উত্তর কোরিয়া
পঞ্চাশের দশকে প্রতিষ্ঠিত উত্তর কোরিয়ার একদিকে ছিল মাওবাদী চীন, আরেকদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন। দুটিই কমিউনিস্ট দেশ হওয়ার পরও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছিল দুই দেশের মধ্যে। এই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে উত্তর কোরিয়া আত্ম-নির্ভরশীলতার তত্ত্ব নিয়ে আসে, কোরিয়ান ভাষায় যেটি 'জুচে' নামে পরিচিত।https://www.e-ir.info/2011/08/07/assessing-the-success-of-self-reliance-north-korea%E2%80%99s-juche-ideology/
মার্ক্সিজম, প্রথাগত কনফুসিয়ান দর্শন আর কোরিয়ান জাতীয়তাবাদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে জুচে থিওরি; সাথে যুক্ত হয় সাম্রাজ্যবাদী জাপানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পাওয়া কিছু সামাজিক ও রাজনৈতিক আচার। এই তত্ত্বের মূল ধারণা হচ্ছে উত্তর কোরিয়া পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তের সাথে নিজের বিচ্ছিন্নতা বজায় রাখবে, নিজের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতার উপর নির্ভর করে রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণ করবে এবং কোরিয়ার জনগণ কিম পরিবারের নির্দেশনা অনুসরণ করবে। জুচে থিওরি এখনও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় তাত্ত্বিক দর্শন হলেও সময়ের সাথে এই থিওরি পরিবর্তিত হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে উত্তর কোরিয়া নিজেদের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে সামরিক বাহিনীর আকার বৃদ্ধি করে, বাড়ে সামরিক ব্যয়। ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কোরিয়ান ফিলোসফির বিশেষজ্ঞ ড্যান ব্রাউনের মতে, জুচে থিওরির অর্থ হলো যতদিন কিম পরিবার আছে, ততোদিন কোরিয়ানদের ইশ্বরের প্রয়োজন নেই।
https://apjjf.org/2015/13/12/Benjamin-Young/4303.html
রাষ্ট্রের সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে কিম পরিবারের হাতে, ক্ষমতা চর্চার সুযোগ পায় কিম পরিবারকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হওয়া অভিজাত শ্রেণি।
https://svenskajuchegruppen.wordpress.com/nyheter/
কিমদের প্রতি আনুগত্যের বিনিময়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায় অভিজাত শ্রেণি আর সামরিক বাহিনী। এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া তিনজন সুপ্রিম লিডার পেয়েছে। কিম ইল সুং, কিম জন ইল ও কিম জন উন। সুপ্রিম কমান্ডার হিসেবে তারা ওয়ার্কাস পার্টির শীর্ষ পদে থেকে নেতৃত্ব দেন প্রেসিডিয়াম, পলিটিব্যুরো আর সেক্রেটারিয়েটকে, দায়িত্ব পালন করেন সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে।
http://world.kbs.co.kr/special/northkorea/contents/archives/politics/summary.htm?lang=e
https://www.britannica.com/place/North-Korea/Government-and-society
https://www.bbc.co.uk/newsround/20692214
https://www.amazon.com/North-Korea-Politics-Regime-Survival/dp/0765616394
নীতিনির্ধারণী কাজে ওয়ার্কাস পার্টি অব কোরিয়ার চারটি প্রধান কাঠামো ভূমিকা রাখে- ওয়ার্কাস পার্টির সেন্ট্রাল কমিটি, পলিটিক্যাল ব্যুরো (পলিটিব্যুরো), দ্য কন্ট্রোল কমিশন এবং এক্সিকিউটিভ পলিসি ব্যুরো।
https://www.cfr.org/backgrounder/north-koreas-power-structure
সেন্ট্রাল কমিটির আবার বিশটির মতো বিভাগ রয়েছে, সরকারি সংস্থাগুলো যাদের কাছে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।
https://www2.jiia.or.jp/en/pdf/digital_library/korean_peninsula/160331_Takashi_Sakai.pdf
সেন্ট্রাল কমিটির অধীনে থাকা বিভাগগুলো প্রকল্পের প্রস্তাবনাগুলোকে বিশ্লেষণ করে। তারা অনুমোদন দিলে সরকারি সংস্থাগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমতি পায়। ওয়ার্কাস পার্টির এক্সিকিউটিভ কমিটি কোরিয়ার গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে, রাষ্ট্রের শীর্ষপদে নিয়োগগুলোর ব্যাপারে পরামর্শ দেয়, দল আর কেবিনেটে আছে তাদের অপরিসীম প্রভাব।
https://www.officeholidays.com/holidays/north-korea/party-foundation-day
বর্তমানে প্রায় বারো লক্ষ সক্রিয় সামরিক সদস্য রয়েছে কোরিয়ান পিপলস আর্মিতে, যাদের মধ্যে দুই লাখের অধিক সদস্যের রয়েছে স্পেশাল অপারেশনে অংশগ্রহণের ট্রেনিং।
https://www.voanews.com/east-asia/north-korea-sets-date-first-ruling-party-congress-36-years
বারো লাখ সক্রিয় সদস্যের পাশাপাশি আরো প্রায় দশ লাখ সৈন্য আছে রিজার্ভে।
https://www.thaipbsworld.com/north-korea-military-parade-marks-the-countrys-70th-anniversary-2/
কোরিয়ান পিপলস আর্মির সাংগঠনিক কাঠামো অন্যান্য রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সুগঠিত, কার্যকর চেইন অব কমান্ড রয়েছে, কোরিয়ান সমাজে রয়েছে বিপুল গ্রহণযোগ্যতা। রাষ্ট্রীয় অস্ত্রের মজুত তাদের নিয়ন্ত্রণে, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রণে।
https://abcnews.go.com/International/north-koreas-parade-bigger-twist-reporters-notebook/story?id=57672421
অর্থনীতির বিশাল অংশ রয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রণে, অর্থনৈতিক রিসোর্সগুলোর নিয়ন্ত্রণও তাদের কাছে।
https://time.com/17720/north-korea-election-a-sham-worth-studying/
কিম পরিবারকে সবসময় সামরিক বাহিনীর সাথে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হয়েছে। কিম জং ইলের সময় উত্তর কোরিয়াতে সামরিকায়নের গতি বৃদ্ধির সময় পাল্লা দিয়ে বাড়ে সামরিক বাহিনীর প্রভাব। কিম পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্মের এই শাসক সামরিক নেতৃত্বের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখতেন, কাঠামোগত পরিসরগুলোকে এড়িয়ে সামরিক বাহিনীতে দিতেন ক্ষমতা চর্চার সুযোগ।
https://m.dw.com/en/north-koreans-vote-in-state-election/a-47840646
উত্তর কোরিয়াতে সুপ্রিম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রতি পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন হয়; প্রতি বছর দশ দিনের জন্য বসে অধিবেশন, কাজ করে জাতীয় আইনসভা হিসেবে। স্থানীয় অ্যাসেম্বলিগুলোতে চার বছর অন্তর নির্বাচন হয়, জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন নাগরিকদের সরাসরি ভোটে। স্থানীয় আর জাতীয় পর্যায়ের অ্যাসেম্বলিগুলোর নির্বাচনে ভোটার টার্নআউট প্রায় শতভাগ। ওয়ার্কাস পার্টির বাইরেও উত্তর কোরিয়াতে কোরিয়ান সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও কনডোইস্ট চংগু পার্টি নামে আরও দু'টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এই তিন পার্টিকে নিয়ে গঠিত হয়েছে ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ফর দ্য রিইউনিফিকেশন অব ফাদারল্যান্ড। এই ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার অনুমোদন দেয়। কোরিয়ানদের এই ফ্রন্টের একমাত্র প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হয়। এই ফ্রন্টের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে কোনো প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বীতার ঘটনা বিরল। বিদ্রোহী প্রার্থীকে ভোট দিতে হলে আলাদা বুথে গিয়ে নাগরিকদের ভোট দিতে হয়। উত্তর কোরিয়াতে ভোট দেয়া প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামূলক।
পশ্চিমা মিডিয়া প্রায়ই দাবি করে যে, উত্তর কোরিয়া তার জনগণের সব ধরনের প্রয়োজন রাষ্ট্রের মাধ্যমে পূরণ করার চেষ্টা করে, কিন্তু রাষ্ট্র যা সরবরাহ করে তাতে জনগণ সন্তুষ্ট নয়। যেমন খাবারের ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে তার নাগরিককে খাবার সরবরাহ করে, কিন্তু যে পরিমাণ খাবার দেয়া হয় তাতে নাগরিকদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় না। কিন্তু ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের একটি ব্লগের মাধ্যমে জানা যায়, এই ধরনের ব্যবস্থা আগে থাকলেও বর্তমানে উত্তর কোরিয়া বাজার অর্থনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েছে। দুই যুগ আগে 'পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম' এর মাধ্যমে জনগণকে সরকারি সেবা দেয়া হতো, কিন্তু বর্তমানে বাজার অর্থনীতি গ্রহণ করার ফলে যে কেউ স্বাধীনভাবে উদ্যোগ নিতে পারে।
https://thediplomat.com/2016/01/4-myths-about-north-korea/
পশ্চিমা মিডিয়া প্রায়ই বলে থাকে "উত্তর কোরিয়া একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। এই দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে এবং পশ্চিমা বিশ্ব যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দেয় তবে অতি শীঘ্রই এখানে মানবিক বিপর্যয় ঘটবে।" এই ধরনের দাবি পশ্চিমা গণমাধ্যম প্রায় দুই যুগ ধরে করে আসছে। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের দিকে সত্যিই উত্তর কোরিয়ার ভেঙে পড়ার উপক্রম হলেও সে যাত্রায় রাষ্ট্রটি বেঁচে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি বড়জোর খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু কখনও ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয়নি। সেখানে অর্থনীতির অগ্রগতি খুব দ্রুত না হলেও আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি এখন বেশ শক্ত অবস্থানে আছে।
https://amp.theatlantic.com/amp/article/274488/
পশ্চিমা বিশ্বের সাথে দেশটির কোনো সম্পর্ক না থাকার কারণে দেশগুলোর গণমাধ্যম উত্তর কোরিয়াকে আধুনিক দুনিয়ায় থেকে নিজেদের আলাদা করে রাখা একটি রাষ্ট্র' হিসেবে প্রচার করে। অথচ প্রতিবছর হাজার হাজার উত্তর কোরীয় শিক্ষার্থী বিদেশে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা নিতে যায়। চীন, মঙ্গোলিয়া ও রাশিয়ায় অসংখ্য উত্তর কোরীয় নাগরিক বিভিন্ন অর্থনৈতিক কাজে জড়িত আছে। 'দ্য লায়ন কিং' নামে বিখ্যাত অ্যানিমেটেড ফিল্মে পিয়ং ইয়ংয়ের অভিজাত কার্টুন ইন্ডাস্ট্রি কাজ করেছিল। উত্তর কোরিয়ার একটি নির্মাতা কোম্পানি কম্বোডিয়ায় একটি অত্যাধুনিক জাদুঘর তৈরি করেছে, যেখানে সিমুলেশনের মাধ্যমে প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শনগুলো ফুটিয়ে তোলা যাবে।
https://ceas.yale.edu/events/five-myths-about-north-korea
পৃথিবীর অনেক দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন চীন হচ্ছে একমাত্র দেশ যেটি পশ্চিমা বিশ্বের সাথে উত্তর কোরিয়ার অচলাবস্থা দূর করতে পারে। পশ্চিমাদের এই দাবিও বাস্তবতাবিবর্জিত। উত্তর কোরিয়ার সাথে চীন অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে সখ্য থাকলেও বাস্তবে যেকোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে উত্তর কোরিয়ার উপর চীনের কোনো প্রভাব নেই। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক দাবি করেন, কিম জং উনের সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সুপ্রিম লিডার শি জিনপিংয়ের সম্পর্ক খুব বেশি ভালো না। চীন কৌশলগত কারণে উত্তর কোরিয়াকে হারাতে চায় না, তাই অনেক সময় উত্তর কোরিয়ার অনেক আচরণে চীন ক্ষুদ্ধ হলেও বাস্তবে কঠোর ব্যবস্থা নেয় না।
https://thediplomat.com/2016/01/4-myths-about-north-korea/
পশ্চিমা মিডিয়া প্রায়ই বলে থাকে "উত্তর কোরিয়া একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। এই দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে এবং পশ্চিমা বিশ্ব যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দেয় তবে অতি শীঘ্রই এখানে মানবিক বিপর্যয় ঘটবে।" এই ধরনের দাবি পশ্চিমা গণমাধ্যম প্রায় দুই যুগ ধরে করে আসছে। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের দিকে সত্যিই উত্তর কোরিয়ার ভেঙে পড়ার উপক্রম হলেও সে যাত্রায় রাষ্ট্রটি বেঁচে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি বড়জোর খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু কখনও ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয়নি। সেখানে অর্থনীতির অগ্রগতি খুব দ্রুত না হলেও আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি এখন বেশ শক্ত অবস্থানে আছে।
https://amp.theatlantic.com/amp/article/274488/
পশ্চিমা বিশ্বের সাথে দেশটির কোনো সম্পর্ক না থাকার কারণে দেশগুলোর গণমাধ্যম উত্তর কোরিয়াকে আধুনিক দুনিয়ায় থেকে নিজেদের আলাদা করে রাখা একটি রাষ্ট্র' হিসেবে প্রচার করে। অথচ প্রতিবছর হাজার হাজার উত্তর কোরীয় শিক্ষার্থী বিদেশে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা নিতে যায়। চীন, মঙ্গোলিয়া ও রাশিয়ায় অসংখ্য উত্তর কোরীয় নাগরিক বিভিন্ন অর্থনৈতিক কাজে জড়িত আছে। 'দ্য লায়ন কিং' নামে বিখ্যাত অ্যানিমেটেড ফিল্মে পিয়ং ইয়ংয়ের অভিজাত কার্টুন ইন্ডাস্ট্রি কাজ করেছিল। উত্তর কোরিয়ার একটি নির্মাতা কোম্পানি কম্বোডিয়ায় একটি অত্যাধুনিক জাদুঘর তৈরি করেছে, যেখানে সিমুলেশনের মাধ্যমে প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শনগুলো ফুটিয়ে তোলা যাবে।
https://ceas.yale.edu/events/five-myths-about-north-korea
পৃথিবীর অনেক দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন চীন হচ্ছে একমাত্র দেশ যেটি পশ্চিমা বিশ্বের সাথে উত্তর কোরিয়ার অচলাবস্থা দূর করতে পারে। পশ্চিমাদের এই দাবিও বাস্তবতাবিবর্জিত। উত্তর কোরিয়ার সাথে চীন অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে সখ্য থাকলেও বাস্তবে যেকোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে উত্তর কোরিয়ার উপর চীনের কোনো প্রভাব নেই। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক দাবি করেন, কিম জং উনের সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সুপ্রিম লিডার শি জিনপিংয়ের সম্পর্ক খুব বেশি ভালো না। চীন কৌশলগত কারণে উত্তর কোরিয়াকে হারাতে চায় না, তাই অনেক সময় উত্তর কোরিয়ার অনেক আচরণে চীন ক্ষুদ্ধ হলেও বাস্তবে কঠোর ব্যবস্থা নেয় না।

Comments