বিজেপিকে যারা চালাচ্ছে

বিজেপিকে কারা ক্ষমতায় এনেছে সেটা জানতে 'গুজরাট ফাইলস' বইটি চমৎকার রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে-

https://drive.google.com/file/d/1UC39IA1IVKj3ijViQ9YfA653zn_zrr0H/view

ভারতের নির্বাচন কমিশনে ২০১৯-২০ সালের জমা দেয়া অনুদান প্রাপ্তির প্রতিবেদনে বিজেপি জানিয়েছে যে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিদের থেকে ঐ অর্থ বছরে ৭৫০ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে তারা। ঐ বছরেই কংগ্রেসের পাওয়া অনুদানের থেকে বিজেপি পাঁচগুণ বেশি অনুদান পায়। ২০১৯-২০ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ১৩৯ কোটি, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি পেয়েছিল ৫৯ কোটি, তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৮ কোটি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পেয়েছিল ১৯.৬ কোটি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি পেয়েছিল ১.৯ কোটি টাকা। বিজেপির ক্ষেত্রে ২০১৮-১৯ সালের থেকে ২০১৯-২০ সালের প্রাপ্ত অনুদান ৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। কংগ্রেসের অনুদান ২০১৮-১৯ সালের ১৪৬.৭৮ কোটি টাকা থেকে কমে ২০১৯-২০ তে ১৩৯.০১ কোটি টাকা হয়েছে। টানা সাত বছর ধরে বিজেপি সর্বাধিক পরিমাণ কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত অনুদান পেয়েছে। ২০১৯-২০ সালে বিজেপির প্রাপ্ত অনুদানের মোট পরিমাণ ৭৫০ কোটি টাকার বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রতিবেদনে কেবল সেসব ব্যক্তি, সংস্থা, নির্বাচনী ট্রাস্ট এবং অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যই দেয়া হয়েছে, যারা ২০,০০০ টাকার বেশি অনুদান দিয়েছে। বিজেপির সবচেয়ে বড় অনুদানকারীদের মধ্যে ছিল বিজেপি সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখরের জুপিটার ক্যাপিটাল, আইটিসি গ্রুপ, রিয়েল এস্টেট সংস্থা ম্যাক্রোটেক ডেভেলপারস, বি জি শিরকে কনস্ট্রাকশন টেকনোলজি, প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট, জনকল্যাণ ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট ইত্যাদি।

https://www.jupitercapital.in/#OurStrength/2

https://www.itcportal.com/

https://www.lodhagroup.in/home/

https://shirkegroup.com/

https://www.hindustantimes.com/india-news/bjp-amasses-72-of-donations-from-electoral-trusts-in-2021-22-adr-report-101672407551933.html

নির্মাণ ব্যবসায়ী সুধাকর শেট্টির সাথে যুক্ত রিয়েল এস্টেট সংস্থা গুলমার্গ রিয়েল্টরস ২০১৯ সালের অক্টোবরে বিজেপিকে ২০ কোটি টাকা দিয়েছিল। ২০২০ এর জানুয়ারিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট শেট্টির অফিস এবং বাসভবনে অভিযান চালিয়েছিল।

https://biz.crast.net/dhfl-%E2%82%B934615-crore-loan-fraud-case-money-laundering-through-87-shell-firms/

বিজেপির অনুদানকারীদের মধ্যে যেসব প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় (দিল্লি) (২ কোটি টাকা), কৃষ্ণা ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (১০ লক্ষ টাকা), জি ডি গোয়েঙ্কা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (সুরাট) (২.৫ লাখ টাকা), পাঠানিয়া পাবলিক স্কুল (রোহটক) (২.৫ লাখ টাকা), লিটল হার্ট কনভেন্ট স্কুল (ভিওয়ানি) (২১,০০০ হাজার টাকা) ও এলেন ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউট (কোটা) (২৫ লাখ টাকা)।

https://www.allen.ac.in/

বিজেপিকে মুখ্য অনুদানকারীর তালিকায় যারা রয়েছে তাদের অনেকেই বিজেপির সদস্য। যেমন- হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর (৫ লক্ষ), সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর (২ কোটি), অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খান্ডু (১.১ কোটি), কিরণ খের (৬.৮ লক্ষ), মণিপাল গ্লোবাল এডুকেশনের চেয়ারম্যান মোহনদাস পাই (১৫ লক্ষ)।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Manohar_Lal_Khattar

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Rajeev_Chandrasekhar

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Pema_Khandu

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Kirron_Kher

https://en.m.wikipedia.org/wiki/T._V._Mohandas_Pai

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি ইলেক্টরাল বন্ড থেকে ২,৪১০ কোটি টাকা তুলেছিল। তার আগে এই প্রকল্পে মোট যত টাকা জমা পড়েছে, তার ৯৫ শতাংশই পেয়েছে বিজেপি।

হিটলারের নাৎসি সরকারের সাথে সিমেন্স, আই জি ফারবেন, বায়েল, আইবিএম, ফোর্ড এর মতো কর্পোরেশনগুলো ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছিলো সেসময়। ঠিক একইভাবে 'কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি' উগ্র হিন্দুত্ববাদী গুজরাটের রাজ্য সরকারের পরিকল্পনাকে ২০০২ সালে সমর্থন দিয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ সেসময় মোদীকে সমর্থন দিয়েছিলেন পদ বাঁচানোর উদ্দেশ্যে। রতন টাটা ও মুকেশ আম্বানী 'গুজরাট গরিমা' নামের একটি অনুষ্ঠানে মোদীকে সরাসরি সমর্থন জানিয়েছিলেন। ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে মোদীর প্রচারণায় এসব ব্যবসায়ী ২০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছিল। এমনকি নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের অতি প্রিয় নেত্রী মায়াবতীও তার রাজ্যে বিজেপির সাথে সম্পর্ক আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিল সেসময়!




Comments

Popular posts from this blog

শিবিরনামা [পর্ব-এক]

পশ্চিমাদের পুতুল সরকার [পর্ব-এক]

দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-এক]