্শের প্রতি। পরিবর্তনের স্বপ্ন থেকে সামরিক বাহিনীতে তৈরি করেন গোপন সংগঠন 'MBR-200 '। তাদের নিয়ে শাভেজ বিদ্রোহ করেন ১৯৯২ সালে। বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়, তাকে সঙ্গীসহ কারাগারে অন্তরীণ করা হয়। দুই বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করে জড়িয়ে পড়েন দেশব্যাপী জনসংযোগে। ১৯৯৮ এর নির্বাচনে ৫৬.২% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট হিসেবে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে তেলের খনি আবিষ্কৃত হয় ভেনিজুয়েলায়, পুরো শতাব্দী জুড়ে এসেছে তেল রাজস্ব। স্বৈরশাসক আর দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের দ্বারা শাসিত হওয়া ভেনিজুয়েলার নাগরিকদের বাড়েনি জীবনমান, তেল রাজস্বের সিংহভাগ গেছে আমলা আর শাসকদের পকেটে। এই বৈষম্য আর দারিদ্রের ভেনিজুয়েলাতে পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন হুগো শ্যাভেজ। হুগো শাভেজ ক্ষমতার আসার সময় আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি পায় তেলের দাম, ব্যাপক রাজস্ব আয় পেতে থাকে ভেনিজুয়েলা। শ্যাভেজ এই রাজস্ব আয় দিয়ে শুরু করেন বলিভিয়ান বিপ্লব। সামরিক বাহিনীকে যুক্ত করেন এই কাজে। সামাজিক সাম্য, সমাজকল্যাণ আর দারিদ্রতা দূরীকরণের লক্ষ্যে বলিভিয়ান রেভ্যুলেশন প্রোগ্রামে যুক্ত করা হয় মৌলিক অধিকারগুলো, নিশ্চয়তা তৈরির চেষ্টা করা হয় নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রে। মিশন রবিনসনের মাধ্যমে বয়স্কদের বিনামূল্যে শিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়, নৈশ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় মিশন রিবাসের মাধ্যমে। হাইস্কুল ড্রপ আউটদের নতুন করে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়, বিনামূল্যে করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা। শাভেজ বলিভিয়ান রেভ্যুলেশনের যুক্ত করেছিলেন সকলের জন্য পুষ্টিকর খাদ্যের অধিকার। নিরাপদ আর ভেজালমুক্ত খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন সবার জন্য। স্বাস্থ্যসেবাকে তিন ধাপে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন শ্যাভেজ, অনুমোদন করেছিলেন মিশন বারিও আদেন্ত্রো। বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ছিল নির্যাতনের শিকার হওয়া বিভিন্ন পশুপাখির জন্য। বলিভিয়ান রেভ্যুলেশনের অংশ ছিলো দরিদ্রের জন্য আবাসন প্রকল্প, ২০১১ সালে আরো বর্ধিত হয় এই প্রকল্প। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল ভূমিসংস্কার প্রকল্প, বড় বড় এস্টেটগুলোকে চেষ্টা করেছিলেন কৃষিজমিতে রূপান্তরের। ভূমিহীন কৃষকদের চেষ্টা করেছিলেন ভূমি ব্যবস্থাপনার অংশ করার। বলিভিয়ান রেভ্যুলেশনের অংশ হিসেবে শাভেজ প্রাপ্তবয়স্কদের আধুনিক পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করেছিলেন, যার মাধ্যমে সহজ হয়েছিলো বিভিন্ন নাগরিক সুবিধার কার্যক্রম। পরিবেশ রক্ষায় করেছেন বিনিয়োগ, বরাদ্দ বাড়িয়েছিলেন বিজ্ঞান বিষয়ক কর্মকাণ্ডে। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গঠন করেছিলেন সিভিল মিলিশিয়া বাহিনী। ১৯৯৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর শাভেজ উদ্যোগ নেন সংবিধান পরিবর্তনের। রাষ্ট্রের নাম 'রিপাবলিক অব ভেনিজুয়েলা' থেকে করেন 'বলিভিয়ান রিপাবলিক অব ভেনিজুয়েলা'। শাসনকাজে সুবিধার জন্য সরকারকে ভাগ করেন পাঁচটি অংশে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগের সাথে স্বতন্ত্র অংশ হিসেবে যোগ করেন নির্বাচন বিভাগ ও নাগরিক অংশগ্রহণকে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টকে করেন এক কক্ষবিশিষ্ট, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মতো বিভিন্ন নাগরিক সুবিধাকে করেন বিনামূল্যে। প্রেসিডেন্টের টার্ম লিমিট তুলে দিতে চেয়েছিলেন তিনি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্টের। বাড়াতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্টের প্রতি টার্মের মেয়াদ, স্থানীয় প্রশাসনিক কাঠামোগুলোতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্টের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে। এর সাথে ছিল ভোটার হওয়ার বয়স কমিয়ে দেয়া, কমিয়ে দেয়া কর্মঘণ্টাও। ২০০৯ সালের গণভোটে পরিবর্তনগুলোর কিছুটা বাস্তবায়িত হয়েছে, উঠে গেছে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত হওয়ার টার্ম লিমিট। হুগো শাভেজ চেষ্টা করেছেন দেশকে সমাজতান্ত্রিক করার। শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত থাকলেও দ্রুত তিনি নিজেকে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী হিসেবে পরিচয় দেয়া শুরু করেন। বিরোধী ছিলেন নিও লিবারেলিজমের। আন্তর্জাতিক পরিসরে সম্পর্ক গড়ে তোলেন মার্ক্সিস্ট-লেনিনপন্থী কিউবার সাথে, সম্পর্ক উন্নয়ন হয় বলিভিয়া, ইকুয়েডর, নিকারাগুয়ার মতো সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর সাথে। ক্যারিবিয়ান ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন চালিয়ে যান শাভেজ, আমদানিনির্ভর দেশগুলোকে তেল সরবরাহ করেন কম মূল্যে। জোর দেন পারস্পরিক সম্পর্কবৃদ্ধির উপর। একের পর এক সমাজতান্ত্রিক উদ্যোগ নিয়ে শ্যাভেজ পরিণত হয়েছিলেন সাম্রাজ্যবাদীদের চক্ষুশূলে।

https://www.bbc.com/news/world-latin-america-15240081

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে শাভেজ ভেনিজুয়েলায় নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন সামাজিক ন্যায্যতা, নিরাপত্তা আর সাম্য। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক কাঠামো আর প্রশাসনের কারণে সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। ডাচ ডিজিজের যে প্রভাব ভেনিজুয়েলায় দেখা যাচ্ছে, তার দায় আছে তার শাসনামলের।

Comments

Popular posts from this blog

শিবিরনামা [পর্ব-এক]

পশ্চিমাদের পুতুল সরকার [পর্ব-এক]

দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-এক]