এরদোয়ান সিরিয়ায় যেভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করছে

 

সিরিয়ার ইদলিবের তথাকথিত বিদ্রোহীদের তালিকা-

#হাইআত তাহরির আল-শাম এর সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে ১২ হাজার বলে ধারণা করা হয়।

https://www.reuters.com/article/us-mideast-crisis-syria-un/un-fears-chemical-weapons-in-syria-battle-with-10000-terrorists-idUSKCN1LF157

এটির অনুগত অন্যান্য ছোটখাটো সংগঠনগুলোসহ হিসেব করলে এই সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারের মতো হতে পারে।

https://www.reuters.com/article/us-mideast-crisis-syria-idlib/syrian-army-presses-offensive-in-last-rebel-stronghold-of-idlib-idUSKBN1EW0F9

সংগঠনটির বিবর্তন হয়েছে আল-কায়েদার সিরীয় শাখা আল-নুসরা ফ্রন্ট থেকে। ২০১৬ সালে আল-নুসরা আনুষ্ঠানিকভাবে আল-কায়েদার সাথে নিজেদের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়। সংগঠনটি নিজেদের নাম পরিবর্তন করে জাবহাত ফাতাহ আল-শাম হিসেবে নামকরণ করে।

https://www.bbc.com/news/world-45401474

২০১৭ সালে জাবহাত ফাতাহ আল-শাম সমমনা আরো কিছু জিহাদী সংগঠনের সাথে একত্রিত হয়ে হাইআত তাহরির আল-শাম নামে একটি কোয়ালিশন গঠন করে।

https://www.longwarjournal.org/archives/2016/07/analysis-al-nusrah-front-rebrands-itself-as-jabhat-fath-al-sham.php

সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে আল-কায়েদার সাথে সম্পর্ক অস্বীকার করলেও এদের বর্তমান অনেক নেতা পূর্বে আল-কায়েদার নেতা ছিল। এমনকি সংগঠনটির প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি ছিল জাবহাত আল-নুসরার প্রধান, যে কিনা জঙ্গি সংগঠন আইএসের তথাকথিত খিলাফত ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত এর প্রধান আবুবকর আল-বাগদাদীর সহযোগী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল।

https://english.alaraby.co.uk/analysis/whos-who-nusra-front

সংগঠনটির তুরস্ক বান্ধব নীতির কারণে আল-কায়েদার নেতারা এর সমালোচনা করে।

https://syria.chathamhouse.org/research/hayat-tahrir-al-shams-deal-with-turkey-further-alienates-it-from-other-jihadists

অন্যদিকে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ আন্তর্জাতিক সংগঠন তাদের আল-কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।

https://www.reuters.com/article/us-mideast-crisis-syria-turkey/turkey-designates-syrias-tahrir-al-sham-as-terrorist-group-idUSKCN1LG1XM

দীর্ঘদিন এইচটিএসকে আলোচনার মাধ্যমে বিলুপ্ত করে নিজেদের অধীনস্ত করতে ব্যর্থ হয়ে তুরস্ক একে আল-কায়েদার প্রতিরূপ হিসেবে আখ্যায়িত করে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

#ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা জাবহাত আল-ওয়াতানিয়াত আল-তাহরির হচ্ছে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর জোট। এর একটি অংশ হচ্ছে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির বিভিন্ন ব্রিগেড, যেগুলোর নেতৃত্বে আছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করা সেনা কর্মকর্তারা। এছাড়া এতে বিভিন্ন ইসলামপন্থী এবং জিহাদী গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত আছে।

https://carnegie-mec.org/diwan/55344?lang=en

এনএলএফের নেতৃত্বে আছে সিরিয়ার মুসলিম ব্রাদারহুডের অনুগত সংগঠন ফায়লাক আল-শামের প্রধান ফাদলাল্লাহ আল-হাজি।

https://www.thenewhumanitarian.org/analysis/2018/09/03/syrian-war-understanding-idlib-s-rebel-factions

এই কোয়ালিশনে অন্তর্ভুক্ত সংগঠনগুলোর মধ্যে আছে আহরার আল-শাম, নুরুদ্দিন আল-জিঙ্কি, জাইশ আল-আহরারসহ বিভিন্ন সংগঠন। এদের মধ্যে নুরুদ্দিন আল-জিঙ্কির মতো জিহাদী সংগঠন এইচটিএসের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এনএফএলের প্রধান লক্ষ্য এইচটিএসের প্রভাব প্রশমিত করে নিজেদের ইদলিবের প্রধান শক্তিতে পরিণত করা এবং তুরস্কের স্বার্থ রক্ষা করা। আদর্শিকভাবে বিভিন্ন ধরনের কোয়ালিশনটি একত্রিত হয়েছে কেবলমাত্র তুরস্কের পৃষ্ঠপোষকতার ফলে। তুরস্ক সংগঠনটিকে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় এইচটিএসকে বিলুপ্ত হয়ে এনএলএফের সাথে মিশে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

#তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি মূলত চীনের উইঘুর মুসলমানদের সমন্বয়ে সংগঠিত জিহাদী সংগঠন। তুরস্কের সীমান্ত এবং আসাদ নিয়ন্ত্রিত লাতাকিয়ার অদূরে ইদলিবের জিস্‌র আল-শুঘুর এলাকাটি এদের নিয়ন্ত্রণে।

https://www.cfr.org/backgrounder/east-turkestan-islamic-movement-etim

এরা মূলত আল-কায়েদা তথা এইচটিএসের নীতির অনুসারি হলেও তুরস্কের সাথেও এদের বেশ ভালো সম্পর্ক আছে।

#ইদলিবে বিচ্ছিন্নভাবে আরো বেশ কিছু সংগঠনের অস্তিত্ব আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হুররাস আল-দিন যারা এইচটিএসের একটি অংশ ছিল, পরবর্তীতে আল-কায়েদার সাথে এইচটিএসের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরা আল-কায়েদার প্রতি অনুগত এবং এইচটিএসকে এরা তুরস্কপন্থী হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করে। এর বাইরেও জাইশ আল-ইজ্জা নামে একটি সংগঠন আছে, যারা ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সাথে সম্পর্কিত ছিল, কিন্তু বর্তমানে স্বতন্ত্রভাবে যুদ্ধ করছে।এছাড়া ইদলিবে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি সৈন্য যুদ্ধরত আছে যাদের মধ্যে চেচনিয়ানদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। হুররাস আল-দিনের সদস্যদের একটি বড় অংশ মূলত চেচেন, যারা পূর্বে জুনুদ আল-শাম নামক গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইদলিবে সরাসরি আইএসের নিয়ন্ত্রণে কোনো এলাকা না থাকলেও সেখানে আইএসের গোপন উপস্থিতি আছে। 


























































Comments

Popular posts from this blog

শিবিরনামা [পর্ব-এক]

পশ্চিমাদের পুতুল সরকার [পর্ব-এক]

দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-এক]