সোভিয়েত জর্জিয়া

 


১৯১৮ সালের মে মাসে জর্জিয়ায় 'জর্জিয়া গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র' নামক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জাতীয়তাবাদী ও সামাজিক গণতন্ত্রী 'জর্জিয়া সামাজিক গণতন্ত্রী দল' (জর্জীয় মেনশেভিক) রাষ্ট্রটির শাসনভার গ্রহণ করে। ১৯১৮ সালের জুন মাসে ওসমানীয় সাম্রাজ্য জর্জিয়ার ওপর আক্রমণ চালায়। কিন্তু জর্জিয়া ওসমানীয়দের মিত্ররাষ্ট্র জার্মানির সঙ্গে মৈত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর করে জার্মান আশ্রিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অক্ষ শক্তির পরাজয়ের পর ব্রিটিশরা জর্জিয়ায় সৈন্য প্রেরণ করলেও পরবর্তীতে সৈন্য প্রত্যাহার করে। তখন জর্জিয়া পার্শ্ববর্তী আর্মেনিয়া, রুশ শ্বেত ফৌজ, জর্জীয় বলশেভিক দল এবং জর্জিয়ার অভ্যন্তরে বসবাসরত বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Sergo_Ordzhonikidze

স্তালিন ও সের্গো ওর্দঝোনিকিদজের নির্দেশে ১৯২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আর্মেনীয় সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ও জর্জিয়ার মধ্যবর্তী লোরি নিরপেক্ষ অঞ্চলে জর্জীয় বলশেভিকরা বিদ্রোহ করে।

https://www.amazon.com/Survival-Consolidation-Foreign-Policy-1918-1921/dp/0773508287

এরপর রুশ, আজারবাইজানি ও আর্মেনীয় সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র থেকে বলশেভিক সৈন্যরা জর্জীয় বলশেভিকদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে জর্জিয়ায় প্রবেশ করে জর্জীয় মেনশেভিক সৈন্যদের পরাজিত করে। ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বলশেভিক সৈন্যরা জর্জিয়ার রাজধানী তিফলিস দখল করে 'জর্জীয় সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র' প্রতিষ্ঠার ঘোষণা প্রদান করে। এসময় তুরস্কের আঙ্কারাকেন্দ্রিক গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সরকার মিত্রশক্তির (গ্রিস, ব্রিটেন ও ফ্রান্স) বিরুদ্ধে তুরস্কের স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধে লিপ্ত ছিল।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Grand_National_Assembly_of_Turkey

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Turkish_War_of_Independence

১৯২০ সালের ১৩ নভেম্বর আঙ্কারা সরকার ও জর্জিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু জর্জিয়ায় বলশেভিক আক্রমণের প্রেক্ষাপটে তুর্কি জাতীয়তাবাদীরা হারানো তুর্কি ভূমি পুনরুদ্ধারের সুযোগ দেখতে পায়। ১৮৭৭-১৮৭৮ সালের রুশ-ওসমানীয় যুদ্ধে ওসমানীয়দের পরাজয়ের পর রুশরা ওসমানীয় সাম্রাজ্যের আর্তভিন, আরদাহান, ওলতু ও বাতুমি অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Russo-Turkish_War_(1877%E2%80%931878)

১৯১৮ সালে অক্ষ শক্তি ও রুশ বলশেভিকদের মধ্যে স্বাক্ষরিত ব্রেস্ত-লিতোভস্ক চুক্তি অনুযায়ী বলশেভিকরা অঞ্চলগুলোকে ওসমানীয়দের কাছে প্রত্যর্পণ করলেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ওসমানীয়দের পরাজয়ের পর এই অঞ্চলগুলো জর্জিয়ার হস্তগত হয়।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Treaty_of_Brest-Litovsk

১৯২১ সালে জর্জিয়ার ওপর বলশেভিক আক্রমণের সুযোগে আঙ্কারা সরকার অঞ্চলগুলো পুনর্দখল করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আঙ্কারা সরকারের পূর্বাঞ্চলীয় রণাঙ্গনের কমান্ডার জেনারেল কাজিম কারাবেকির জর্জীয় মেনশেভিক সরকারকে চরমপত্র প্রেরণ করে আরদাহান, আর্তভিন ও ওলতু অঞ্চলগুলো তুর্কিদের হাতে সমর্পণ করার দাবি জানান।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/K%C3%A2z%C4%B1m_Karabekir

জর্জীয় মেনশেভিক সরকারের পক্ষে সম্ভাব্য তুর্কি আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব ছিল না বিধায় তারা উল্লেখিত অঞ্চলগুলো থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। জেনারেল কারাবেকিরের নেতৃত্বে ২০,০০০ তুর্কি সৈন্য জর্জিয়ায় প্রবেশ করে অঞ্চলগুলো দখল করলেও জর্জীয় মেনশেভিক সৈন্যদের সঙ্গে তুর্কিদের কোনো সশস্ত্র সংঘাত হয়নি। তুর্কি সৈন্যরা বন্দরনগরী বাতুমির সন্নিকটে উপস্থিত হয়। এসময় জর্জীয় মেনশেভিক সরকার বাতুমিতে অবস্থান করছিল এবং দিমিত্রি ঝলোবার নেতৃত্বাধীন লাল ফৌজের ১৮তম অশ্বারোহী ডিভিশন বাতুমির দিকে অগ্রসর হচ্ছিলো। ৭ মার্চ জর্জীয় মেনশেভিক সরকার তুর্কিদের সঙ্গে মৌখিক সমঝোতায় পৌঁছায় যেখানে সিদ্ধান্ত হয় জর্জীয় মেনশেভিকরা বাতুমিতে তুর্কি সৈন্যদের প্রবেশের ব্যাপারে সম্মত হলেও শহরটির বেসামরিক প্রশাসন মেনশেভিক সরকারের হাতে থাকবে। বাতুমিতে তুর্কি সৈন্যদের প্রবেশের সুযোগ করে দেয়ার পেছনে তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাতুমির অধিকার নিয়ে তুর্কিদের সঙ্গে বলশেভিকদের সংঘর্ষ শুরু হলে তুর্কি-বলশেভিক দ্বন্দ্বের সুযোগে জর্জীয় মেনশেভিকরা পুনর্গঠিত হতে পারবে। ৮ মার্চ কর্নেল কিজিম বে'র নেতৃত্বে তুর্কি সৈন্যরা বাতুমি শহরে প্রবেশ করে বলশেভিক আক্রমণের মোকাবিলা করার জন্য প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণ করে। রুশ সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিওর্গি চিচেরিন মস্কোয় নিযুক্ত আঙ্কারা সরকারের রাষ্ট্রদূত আলী ফুয়াদ চেবেসোয়কে প্রতিবাদপত্র প্রদান করে বাতুমি থেকে তুর্কি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানান।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Georgy_Chicherin

জবাবে চেবেসোয় চিচেরিনকে দু'টি নোট প্রদান করে জানান যে, সোভিয়েত সামরিক অভিযানের ফলে বাতুমি অঞ্চলের স্থানীয় মুসলিমদের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে বিধায় তুর্কি সৈন্যরা তাদের নিরাপত্তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বাতুমিতে প্রবেশ করেছে!

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Ali_Fuat_Cebesoy

জর্জিয়ায় বলশেভিক সামরিক অভিযান শুরুর পর ১৯২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আর্মেনীয় সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রে দাশনাকরা বলশেভিকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ইয়েরেভান দখল করে নেয়।

https://iskrathespark.blogspot.com/2021/05/blog-post_12.html?m=1

অন্যদিকে দাগেস্তানে বিদ্রোহীরা বলশেভিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখে। 'চেকা' প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, আর্মেনীয় দাশনাক ও দাগেস্তানি বিদ্রোহীদের তুর্কিরা সহায়তা করছিল। ১৯২১ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ জর্জিয়ায় তুর্কি ও বলশেভিকদের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠে। তুর্কি প্রতিনিধিদের আলোচনার জন্য মস্কোয় আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং সেখানে আঙ্কারা সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বলশেভিকরা আলোচনায় বসে। ২রা মার্চ লেনিন জর্জীয় মেনশেভিকদের সঙ্গে জোট সরকার গঠনের জন্য জর্জীয় বলশেভিক সরকারকে আহ্বান জানান। ৮ মার্চ তারা জর্জীয় মেনশেভিকদের জোট সরকার গঠনের প্রস্তাব দিলেও তারা প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে। এসময় জর্জীয় মেনশেভিক সরকার আশা করছিল, তাদের রক্ষা করার জন্য ফরাসি ও ব্রিটিশরা জর্জিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ করবে! বলশেভিক আক্রমণের পর ফরাসি নৌবাহিনী কৃষ্ণসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষার জন্য জর্জীয় মেনশেভিকদের সহায়তা করেছিল এবং বলশেভিক সৈন্যদের ওপর গোলাবর্ষণ করেছিল। জর্জীয় মেনশেভিক সরকার তুর্কিদের সুরক্ষায় থেকে জর্জিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ করার জন্য ফরাসিদের চাপ দিচ্ছিলো, অথচ সেসময় তুরস্ক ও ফ্রান্স একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। জর্জীয় মেনশেভিক সরকার ফ্রান্সের নিকট আবেদন জানায় যে, তারা যেন জর্জিয়াকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি প্রদান ও জর্জিয়ায় ভৌগোলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার জন্য তুর্কিদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। ফ্রান্স এসময় তুর্কি জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল এবং তুর্কিদের ওপর চাপ প্রয়োগের মতো অবস্থানে ছিল না। ১৯২১ সালের ১৬ মার্চ বলশেভিকরা ব্রিটেনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং এ চুক্তি অনুযায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লয়েড জর্জ প্রাক্তন রুশ সাম্রাজ্যের ভূখণ্ডে বলশেভিকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/David_Lloyd_George

ব্রিটিশদের সঙ্গে সমন্বয় ছাড়া ফরাসিরাও দক্ষিণ ককেশাসে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী ছিল না। একই দিনে রুশ সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ও আঙ্কারা সরকারের মধ্যে 'মস্কো চুক্তি' স্বাক্ষরিত হয় এবং এর মধ্য দিয়ে মস্কো ও আঙ্কারা দক্ষিণ ককেশাসের বলশেভিক প্রজাতন্ত্রগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সীমান্ত নির্ধারণ করে। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে আরদাহান, আর্তভিন ও ওলতু তুরস্কের হস্তগত হয় এবং বাতুমি জর্জীয় সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু চুক্তির পরও তুর্কিরা বাতুমি ছেড়ে দিতে ইচ্ছুক ছিল না। ১৭ মার্চ বাতুমিতে মোতায়েনকৃত তুর্কি সৈন্যদের কমান্ডার কর্নেল কিজিম বে নিজেকে বাতুমির সামরিক প্রশাসক ঘোষণা করেন। জর্জীয় মেনশেভিক সরকার আশঙ্কা করতে শুরু করে যে, বাতুমি স্থায়ীভাবে জর্জিয়ার হাতছাড়া হয়ে তুর্কি শাসনাধীনে চলে যাবে। তারা বলশেভিকদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯২১ সালের ১৭ মার্চ কুতাইসিতে জর্জীয় বলশেভিক সরকারের প্রতিনিধি আভেল এনুকিদজে এবং জর্জীয় মেনশেভিক সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রিগোল লোর্দকিপানিদজে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Avel_Yenukidze

পরের দিন স্বাক্ষরিত আরেকটি চুক্তি অনুযায়ী জর্জীয় মেনশেভিকরা বাতুমিকে বলশেভিকদের কাছে হস্তান্তর করে।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Grigol_Lordkipanidze

চুক্তির শর্তানুযায়ী বলশেভিকরা জর্জীয় মেনশেভিকদের পূর্বের সকল কর্মকাণ্ড থেকে দায়মুক্তি প্রদান করতে এবং বাতুমির উত্তরে ৭০ মাইল পর্যন্ত রেলপথ হস্তান্তর করতে রাজি হয়। বিনিময়ে জর্জীয় মেনশেভিকরা বলশেভিক সৈন্যদের জন্য রেলগাড়ি সরবরাহ করতে এবং বাতুমিতে বন্দি বলশেভিকদের মুক্তি দিতে সম্মত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বলশেভিক সৈন্যরা বাতুমির সন্নিকটে উপস্থিত হয়। বলশেভিক সৈন্যদের বাধা দেয়ার জন্য বাতুমির উপকণ্ঠে প্রায় ১০,০০০ জর্জীয় মেনশেভিক সৈন্য জমায়েত হয়েছিল। কিন্তু স্বাক্ষরিত চুক্তির সংবাদ পাওয়ার পর বাতুমিতে অবস্থানরত তুর্কি সৈন্যরা তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। ১৮ মার্চ বাতুমিতে তুর্কি ও জর্জীয় মেনশেভিক সৈন্যদের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়। জেনারেল গিওর্গি মাজনিয়াশভিলির নেতৃত্বাধীন ১০,০০০ জর্জীয় মেনশেভিক সৈন্যের বিপরীতে কর্নেল কিজিম বের নেতৃত্বাধীন বাতুমিতে অবস্থানরত তুর্কি বাহিনীর সৈন্যসংখ্যা ছিল মাত্র ২,০০০।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Giorgi_Mazniashvili

দুই দিনব্যাপী যুদ্ধের পর ১৯ মার্চ বাতুমির অধিকাংশ অঞ্চল জর্জীয় মেনশেভিক সৈন্যদের হস্তগত হয় এবং তুর্কি সৈন্যরা বাতুমির অবশিষ্টাংশ থেকে পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হয়। বলশেভিকরা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি, কারণ তাদের অংশগ্রহণ এই যুদ্ধকে তুর্কি-বলশেভিক যুদ্ধে রূপ দিতে পারতো। ১৯ মার্চ জর্জীয় মেনশেভিকরা বাতুমিকে বলশেভিকদের কাছে হস্তান্তর করে। একই দিনে জর্জীয় মেনশেভিক সরকারের সদস্যরা একটি ইতালীয় জাহাজে চড়ে জর্জিয়া ত্যাগ করে।জেনারেল মাজনিয়াশভিলি বলশেভিকদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে লাল ফৌজে যোগদান করেন। বলশেভিকদের উপর তুর্কিরা ক্ষিপ্ত হয়ে সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখে। তুর্কি সৈন্যরা এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে জর্জিয়ার কাছ থেকে আরদাহান, আর্তভিন ও ওলতু অঞ্চল অধিকার করতে সক্ষম হয়। তুর্কিদের অধিকৃত ভূমির পরিমাণ ছিল প্রায় ১২,০০০ বর্গ কি.মি.। মস্কো চুক্তিতে বলশেভিকরা এ অঞ্চল তুর্কিদের ছেড়ে দেয়ার জন্য রাজি হয়েছিল১৯২১ সালের অক্টোবরে স্বাক্ষরিত কার্স চুক্তি অনুযায়ী অঞ্চলগুলো স্থায়ীভাবে তুরস্কের অন্তর্ভুক্ত হয়।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Treaty_of_Kars

মস্কো চুক্তি অনুযায়ী বলশেভিকরা বাতুমি অঞ্চলের মুসলিমদের আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে এবং 'আদজারীয় স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র' প্রতিষ্ঠা করে।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Adjarian_Autonomous_Soviet_Socialist_Republic

পাশাপাশি তুরস্ক বিনা শুল্কে বাতুমি বন্দর ব্যবহারের অধিকার লাভ করে। 

মস্কো চুক্তি

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ায় বিপ্লবী বলশেভিক সরকারের সঙ্গে বলশেভিকবিরোধী শ্বেত ফৌজ ছাড়াও ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্যদের যুদ্ধ চলছিল। অন্যদিকে তুরস্কের আঙ্কারা সরকার গ্রিস, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। এমতাবস্থায় রুশ বলশেভিক ও তুর্কি জাতীয়তাবাদীরা মৈত্রী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং দক্ষিণ ককেশাসে তাদের সীমান্ত চিহ্নিত করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে আজারবাইজান, জর্জিয়া ও আর্মেনিয়া এবং উত্তর-পূর্ব তুরস্কের অংশবিশেষ (কার্স, আরদাহান, আর্তভিন, সুরমালি ও অন্যান্য অঞ্চল) রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের ফলে রুশ সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। ১৯১৮ সালে স্বাক্ষরিত ব্রেস্ত-লিতোভস্ক চুক্তি অনুযায়ী বলশেভিকরা প্রাক্তন রুশ সাম্রাজ্যের কার্স ও বাতুমি প্রদেশ ওসমানীয় সাম্রাজ্যের কাছে হস্তান্তর করে এবং আজারবাইজান, জর্জিয়া ও আর্মেনিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। বলশেভিকরা নিজেদের গৃহযুদ্ধ ও মিত্রশক্তির আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ওসমানীয় সাম্রাজ্যের পরাজয়ের পর জর্জিয়া ও আর্মেনিয়া কার্স ও বাতুমি অঞ্চলে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করে। এসময় তুর্কিরা মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। ১৯২০ সালের এপ্রিলে বলশেভিকরা আজারবাইজান অধিকার করে নিলে সেখানে আজারবাইজানি বলশেভিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২০ সালের সেপ্টেম্বরে তুর্কি জাতীয়তাবাদীরা আর্মেনিয়া আক্রমণ করে এবং ডিসেম্বর নাগাদ আর্মেনিয়ার অর্ধেকের বেশি ভূমি দখল করে নেয়। ১৯২০ সালের নভেম্বরে বলশেভিকরা আর্মেনিয়া আক্রমণ করে এবং ডিসেম্বর নাগাদ আর্মেনিয়ার অবশিষ্ট অংশে আর্মেনীয় বলশেভিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। ১৯২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বলশেভিকরা জর্জিয়া আক্রমণ করে এবং মার্চের মধ্যে জর্জিয়ার অধিকাংশ ভূমি দখল করে সেখানে জর্জীয় বলশেভিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। একই সময়ে তুর্কি জাতীয়তাবাদীরা জর্জিয়ায় আক্রমণ চালিয়ে বাতুমি অঞ্চল দখল করে নেয়। ১৯২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত মস্কোয় বলশেভিক ও তুর্কি জাতীয়তাবাদী প্রতিনিধিরা একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে উভয় পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। ১৯২১ সালের ১৬ মার্চ মস্কোয় রুশ সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ও তুরস্কের আঙ্কারা সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা 'মস্কো চুক্তি' নামে পরিচিত। ১৬টি ধারাবিশিষ্ট এই চুক্তিতে রুশ সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিওর্গি চিচেরিন এবং দাগেস্তান সোভিয়েত স্বায়ত্তশাসিত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী জেলালেদ্দিন কর্কমাজভ।

https://ru.m.wikipedia.org/wiki/%D0%9A%D0%BE%D1%80%D0%BA%D0%BC%D0%B0%D1%81%D0%BE%D0%B2,_%D0%94%D0%B6%D0%B5%D0%BB%D0%B0%D0%BB-%D1%8D%D0%B4-%D0%94%D0%B8%D0%BD_%D0%90%D1%81%D0%B5%D0%BB%D1%8C%D0%B4%D0%B5%D1%80%D0%BE%D0%B2%D0%B8%D1%87

আঙ্কারা সরকারের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রুশ সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রে নিযুক্ত আঙ্কারা সরকারের রাষ্ট্রদূত আলী ফুয়াদ চেবেসোয়, আঙ্কারা সরকারের অর্থমন্ত্রী ইউসুফ কামাল তেঙ্গিরশেঙ্ক এবং শিক্ষামন্ত্রী রিজা নূর।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Yusuf_Kemal_Bey

https://en.m.wikipedia.org/wiki/R%C4%B1za_Nur

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Government_of_the_Grand_National_Assembly

#প্রথম ধারা অনুযায়ী, মস্কো ও আঙ্কারা জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়া কোনো শান্তিচুক্তিকে স্বীকৃতি না দেয়ার ব্যাপারে একমত হয়। এর মধ্য দিয়ে আঙ্কারা পরোক্ষভাবে ১৯১৮ সালে সম্পাদিত ব্রেস্ত-লিতোভস্ক চুক্তিকে বাতিল হিসেবে স্বীকার করে নেয় এবং তুরস্কের ওপর মিত্রপক্ষের চাপিয়ে দেয়া কোনো শান্তিচুক্তিকে স্বীকৃতি না দেয়ার জন্য মস্কো সম্মত হয়। প্রাক্তন রুশ সাম্রাজ্যের কার্স প্রদেশ ও সুরমালি জেলা, বাতুমি প্রদেশের দক্ষিণাংশ (আরদাহান ও আর্তভিনসহ) এবং আলেক্সান্দ্রোপোল জেলার পশ্চিমাংশ আঙ্কারার হস্তগত হয়। এর মধ্যে দিয়ে ১৮৭৭-১৮৭৮ সালের রুশ-ওসমানীয় যুদ্ধে রাশিয়া কর্তৃক ওসমানীয় সাম্রাজ্যের কাছ থেকে অধিকৃত ভূমির সিংহভাগ এবং ১৮২৬-১৮২৮ সালের রুশ-ইরানি যুদ্ধে রাশিয়া কর্তৃক ইরানের কাছ থেকে অধিকৃত ভূমির অংশবিশেষ তুরস্কের হস্তগত হয়।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Russo-Persian_Wars

#দ্বিতীয় ধারা অনুযায়ী, প্রাক্তন রুশ সাম্রাজ্যের বাতুমি প্রদেশের উত্তরাংশ এবং বাতুম শহর ও বন্দর জর্জীয় সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই অঞ্চলের জনসাধারণকে (অধিকাংশই মুসলিম) বিস্তৃত প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান এবং প্রতিটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব ঐতিহ্য অনুসারে ভূমি আইন প্রণয়নের ব্যাপারে মস্কো সম্মত হয়। একই সঙ্গে মস্কো বাতুম বন্দর দিয়ে তুরস্ক হতে বা তুরস্কের উদ্দেশ্যে আগত সকল পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেয়। এই ধারা অনুযায়ী ১৯২১ সালের ১৬ জুলাই বলশেভিকরা এই অঞ্চলে 'আদজারীয় স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র' প্রতিষ্ঠা করে এবং এটি জর্জীয় সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়।

#তৃতীয় ধারা অনুযায়ী, মস্কো নাখচিভান অঞ্চলকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করতে সম্মত হয় এবং একে অন্য কোনো রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে না, এই শর্তে আজারবাইজান সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত হয়। এই ধারা অনুযায়ী নাখচিভানের সীমান্ত নির্ধারণের জন্য তুরস্ক, আজারবাইজান সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ও আর্মেনীয় সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সীমান্ত কমিশন গঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Nakhichevan_Autonomous_Soviet_Socialist_Republic

এই ধারা অনুসারে 'নাখচিভান স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র' প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯২৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এটিকে আজারবাইজান সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

#চতুর্থ ধারা অনুযায়ী, মস্কো ও আঙ্কারা প্রাচ্যের (তুরস্কসহ) জনসাধারণের জাতীয় মুক্তি আন্দোলন এবং নতুন সামাজিক ব্যবস্থা সৃষ্টির জন্য রুশ শ্রমজীবী শ্রেণির প্রচেষ্টার প্রেক্ষাপটে উভয় জনগণের মুক্তি ও স্বাধীনতা এবং নিজস্ব শাসনব্যবস্থা বেছে নেয়ার অধিকারকে স্বীকৃতি প্রদান করে।

#পঞ্চম ধারা অনুযায়ী, বসফরাস ও দার্দানেলিস প্রণালীদ্বয়ের ভবিষ্যৎ কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Bosporus

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Dardanelles

প্রণালীদ্বয় উন্মুক্ত থাকবে, সকল রাষ্ট্রের বাণিজ্য জাহাজ সেখান দিয়ে মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে এবং তুরস্কের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষিত হবে- এই শর্তগুলোকে প্রণালীদ্বয় সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্তের ভিত্তি হিসেবে উভয় পক্ষ স্বীকার করে নেয়।

#ষষ্ঠ ধারা অনুযায়ী, ইতোপূর্বে উভয় পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমস্ত চুক্তিকে বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়।

#সপ্তম ধারা অনুযায়ী, 'ক্যাপিচুলেশন' ব্যবস্থার অধীনে রুশ সাম্রাজ্যের নাগরিকরা ওসমানীয় সাম্রাজ্যের ভূমিতে যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতো মস্কো সেগুলো বাতিল বলে ঘোষণা করে।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Capitulation_(surrender)

#অষ্টম ধারা অনুযায়ী, মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কোনো পক্ষকে আশ্রয় প্রদান থেকে বিরত থাকতে আঙ্কারা সম্মত হয় এবং মস্কো আঙ্কারার ব্যাপারে অনুরূপ প্রতিশ্রুতি প্রদান করে।

#নবম ও দশম ধারা অনুযায়ী, মস্কো ও আঙ্কারা পরস্পরের সঙ্গে রেল, টেলিগ্রাফ ও অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে মুক্তভাবে মানুষ ও পণ্য চলাচলের ব্যাপারে সম্মত হয়। একই সঙ্গে এক পক্ষের ভূমিতে আগত অপর পক্ষের মানুষ ও পণ্যের ক্ষেত্রে ঐ ভূখণ্ডে প্রচলিত আইন প্রযোজ্য হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

#একাদশ ধারা অনুযায়ী, উভয় পক্ষ একে অপরের নাগরিকদের 'Most Favored Nation' হিসেবে গণ্য করবে বলে একমত হয়। এই সুবিধা রুশ সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে মিত্রতাবদ্ধ সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর নাগরিকদের ক্ষেত্রে কিংবা তুরস্কের সঙ্গে মিত্রতাবদ্ধ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে এই ধারায় উল্লেখ করা হয়।

#দ্বাদশ ধারা অনুযায়ী, আঙ্কারার কাছে হস্তান্তরকৃত ভূমিতে বসবাসকারী যেকোনো ব্যক্তি মুক্তভাবে নিজ সম্পত্তিসহ বলশেভিক নিয়ন্ত্রিত ভূমিতে চলে যেতে পারবে বলে উভয় পক্ষ একমত হয়। একই সঙ্গে জর্জীয় সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের কাছে হস্তান্তরকৃত ভূমিতে বসবাসকারী যেকোনো ব্যক্তি নিজ সম্পত্তিসহ তুরস্কে চলে যেতে পারবে বলে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।

#ত্রয়োদশ ধারা অনুযায়ী, রাশিয়ায় অবস্থানরত সকল তুর্কি যুদ্ধবন্দিকে রুশ সোভিয়েত সরকারের খরচে তুরস্কের নিকট সমর্পণ করা হবে, এই মর্মে মস্কো প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। এই বিষয়ে মস্কো ও আঙ্কারার মধ্যে অতিরিক্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে এই ধারায় উল্লেখ করা হয়।

#চতুর্দশ ধারা অনুযায়ী, মস্কো ও আঙ্কারা একটি 'কনস্যুলার চুক্তি' স্বাক্ষরের বিষয়ে একমত হয় এবং এর মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যবর্তী অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সম্পর্ক স্থাপন করা হবে বলে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।

#পঞ্চদশ ধারা অনুযায়ী, চুক্তিটির যেসব ধারা আজারবাইজান, আর্মেনিয়া ও জর্জিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মস্কো সেগুলোর ব্যাপারে এই রাষ্ট্রগুলোর সম্মতি আদায় করে নেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে।

#ষোড়শ ধারা অনুযায়ী, উভয় পক্ষ যত দ্রুত সম্ভব চুক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন প্রদান করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯২১ সালের ২০ মার্চ রুশ সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের 'নিখিল রুশ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি' চুক্তিটিকে অনুমোদন প্রদান করে এবং ১৯২১ সালের ২১ জুলাই আঙ্কারার 'গ্র‍্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি' চুক্তিটির অনুমোদন দেয়। ১৯২১ সালের অক্টোবরে তুরস্ক এবং আজারবাইজান, জর্জিয়া ও আর্মেনিয়ার মধ্যে 'কার্স চুক্তি' স্বাক্ষরিত হয় এবং এর মধ্য দিয়ে মস্কো চুক্তি পূর্ণরূপ লাভ করে। এই চুক্তির পর বলশেভিকরা আঙ্কারা সরকারকে তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রদান করে।

Comments

Popular posts from this blog

শিবিরনামা [পর্ব-এক]

চাড্ডিগণ [এক]

পশ্চিমাদের পুতুল সরকার [পর্ব-এক]