সোভিয়েত বেঈমান (পর্ব-দুই)
গিওর্গি আগাবেকভ (গিওর্গি সের্গিয়েভিচ আর্তুইয়ুনভ) ১৮৯৫ সালে রুশ সাম্রাজ্যের জাকাস্পিয়স্কায়া ওব্লাস্তের রাজধানী আসখাবাদ শহরে জন্মগ্রহণ করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Transcaspian_Oblast
তার পরিবার ছিল জাতিগতভাবে আর্মেনীয়। আগাবেকভ রুশ সাম্রাজ্যের তুর্কিস্তান গভর্নরেট জেনারেলের রাজধানী তাসখন্দের একটি জিমনেসিয়ামে পড়াশোনা করে।
https://ru.m.wikipedia.org/wiki/%D0%A2%D1%83%D1%80%D0%BA%D0%B5%D1%81%D1%82%D0%B0%D0%BD%D1%81%D0%BA%D0%BE%D0%B5_%D0%B3%D0%B5%D0%BD%D0%B5%D1%80%D0%B0%D0%BB-%D0%B3%D1%83%D0%B1%D0%B5%D1%80%D0%BD%D0%B0%D1%82%D0%BE%D1%80%D1%81%D1%82%D0%B2%D0%BE
১৯১৪ সালের ১ আগস্ট জার্মানি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে রাশিয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Russian_entry_into_World_War_I#:~:text=On%2030%20July%2C%20Russia%20declared,of%20Odessa%20in%20late%20October.
এসময় ১৯ বছর বয়সী আগাবেকভকে বাধ্যতামূলক সামরিক আইন অনুযায়ী রুশ সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত করে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রেরণ করা হয়। দুই বছরের বেশি সময় ধরে সাধারণ সৈনিক হিসেবে জার্মান ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পর ১৯১৬ সালের অক্টোবরে তাকে তাসখন্দের সৈনিকদের স্কুলে প্রেরণ করা হয় উচ্চতর সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য। এরপর তাকে রোমানিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে প্রেরণ করা হয়। রোমানিয়ায় আগাবেকভ রুশ সেনাবাহিনীর ৪৬তম পদাতিক রেজিমেন্টের একটি প্লাটুনের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হয় এবং পাশাপাশি রেজিমেন্টটির সদর দপ্তরে তুর্কি ভাষার অনুবাদক হিসেবে কাজ করে। ১৯১৭ সালের মার্চে পেত্রোগ্রাদে বিপ্লবের ফলে রাশিয়ায় রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং আগাবেকভ এই বিপ্লবকে সমর্থন করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Russian_Revolution
নতুন সরকার রুশ সেনাবাহিনীতে নির্বাচনের মাধ্যমে অফিসার নিয়োগের প্রথা প্রবর্তন করে এবং আগাবেকভের রেজিমেন্টের সৈন্যরা তাকে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হিসেবে নির্বাচিত করে। ১৯১৭ সালের নভেম্বরে ভ্লাদিমির লেনিনের নেতৃত্বাধীন বলশেভিকরা রাশিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে নেয় এবং রুশ সেনাবাহিনী ভেঙে দেয়। আগাবেকভ সেনাবাহিনী ত্যাগ করে তুর্কিস্তানে ফিরে যায় এবং ১৯১৮ সালের মার্চে তুর্কিস্তানের লাল রক্ষীবাহিনী'র একটি ইউনিটে যোগদান করে। লাল রক্ষীবাহিনী ছিল রুশ বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে শ্রমিক, কৃষক ও কসাক এবং কিছু সংখ্যক সৈনিক ও নাবিককে নিয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী বিকেন্দ্রীকৃত আধা সামরিক বাহিনী; যেটি রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় বলশেভিকদের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠতো।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Red_Guards_(Russia)
কয়েক মাস পর আগাবেকভ লাল ফৌজে যোগদান করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Red_Army
১৯১৮-১৯২০ সাল পর্যন্ত সে লাল ফৌজের বিভিন্ন ইউনিটের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। প্রথমে সে তুর্কিস্তানে বিভিন্ন বলশেভিক বিরোধী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পরবর্তীতে সাইবেরিয়া ও উরাল অঞ্চলে শ্বেত ফৌজের কমান্ডার অ্যাডমিরাল আলেক্সান্দর কোলচাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/White_Army
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Alexander_Kolchak
১৯২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোলচাক বলশেভিকদের হাতে বন্দি হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। একই বছর আগাবেকভ বলশেভিক দলে যোগদান করে এবং কিছুদিন পর চেকা'য় যোগদান করে। এসময় তাকে 'আগাবেকভ' ছদ্মনাম প্রদান করা হয়। তাকে প্রথমে একাতেরিনবুর্গে লাল ফৌজের অভ্যন্তরীণ সৈন্য ব্যাটালিয়নের সামরিক কমিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে সে একাতেরিনবুর্গ প্রাদেশিক চেকা'র কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করে। একাতেরিনবুর্গ অঞ্চলে সোভিয়েত বিরোধী রাজাকারদের নিশ্চিহ্নকরণ এবং তিউমেন অঞ্চলে কুলাক বিদ্রোহ দমনে সে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। আগাবেকভ তুর্কি ও ফার্সি ভাষায় অত্যন্ত দক্ষ ছিল। এজন ১৯২১ সালের অক্টোবরে তাকে মস্কোয় ডেকে পাঠানো হয় এবং চেকা'র প্রাচ্য বিষয়ক সেকশনে নিযুক্ত করা হয়। ১৯২২ সালে তাকে মধ্য এশিয়ায় প্রেরণ করা হয় এবং তুর্কিস্তান ফ্রন্টে চেকা'র প্রধান লাতভীয় বলশেভিক জেকাবস পিটার্সের অধীনে অপারেশন্স অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Turkestan_Front
এসময় সে তুর্কিস্তান অঞ্চলে সোভিয়েত বিরোধী উগ্র তুর্কি জাতীয়তাবাদী মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তুর্কিস্তানে সোভিয়েত বিরোধী উগ্র তুর্কি জাতীয়তাবাদী মুসলিমদের সর্বোচ্চ নেতা ছিল এনভের পাশা। এনভের পাশা ছিল ১৯০৮ সালে ওসমানীয় সাম্রাজ্যে সংঘটিত 'তরুণ তুর্কি বিপ্লব' এর নেতা এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ওসমানীয় সাম্রাজ্যের যুদ্ধমন্ত্রী।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Enver_Pasha
বিশ্বযুদ্ধে ওসমানীয় সাম্রাজ্যের পরাজয়ের পর এই বেঈমান মস্কো চলে যায়। ১৯২১ সালের নভেম্বরে লেনিন তুর্কিস্তানের বুখারায় চলমান বিদ্রোহ দমনে স্থানীয় বলশেভিক সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য এনভেরকে সেখানে প্রেরণ করেন। এনভের বুখারায় পৌঁছে পক্ষ পরিবর্তন করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেয়। তুর্কিস্তান অঞ্চলে সক্রিয় সবগুলো সোভিয়েত বিরোধী মুসলিম দলকে একত্রিত করে এনভের তাদের সর্বোচ্চ নেতা নিযুক্ত হয়। সে জার্মান সশস্ত্রবাহিনীর ধাঁচে তার বাহিনীকে গড়ে তোলে এবং প্রাক্তন ওসমানীয় সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা তার সঙ্গীদের নেতৃত্বে ছিল। চেকা'কে এনভেরের গুপ্ত ঘাঁটি খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এবং আগাবেকভ এই কাজে নিয়োজিত ছিল। এনভের বাহিনীর সদর দপ্তর ছিল দুশানবে শহরের নিকটবর্তী আব-ই-দেরিয়া গ্রামে। আগাবেকভ ১৯২২ সালের আগস্টে এই ঘাঁটির সন্ধান লাভ করে সোভিয়েত সরকারকে অবহিত করে। ৪ আগস্ট লাল ফৌজের বাশকির অশ্বারোহী ব্রিগেড ঘাঁটিটির ওপর আক্রমণ চালায় এবং এনভের সম্মুখযুদ্ধে নিহত হয়। তুর্কিস্তানে সোভিয়েত বিরোধী মুসলিমরা আবার বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং সোভিয়েত সরকার তাদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়। এরপর আগাবেকভকে তাসখন্দে প্রেরণ করা হয় এবং সমগ্র তুর্কিস্তানে সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থার বিদেশি গুপ্তচর ও চোরাচালান বিরোধী বিভাগদ্বয়ের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে সে স্থানীয় কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থার স্থানীয় রাজনৈতিক শাখার সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। এসময় সোভিয়েত তুর্কিস্তান বিদেশি গুপ্তচরে ছেয়ে গিয়েছিল এবং আগাবেকভ এই গুপ্তচরদের দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ১৯২৪ সালের এপ্রিলে আগাবেকভকে 'ওজিপিইউ' এর বৈদেশিক বিভাগে বদলি করা হয় এবং কূটনীতিক হিসেবে আফগানিস্তানে প্রেরণ করা হয়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/State_Political_Directorate
এসময় আগাবেকভ আনুষ্ঠানিকভাবে কাবুলে অবস্থিত সোভিয়েত দূতাবাসের প্রচার বিভাগের প্রধান নিকোলাই ফ্রিদগুতের সহকারী হিসেবে কাজ করলেও প্রকৃতপক্ষে সে ছিল 'ওজিপিইউ' এর প্রতিনিধি এবং আফগানিস্তানে সংগৃহীত যাবতীয় তথ্য সাঙ্কেতিক ভাষায় রূপান্তরিত করে মস্কোয় প্রেরণ করা ছিল তার দায়িত্ব। ১৯২৬ সালের শেষের দিকে আগাবেকভকে ইরানে বদলি করা হয় এবং সে তেহরানে 'ওজিপিইউ' এর স্টেশন চিফ হিসেবে নিযুক্ত হয়। এসময় ইরানে কর্মরত বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর গুপ্ত সংকেতের মর্মার্থ উদঘাটনে আগাবেকভ বিশেষ সাফল্য অর্জন করে। ১৯২৮ সালের ১ জানুয়ারি স্তালিনের ব্যক্তিগত সহকারী বোরিস বাঝানভ সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ইরানে পালিয়ে যায় এবং আগাবেকভকে দায়িত্ব দেয়া হয় বাঝানভকে বন্দি করে মস্কোয় প্রেরণ করার জন্য।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Boris_Bazhanov
ইরানি সরকার বাঝানভকে কঠোর নিরাপত্তাধীনে রাখার কারণে আগাবেকভের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। একই বছরের এপ্রিলে আগাবেকভকে মস্কোয় ডেকে পাঠিয়ে 'ওজিপিইউ' এর বৈদেশিক বিভাগের মধ্যপ্রাচ্য অধিদপ্তরের প্রধান নিযুক্ত করা হয়। ১৯২৯ সালের অক্টোবরে আগাবেকভ 'নের্সেস ওভসেপিয়ান' ছদ্মনামে ধনী আর্মেনীয় বণিকের ছদ্মবেশে ইরানি পাসপোর্ট ব্যবহার করে সোভিয়েত ইউনিয়নের ওদেসা বন্দর হয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছায়। সেসময় ইস্তাম্বুলে ওজিপিইউ এর 'রেজিদিয়েন্ত' ছিল ইয়াকভ ব্লুমকিন, যে ছিল ট্রটস্কির অনুসারী। ব্লুমকিন তুরস্ক ছাড়াও মিসর, হিজাজ, ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিন এবং ফরাসি নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ায় বহুসংখ্যক বেআইনি গুপ্তচর নিয়োগ করেছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Yakov_Blumkin
ব্লুমকিনকে মস্কোয় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয় এবং তার স্থলে আগাবেকভকে ইস্তাম্বুলে ওজিপিইউ 'রেজিদিয়েন্ত' (резидент) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। আগাবেকভের মতে, ১৯৩০ সালের আগ পর্যন্ত ওজিপিইউ তুরস্ককে মিত্ররাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করলেও তুর্কি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার পারস্পরিক সহযোগিতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ওজিপিইউ এর বৈদেশিক বিভাগের প্রধান মিখাইল ত্রিলিসের ইস্তাম্বুলকে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে সোভিয়েত গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন এবং আগাবেকভকে এই দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Mikhail_Trilisser
ইস্তাম্বুলে থাকা অবস্থায় আগাবেকভ ইসাবেল স্ট্রেটার নামক এক ইংরেজি ভাষা শিক্ষিকার প্রেমে পড়ে। অনেক বিশ্লেষকের মতে, ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা আগাবেকভকে পক্ষ পরিবর্তন করানোর উদ্দেশ্যে ইসাবেলকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করেছিল। ১৯৩০ সালের জুনে আগাবেকভ ফ্রান্সে পালিয়ে যায়। আগাবেকভের বক্তব্য অনুযায়ী, তার পক্ষ পরিবর্তনের কারণ ছিল রাজনৈতিক ও আদর্শিক। সোভিয়েত ইউনিয়নে আমলাতন্ত্রের বিস্তার, কমিউনিস্ট পার্টিতে গণতন্ত্রের বিলুপ্তি এবং স্তালিনের একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে সে তার পক্ষ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে দায়ী করে! ফরাসি সরকার ১৯৩০ সালের আগস্টে আগাবেকভকে বহিষ্কার করলে সে ব্রাসেলসে চলে যায়। সেখানে সে নিজের প্রকৃত নাম 'আর্তুইয়ুনভ' ব্যবহার করতো। সেখানে সে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে ইসাবেলকে বিয়ে করে। ১৯৩১ সালে আগাবেকভ 'ওজিপিইউ: দ্য রাশান সিক্রেট টেরর' নামে ইংরেজি ভাষায় একটি বই লেখে।
https://www.amazon.com/Ogpu-Russian-Secret-Georges-Agabekov/dp/B002KAZT36
বইটিতে সে ওজিপিইউ এর প্রচুর গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয়। সে বার্লিনে রুশ ভাষায় আরো ২টি বই প্রকাশ করে। আগাবেকভের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে সোভিয়েত গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ১৯৩৭ সালে সোভিয়েত গোয়েন্দা কর্মকর্তা আলেক্সান্দর করোতকভ আগাবেকভকে খুন করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ফ্রান্সের প্যারিসে বসবাসরত এক প্রাক্তন ওসমানীয় সেনা কর্মকর্তাকে আগাবেকভের অবস্থান জানিয়ে দেয়া হয়। আগাবেকভ তার আত্মজীবনীতে এনভের পাশার মৃত্যুতে তার ভূমিকা সম্পর্কে লিখেছিল এবং এজন্য এনভের পাশার সমর্থকরা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। প্যারিসে বসবাসরত সেই তুর্কি ছিল এনভের পাশার সমর্থক। সে আগাবেকভকে খুন করে লাশ অজ্ঞাত স্থানে দাফন করে।
Comments