রক্ত চোষা অব্যাহত

 

আফগানিস্তানকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ খনিজ সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশটিতে আনুমানিক ১৪০০-র অধিক বিভিন্ন খনিজ ক্ষেত্র রয়েছে।

https://www.aljazeera.com/features/2019/5/28/why-is-afghanistan-unable-to-extract-its-vast-mineral-wealth

খনিজ ক্ষেত্রগুলোর আনুমানিক মূল্য ১ থেকে ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিছু তথ্য অনুযায়ী সেটা সাত ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত হতে পারে। স্বর্ণ, রৌপ্য, প্লাটিনাম, ইউরেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, তামা, লোহা, ক্রোমাইট, লিথিয়াম ইত্যাদি আছে খনিজ পদার্থের তালিকায়। সেই সঙ্গে রয়েছে উন্নত মানের পান্না, রুবি, নীলকান্তমণি, ফিরোজা ইত্যাদি রত্ন-পাথরের মজুদ। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এর গবেষণা অনুযায়ী আফগানিস্তান ৬০ মিলিয়ন মেট্রিক টন তামা, ২.২ বিলিয়ন টন লোহা, ১.৪ মিলিয়ন টন দুর্লভ বস্তু (যেমন- ল্যান্থানাম, সেরিয়াম, নিউডিমিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম) রয়েছে। আর রয়েছে সোনা, রূপা, দস্তা, পারদ ও লিথিয়াম। দেশটিতে এত বেশি পরিমাণে লিথিয়াম আছে যে, দেশটি বিশ্বের লিথিয়ামের রাজধানী হয়ে উঠতে পারে। দুর্লভ বস্তু বা রেয়ার আর্থ ইলিমেন্ট (REE) হচ্ছে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বস্তু। হাতের মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ থেকে শুরু করে মহাকাশে পাঠানো স্যাটেলাইট, এমনকি হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরি ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে আরইই'র ব্যবহার করা হয়।

https://www.researchgate.net/publication/342344166_AFGHANISTAN'S_NATURAL_RESOURCES

হাই-টেক শিল্পের উন্নয়নের সাথে সাথে আরইই এর প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। বর্তমান পৃথিবীতে বলিভিয়ায় লিথিয়ামের সর্বোচ্চ মজুদ রয়েছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী আফগানিস্তানের শুধুমাত্র গজনি প্রদেশে বলিভিয়ায় চেয়ে বেশি লিথিয়ামের মজুদ রয়েছে।

https://thediplomat.com/2020/02/afghanistans-mineral-resources-are-a-lost-opportunity-and-a-threat/

ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী দেশটির হেলমান্দ প্রদেশে আনুমানিক ১.১ থেকে ১.৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন আরইই এর মজুদ আছে। আরইই সামরিক শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পদার্থ। এটি ট্যাংক নেভিগেশন সিস্টেম, ক্ষেপণাস্ত্র গাইডেন্সিং সিস্টেম, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা উপাদান, স্যাটেলাইট এবং বিভিন্ন সামরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উৎপাদনের মূল কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) ও আফগানিস্তান ভূতাত্ত্বিক জরিপ (এজিএস) এর যৌথ গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে আফগানিস্তানের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে পেট্রোলিয়ামের বিশাল মজুদ রয়েছে। শুধুমাত্র দেশটির উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন তেল ও গ্যাসক্ষেত্রে আনুমানিক ১.৬ বিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল, ১৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ৫০০ মিলিয়ন তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে।

https://www.mining.com/1-trillion-motherlode-of-lithium-and-gold-discovered-in-afghanistan/

এছাড়া এখানে প্রচুর অনাবিষ্কৃত পেট্রোলিয়াম ক্ষেত্র রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। বেশিরভাগ অপ্রকাশিত অপরিশোধিত তেল ও গ্যাসের অবস্থান দেশটির উত্তরাঞ্চলে আফগান-তাজিক এবং আমু দারিয়া অববাহিকায়। আফগানিস্তানে অনেকগুলো পাললিক অববাহিকা রয়েছে।

https://www.fraserinstitute.org/article/afghanistans-rare-earth-element-bonanza

দেশটির অধিকাংশ পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান এবং উন্নয়ন কার্যক্রম উত্তরাঞ্চলের আমু দারিয়া এবং আফগান-তাজিক অববাহিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এই দু'টি অববাহিকা আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ১৯৫৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে যৌথভাবে সেখানে অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল। এরপর সোভিয়েত যুগে আমু দারিয়া অববাহিকায় ছয়টি তেল ক্ষেত্র ও আটটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়।

https://www.independent.co.uk/news/world/asia/afghanistan-s-resources-could-make-it-the-richest-mining-region-on-earth-2000507.html

এগুলোতে আনুমানিক প্রায় ৯৬৩ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং ৫২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আমু দারিয়া অববাহিকার মতো আরেকটি হচ্ছে আফগান-তাজিক অপরিশোধিত তেল অববাহিকা। এই অববাহিকায় অপরিশোধিত তেল দেশটির উত্তর ও উত্তর-পূর্বের প্রায় ৩১,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। ১৯৫৮ সালে আফগান-তাজিক অপরিশোধিত তেল অঞ্চলটি আবিষ্কৃত হয়। সেসময় সেখানে আনুমানিক প্রায় ৯৪৬ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং ৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ছিল। আফগান-তাজিক পাললিক অববাহিকায় তেল ও গ্যাস অঞ্চল ১২টি ব্লকে বিভক্ত। তন্মধ্যে শুধু দু'টি ব্লকের ৫১৪ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং ৯১ বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে। শুধুমাত্র এই দু'টি ব্লক দিয়ে আফগানিস্তানের জ্বালানি চাহিদা পূরণ সম্ভব। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ইরান সীমান্ত থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে প্রায় ২৬,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত ত্রিপুল তেল অববাহিকা। এই অববাহিকায় তেলের পরিমাণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য এখনো জানা না গেলেও ভূতাত্ত্বিকদের মতে এখানে যথেষ্ট পরিমাণে গ্যাস ও তেল মজুদ রয়েছে। আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বে ৪৫,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে কাটোয়াজ তেল ও গ্যাস অঞ্চল। এই অঞ্চলটিতে এখনো ভালোভাবে অনুসন্ধান চালানো না হলেও এখানে যথেষ্ট পরিমাণ তেল ও গ্যাসের মজুদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে মরুভূমিতে প্রায় ১,৩১,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে বিশাল হেলমান্ড অপরিশোধিত তেল অববাহিকা। এখানে বিশাল পরিমাণে খনিজ তেল ও গ্যাসের মজুদ রয়েছে। হিন্দুকুশ ও কারাকোরাম পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত আফগানিস্তানে মূল্যবান রত্ন পাথরের বিশাল মজুদ রয়েছে। আফগানিস্তানে ৬,৫০০ বছর আগে থেকে রত্নপাথর পাওয়া যায়। নব্য প্রস্তর যুগের বণিকরা হিন্দুকুশ পর্বতমালা থেকে নীলকান্তমণি খনন করে তা মেসোপটেমিয়া, মিশর এবং ভারতে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে বণিকরা নীলকান্তমণিসহ পান্না, রুবি ও ফিরোজা ইত্যাদি মূল্যবান রত্নপাথর খনন করে নিয়ে যেতো। প্রাচীন সিল্ক রোড দিয়ে বাণিজ্যরত ব্যবসায়ীরা আফগানিস্তান থেকে মণি-মুক্তা নিজেদের সাথে নিয়ে যেতো। এভাবে আফগানিস্তানের রত্নপাথর বিশেষ করে নীলকান্তমণি পুরো পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশ বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান মনি-মুক্তার জন্য বিখ্যাত। বাদাখশানের বিশ্ববিখ্যাত নীলকান্তমণি ঐতিহাসিকভাবে আফগানিস্তানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। আফগানিস্তানে খনন করা প্রায় ৯৫% রত্নপাথর অবৈধভাবে উত্তোলিত হয় এবং তা কাটা ও বিক্রির জন্য অবৈধভাবে পাকিস্তানে চালান করা হয়। এরপর অবৈধভাবে পাকিস্তানের মাধ্যমে এসব রত্নপাথর বিশ্বজুড়ে রফতানি করা হয়। অবৈধভাবে উত্তোলনের ফলে আফগানিস্তান সরকার নিজেদের খনিজগুলো থেকে যথেষ্ট পরিমাণ আয় করতে পারছে না। এর ফলে এসব রত্ন পাথরের বার্ষিক উৎপাদনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যবান রত্নপাথরের পাশাপাশি আফগানিস্তানে স্বর্ণের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। শতাব্দীকাল ধরে আফগানিস্তানের গজনী, জাবুল, কান্দাহার এবং তাখার প্রদেশসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে স্বর্ণ উত্তোলন করা হচ্ছে। এছাড়া বাদাখশান ও হেলমান্দ প্রদেশে স্বর্ণের বিশাল মজুদ রয়েছে। আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি নদীর উপত্যকায় বিশেষ করে আঞ্জির, হাসার, নুরাবা এবং পাঞ্জ নদীর উপত্যকায় স্বর্ণের মজুদ রয়েছে। পাঞ্জ নদীর উপত্যকায় অবস্থিত সমতি খনিতে আনুমানিক প্রায় ২০ থেকে ২৫ মেট্রিক টন স্বর্ণ রয়েছে। এছাড়া দেশটির গজনি প্রদেশে থাকা স্বর্ণ ও তামার মজুদের আনুমানিক মূল্য ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাবুল থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আয়নাক তামা খনিটি দেশটির অন্যতম মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। ১৯৭৪ সালে সোভিয়েত ভূতাত্ত্বিকগণ কাবুলের আশেপাশে খনিজ সম্পদ খোঁজার জন্য ম্যাপ করে। সেসময় আইনাক, দারবান্ড এবং জাওখর তামা খনিগুলো পুনরাবিষ্কার করে। সেসময়ের জরিপ অনুযায়ী শুধুমাত্র আয়নাক খনিতে ২৪০ মিলিয়ন মেট্রিক টন ২.৩ শতাংশ মানের তামা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আফগানিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলে তামার মজুদ থাকলেও আয়নাকের তামা বিশ্ববিখ্যাত। কাবুল থেকে ১৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে বামিয়ান প্রদেশে বিখ্যাত হাজিগাক নামক লোহার খনির অবস্থান। ১৯৬০ সালে একটি সরকারি জরিপ অনুসারে হাজিগাক খনিটিতে ৬২% ঘনত্বের প্রায় ১.৮ বিলিয়ন টন লোহা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে যা সেটিকে বিশ্বমানের লোহার খনি হিসাবে চিহ্নিত করে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে বেরিলিয়ামের একটি খনি পাওয়া গেছে যা অ্যালুমিনিয়ামের চেয়ে হালকা এবং বিমান, হেলিকপ্টার, জাহাজ, মিসাইল এবং মহাকাশযানে ব্যবহৃত স্টিলের চেয়ে শক্তিশালী। সেখানে আনুমানিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বেরিলিয়াম রয়েছে। আফগানিস্তানে সংঘাতের অন্যতম কারণ তাদের খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য। দেশটির খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ প্রদেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি অস্থিরতা। অবৈধভাবে এসব খনিজ সম্পদ উত্তোলিত হয়ে বিদেশে পাচার হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও পরবর্তীতে অবস্থান পরিবর্তন করেছিলেন, আফগানিস্তানের খনিজ হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা থেকে মার্কিন প্রশাসন পুরোপুরি সৈন্য প্রত্যাহার থেকে বিরত থেকেছে। 

https://www.usip.org/publications/2014/12/exploitation-mineral-resources-afghanistan

দেশটির বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন ও মিলিশিয়া গ্রুপগুলোর অর্থের প্রধান উৎস হচ্ছে অবৈধভাবে খনিজ উত্তোলন। বিভিন্ন খনির নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তালেবান ও আইসিস আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদ থেকে ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছে। এক তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র তালেবান বছরে আড়াই থেকে দশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে যা আফিমের পর তাদের আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। মাইনিং কোম্পানিগুলোর আফগানিস্তানের প্রতি অনাগ্রহের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও মিলিশিয়া গ্রুপকেও ট্যাক্স দিতে হয়। অনেকসময় কোম্পানিগুলো স্থানীয় সংগঠনকে অর্থ দিতে অস্বীকার করলে তারা কোম্পানির কর্মচারীদের জিম্মি বানিয়ে অর্থ আদায় করে। খনিতে মজুদের পরিমাণ নির্ণয়, ভূতাত্ত্বিক মডেলিং, খনির নকশা ও লেআউট তৈরি করা, ভূ-প্রযুক্তিগত তথ্য ও সামগ্রিক খনির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। আফগানিস্তানের খনিগুলোতে নেই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। দেশটিতে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার ও বিশেষজ্ঞের অভাবের ফলে সর্বক্ষেত্রে বিদেশিদের উপর নির্ভর করতে হয়। আফগানিস্তানে খনিতে কর্মরত প্রায় সবাই অদক্ষ শ্রমজীবী ও শিশু যাদের মাইনিং বিষয়ক কোনো জ্ঞান নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণহীন শ্রমিকরা দশ থেকে বারো ঘন্টা কোনো আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়া কাজ করে। সেজন্য প্রায়ই আফগানিস্তানে খনিতে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।






























Comments

Popular posts from this blog

শিবিরনামা [পর্ব-এক]

পশ্চিমাদের পুতুল সরকার [পর্ব-এক]

দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-এক]