ভন্ড মানবতাবাদী

 

আইনস্টাইনের ভ্রমণবিষয়ক ব্যক্তিগত বেশ কিছু ডায়েরিতে চীনাদের 'পরিশ্রমী, নোংরা, স্থূলবুদ্ধিসম্পন্ন' বলে মন্তব্য করেন আইনস্টাইন! ১৯২২ সালের অক্টোবর থেকে ১৯২৩ সালের মার্চ অবধি ভ্রমণ করা বিভিন্ন দেশের লোকেদের নিয়ে তার রয়েছে এমন আরো বিতর্কিত মূল্যায়ন।

https://www.bbc.com/news/science-environment-44472277

এসময় তিনি স্ত্রীর সাথে স্পেন থেকে শ্রীলঙ্কা হয়ে মিশর, ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্য এবং তারপর সিঙ্গাপুর থেকে চীন, হংকং হয়ে জাপান ভ্রমণ করেন। তার কর্মস্থল প্রিন্সটনের ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে বেরিয়েছে 'দ্য ট্র্যাভেল ডায়েরিজ অব আলবার্ট আইনস্টাইন' নামের বইটি, যেখানে সংকলিত হয়েছে উক্ত ভ্রমণকালে আইনস্টাইনের লেখা ব্যক্তিগত ডায়েরি আর চিঠির পাতা। ডায়েরিসমূহ জার্মান থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করা সহ পুরো বইটি প্রকাশের দায়িত্বে ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির 'আইনস্টাইন পেপার্স প্রজেক্ট' এর সহপরিচালক জে'এভ রোজেনক্রাঞ্জ।

https://www.mirror.co.uk/science/albert-einsteins-shocking-racism-revealed-12702559

চীন সম্পর্কে আইনস্টাইনের পর্যবেক্ষণ-

"ওরা খাওয়ার সময়ে বসে না, কিন্তু গাছ-পাতার ফাঁকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঠিকই ইউরোপিয়ান কায়দায় উবু হয়ে বসে।"

"এমনকি শিশুদেরও দেখতে নির্জীব, অলস মনে হয়।"

তার দৃষ্টিতে চীনারা একটি আজব দলপ্রেমী ও সাধারণের চেয়ে অধিকতর যান্ত্রিক জাতি। তার দাবি, চোখের দেখায় চীনা পুরুষ আর নারীতে তফাৎ নাকি খুবই সামান্য। বিশ্বের জনসংখ্যার ১৯ ভাগই চীনারা। তাই তাদের উর্বরাশক্তি প্রসঙ্গেও ফোড়ন কাটেন আইনস্টাইন।

"আমি বুঝি না, চীনা মেয়েরা কী এমন বিধ্বংসী আকর্ষণের ক্ষমতা রাখে যে, তাদের বিমোহিত পুরুষেরা নিজেদের সন্তানলাভের আশীর্বাদধন্য হওয়া ঠেকাতে পারে না!"  

https://www.theguardian.com/books/2018/jun/12/einsteins-travel-diaries-reveal-shocking-xenophobia

চীনের অধিক জনসংখ্যার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন-

"ব্যাপারটা দুঃখজনক হবে যদি চীনারা অন্যান্য সব জাতিবর্ণের লোকেদের জায়গা নিয়ে ফেলে!"

শ্রীলংকা সম্পর্কে আইনস্টাইনের পর্যবেক্ষণ-

কলম্বো গিয়ে তার মনে হয়েছে সেখানকার মানুষেরা ময়লা আর দুর্গন্ধের মাঝে বসবাস করে। তার মূল্যায়ন-

"এরা কাজও করে অল্প। এদের চাহিদাও অল্প।"

মিশর সম্পর্কে আইনস্টাইনের পর্যবেক্ষণ-

পোর্ট সৈয়দ বন্দরে পৌঁছানোর পর তার জাহাজ থেকে নামার তক্তা বিছিয়েছিল এক মিশরীয়। আইনস্টাইন তার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন-

"নোংরা ডাকাত দর্শন লেভান্টাইন"।

ভূমধ্যসাগরীয় পূর্ব দ্বীপের বাসিন্দাদের লেভান্টাইন বলা হয়। পুরো পোতাশ্রয়ের আবহকে তিনি রূপায়িত করেছেন 'নরক' অভিধায়!  

জাপান সম্পর্কে আইনস্টাইনের পর্যবেক্ষণ-

তার মতে, এত বিশুদ্ধ মনের মানুষ তিনি আর কোথাও দেখেননি। তার ভাষায়- 

"জাপানিরা আড়ম্বরহীন, নম্র, সব মিলিয়ে খুবই আকর্ষণীয়"।

তবে উপসংহারে তীর্যকতা রেখে তিনি বলেন-

"শিল্পগত চাহিদার থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক চাহিদা ওদের কম বলে মনে হলো - প্রাকৃতিক বিষয় কি?"

https://www.smithsonianmag.com/science-nature/how-celebrity-scientist-albert-einstein-used-fame-denounce-american-racism-180962356/












Comments

Popular posts from this blog

শিবিরনামা [পর্ব-এক]

পশ্চিমাদের পুতুল সরকার [পর্ব-এক]

দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-এক]