পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সন্ত্রাসী
২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত এন্টিব্যালাষ্টিক মিসাইল ট্রিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Anti-Ballistic_Missile_Treaty
১৯৭২ সালের জীবাণু অস্ত্র কনভেনশন এবং বিষাক্ত অস্ত্র কনভেনশন যুক্তরাষ্ট্র সহ ১৪৪টি দেশ অনুমোদন করেছিল। অথচ ২০০১ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র লন্ডন কনফারেন্স থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Biological_Weapons_Convention
ক্ষুদ্র অস্ত্র ও হালকা অস্ত্রের অবৈধ বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি জাতিসংঘ চুক্তি ২০০১ সালের জুলাই মাসে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ছিল একমাত্র রাষ্ট্র, যারা এটির বিরোধিতা করেছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Small_Arms_and_Light_Weapons
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Small_arms_trade#United_Nations_Conference_on_the_Illicit_Trade_in_Small_Arms
যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে কমমূল্যে এইডস এর ওষুধ সরবরাহের বিরুদ্ধে এককভাবে প্রস্তাব পেশ করেছিল।
রাজনৈতিক নেতা এবং সামরিক কর্মকর্তাদের যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকারবিরোধী অপরাধের কারণে অভিযুক্ত করার জন্য হেগ শহরে অবস্থিত 'আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক আদালত' গঠন করা সংক্রান্ত চুক্তি ১২০টি দেশ অনুমোদন করেছিল ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসে। ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাদের এই চুক্তি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং বুশ প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকেই এই চুক্তি থেকে সরিয়ে আনে।
১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে অটোয়ায় ১২২টি দেশ ভূমি মাইন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু ক্লিনটন সরকার এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। বুশ সরকারও একই কাজ করেছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Ottawa_Treaty
২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাইন এবং ছোট ছোট বোমা ব্যবহার ও উৎপাদনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য ১২৩টি জাতির যে সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র তাতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে আন্তর্জাতিক বর্ণবাদ বিষয়ক কনভেনশন থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সরিয়ে নেয়।
পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন, রাশিয়ার মতো দেশগুলো পর্যন্ত অনুমোদন করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ১৯৯৯ সালে তা বাতিল করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Comprehensive_Nuclear-Test-Ban_Treaty
১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইউনেস্কো থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় এবং সংস্থাটির বাজেটে অর্থ প্রদান বন্ধ করে দেয়। NWICO কর্তৃক বিশ্ব মিডিয়ার উপর বৃহৎ-৪ এর আধিপত্য কমানোর উদ্যোগ নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/New_World_Information_and_Communication_Order#:~:text=The%20New%20World%20Information%20and,the%20late%201970s%20early%201980s.
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Associated_Press
https://en.m.wikipedia.org/wiki/United_Press_International
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Agence_France-Presse
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Reuters
জাতিসংঘের 'অপশনাল প্রটোকল' যুক্তরাষ্ট্র অনুমোদন করেনি।
১৯৭৯ সালের নারীদের প্রতি বৈষম্য নির্মূল কনভেনশন যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করলেও অনুমোদন করেনি!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Convention_on_the_Elimination_of_All_Forms_of_Discrimination_Against_Women
১৯৮৯ সালের শিশু অধিকার বিষয়ক কনভেনশন যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করলেও অনুমোদন করেনি!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Convention_on_the_Rights_of_the_Child
১৮ বছরের কম বয়সীদের সেনাবাহিনী কিংবা বিদ্রোহী সেনাবাহিনীতে নিয়োগের উপর ২০০০ সালের মে মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্র এটিও অনুমোদন করেনি!
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করলেও অনুমোদন করেনি।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/International_Covenant_on_Economic,_Social_and_Cultural_Rights
জাতিসংঘ সমুদ্র আইনের চুক্তি মার্কিন সিনেট অনুমোদন করেনি।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/United_Nations_Convention_on_the_Law_of_the_Sea
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েনা কনভেনশন প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করে যাচ্ছে বিনা বিচারে বিদেশী নাগরিকদের আবদ্ধ রেখে ও তাদের সরকারদের না জানিয়ে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Vienna_Convention_on_Diplomatic_Relations
যুক্তরাষ্ট্র কার্টাজেনা প্রটোকল অনুমোদন করেনি।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Cartagena_Protocol_on_Biosafety
.......................................................................
কেবল আফ্রিকা থেকেই পশ্চিমারা তিন কোটি মানুষকে অপহরণ করেছিল ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রির উদ্দেশ্যে। এসব অসহায় মানুষদের অর্ধেকই পথে মারা যায়। অথচ ২০০১ সালে ডারবানে অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স এগেনস্ট রেসিজম' এ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল ওয়াকআউট করেছিল, কারণ তারা মেনে নিতে পারেনি যে ক্রীতদাস প্রথা ও ক্রীতদাসদের ক্রয়-বিক্রয় অপরাধ ছিল!
.........................................................................
ক্লিয়ার চ্যানেল ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইনকর্পোরেটেড যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম রেডিও স্টেশন মালিক। এটি একইসাথে ১২০০ টিরও বেশি চ্যানেল চালায়। এটির তৎকালীন সিইও বুশের নির্বাচনী প্রচারণায় কয়েক হাজার ডলার দিয়েছিলেন। যখন কয়েক হাজার আমেরিকান নাগরিক রাস্তায় নেমে আসে ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে, ক্লিয়ার চ্যানেল তখন সারা আমেরিকায় যুদ্ধের সমর্থনে 'র্যালিস ফর আমেরিকা'র আয়োজন করে।
..........................................................................
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বিখ্যাত আমহার্স্ট কলেজের নাম যেই লোকের নামে নামকরণ করা হয়েছে সে আদিবাসীদের মধ্যে স্মল পক্সের ভাইরাস যুক্ত কম্বল বিতরণ করে অনেককে মেরে ফেলে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Jeffery_Amherst,_1st_Baron_Amherst
..........................................................................
কাস্পিয়ান সাগর এবং এটির পার্শ্ববর্তী কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানে বিপুল পরিমাণ তেল ও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় নব্বুইয়ের দশকের গোড়ার দিকে। ঐ দশকের মাঝামাঝি সময়ে এসে এটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে কাজাখস্তানের সমুদ্র সৈকতে ও কাস্পিয়ান সাগরে ভূগর্ভস্থ তেলসম্পদের পরিমাণ কমপক্ষে ২০ বিলিয়ন ব্যারেল (কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের হিসাব মতে ৫০ বিলিয়ন ব্যারেল)। রিজার্ভের এই পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের তেলের রিজার্ভের (২১ বিলিয়ন ব্যারেল) কাছাকাছি ও যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ সি'র রিজার্ভের (১৬ বিলিয়ন ব্যারেল) চেয়ে বেশি। কাজাখস্তানের তেলসম্পদ সৌদি আরবের তেলসম্পদের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে তুর্কমেনিস্তানে যে পরিমাণ তেলসম্পদ রয়েছে, তার পরিমাণ গোটা বিশ্বের তালিকায় পঞ্চম। সেখানে বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৪টি তেল কোম্পানি কাজ করছে। তারা ইতিমধ্যে ২০ কোটি ডলারের পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। এই অঞ্চলে তেল রপ্তানির জন্য কোনো সমুদ্র বন্দর নেই। অঞ্চলটি পাহাড়ে আবৃত। একমাত্র উপায় হচ্ছে পাইপলাইনের মাধ্যমে অন্য দেশের মধ্য দিয়ে তেল অন্যত্র নিয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য উপায় হচ্ছে ৫টি। প্রথমটি চীনের মধ্য দিয়ে। দ্বিতীয়টি জর্জিয়া ও বাকু হয়ে কৃষ্ণসাগরে অথবা বাকু হয়ে তুরস্কে। তৃতীয়টি ইরান হয়ে পারস্য উপসাগরে অথবা ইরান হয়ে তুরস্কে। চতুর্থটি আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানে। আর পঞ্চমটি হচ্ছে চেচনিয়া হয়ে রাশিয়ার মাধ্যমে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তিগুলো চায়নি তেলের প্রবাহ রাশিয়া বা আজারবাইজান হয়ে বিশ্ববাজারে আসুক। ইরানের ভেতর দিয়ে পাইপলাইন বসিয়ে তেল অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও যুক্তরাষ্ট্র পছন্দ করেনি। চীনের মধ্য দিয়ে এই তেলের পাইপলাইন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কোনো বিবেচনায়ই তেল কোম্পানি ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গ্রহণযোগ্য সমাধান ছিল না। একমাত্র রাস্তা খোলা ছিল আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানে পাইপলাইন বসানো। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সাথে তালেবানদের সম্পর্ক বর্তমানে ভালো না থাকলেও তেল কোম্পানিগুলো অতীতে তালেবানদের কারো কারো সাথে তেলের পাইপলাইন নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করেছিল। ইউনিক্যাল ছিল এই আলোচনার উদ্যোগটা।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Unocal_Corporation
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Afghanistan_Oil_Pipeline
১৯৯৭ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং পাকিস্তান পাইপলাইন স্থাপনের জন্য চুক্তি করেছিল। ইউনিক্যাল সেসময় পাইপলাইনের কাজের জন্য দরপত্র জমা দিয়েছিল। তালেবানদের ইসলাম সংক্রান্ত উন্মাদনা তখন ইউনিক্যাল এর সামনে মিলিয়ে গিয়েছিল। একই সঙ্গে মধ্য এশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহের জন্য ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসে একই প্রতিষ্ঠানের গড়া আরেকটি কনসোর্টিয়াম কাজ পেয়েছিল। এসব কাজের মোট পরিমাণ ছিল ৪ হাজার কোটি ডলার। সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি তোলেনি পুঁজিবাদীদের স্বার্থে। ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে তালেবানদের সাথে পাইপলাইন বিষয়ে ইউনিক্যালের আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু ২০০১ সালের ২০ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালালে ইউনিক্যাল তাদের বিবৃতিতে জানায় যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের স্বীকৃত কোনো আফগান সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত তারা পাইপলাইন বসানোর কাজ স্থগিত রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের দরকার ছিল কাবুলে বন্ধুপ্রতিম সরকার যারা পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস তথা তেল রপ্তানি নিশ্চিত করবে।
...........................................................................
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫০০ এর অধিক মার্কিন কোম্পানি ভেনিজুয়েলায় তেল উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণের সাথে জড়িত। ১৯৯৮-২০০৮ সাল পর্যন্ত এই খাত থেকে আয় করেছিল ৩২৫ বিলিয়ন ডলার। মাদুরো সরকার ২০১৭ সালের পর জ্বালানি সম্পদের উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। নিচের লিংকে উল্লেখ করা হয়েছে কিভাবে বহুজাতিক তেল কোম্পানি শেভরন, হ্যালিবার্টন ব্যবসায়িক স্বার্থে ভেনিজুয়েলায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটাতে সেনাবাহিনীকে প্ররোচিত করেছে।
https://www.mintpressnews.com/venezuela-coup-regime-change-chevron-halliburton/254595/
মার্কিনি এই তেল কোম্পানিগুলো মাদুরো সরকারকে সরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে চাপ দিয়েছিল।
*জর্জ ওয়াকার বুশ ছিলেন শেভরনের অন্যতম শেয়ারহোল্ডার। কন্ডোলিৎসা রাইস ছিলেন এই কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
*ইরাক যুদ্ধের পর হ্যালিবার্টন সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল। সেসময় তাদের আয় বেড়েছিল ৩৯۔৫ মিলিয়ন ডলার। তৎকালীন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ ছিল ৩৪ মিলিয়ন ডলার। যুদ্ধের পর অতিরিক্ত তেল উত্তোলন করে কোম্পানিটি ফায়দা লুটেছিল। যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্গঠনের কাজও পেয়েছিল এই কোম্পানি। এমনকি ট্রাম্প ২০১৬ সালে এই কোম্পানিতে এক লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করেছিল। এই কোম্পানির সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখার কারণে ট্রাম্পের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রায়ান জিনকে'কে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Ryan_Zinke
............................................................................
![]() |
অধ্যাপক পিটার ডেল স্কট অনেকগুলো প্রমাণ আর রেফারেন্স সহ দেখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আল কায়েদা নামক ভাড়াটিয়া সংগঠনকে কিভাবে ইউরোপের খ্রিষ্টান প্রধান অঞ্চলগুলোতে অস্থিতিশীলতা তৈরিতে ব্যবহার করেছে। |
ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেসব কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন সৈন্য মারা যেত, আমেরিকায় তাদের লাশ নিয়ে গিয়ে আলাদা গোরস্থানে কবর দিতে হতো। শেতাঙ্গদের কবরস্থানগুলো সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখা হতো তাদের কাছ থেকে।
সূত্র: An Ordinary Person's Guide to Empire
.........................................................................
১৯৯৮ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল ডেনিস রাইমা বাংলাদেশ সফরে এসে 'সোফা (স্ট্যাটাস অব ফোর্সেস এগ্রিমেন্ট)' চুক্তি করতে সরকারকে চাপ দিলেও প্রবল বিতর্কের মুখে সরকার এই চুক্তি করেনি। চুক্তিটি করা হলে-
#মার্কিন সৈন্যরা এদেশে বিনা ভিসায় প্রবেশাধিকার পেতো;
#দেশের অভ্যন্তরে যেকোনো জায়গায় তারা অবাধে চলাচল করতে পারতো;
#কাস্টমস এর ছাড়পত্র ছাড়াই তারা যেকোনো সাজ-সরঞ্জাম এদেশে নিয়ে আসতে পারতো;
#বাংলাদেশে কোনো অপরাধ করলে মার্কিন নাগরিকদের তাদের আইন অনুযায়ী বিচারের স্বাধীনতা থাকতো;
১৯৯৮ সালের ১৯ জুন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক তৎকালীন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র সচিব ইন্ডারফার্থ ওয়াশিংটনে নিযুক্ত তৎকালীন বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত কে۔ এস۔ শাহাবুদ্দিনকে জানান যে, এই চুক্তির ব্যাপারে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ক্লিনটন ও ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটনের বিশেষ আগ্রহ ছিল।
...................................................................
মার্কিন রাজনীতিবিশারদ রিচার্ড নেড লেবো তার লেখায় ব্রিটেনের দারিদ্রকে অর্থনৈতিক পরিবর্তন ও ওঠানামার ফল হিসেবে দেখালেও আয়ারল্যান্ডের দারিদ্রকে দেখিয়েছেন আলস্য, উদাসীনতা ও অক্ষমতার ফল হিসেবে!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Richard_Ned_Lebow
....................................................................
নাইজার এর কুখ্যাত স্বৈরশাসক টান্ডজাকে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশ 'একজন আদর্শ গণতন্ত্রী' হিসেবে অভিহিত করেছিলেন হোয়াইট হাউজে নিমন্ত্রণের সময়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Mamadou_Tandja
.......................................................................
কাতার-সৌদি আরব সংকটের সময় কাতারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা সম্পর্কিত একটি বিল মার্কিন কংগ্রেসের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এর কমিটিতে জমা দেয়া হয়েছিল। 'রেস্পন্সিভ পলিটিক্স' এর তথ্য অনুযায়ী যেসব কংগ্রেস সদস্য বিলটি উত্থাপন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল তারা ২০১৬ সালের মার্কিন কংগ্রেস নির্বাচনের সময় প্রত্যেকে ইজরায়েলি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোট ১০ লাখ ৯ হাজার ৭৯৬ ডলার করে পেয়েছে। ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত 'দ্য ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিস'র পক্ষ থেকেও এসব কংগ্রেসম্যানকে অর্থ দেয়া হয়েছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Foundation_for_Defense_of_Democracies
ক্রিড নিউটন 'ইনফরমেশন ক্লিয়ারিং হাউজ' এ ২০১৭ সালের ১২ জুন যে প্রবন্ধটি লিখেন তাতে উল্লেখ করা হয়েছে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এর ফরেন রিলেশন্স কমিটির সদস্য এড রয়েস ও এলিয়ট এঙ্গেল উভয়েই দুই লাখ ডলারের বেশি অর্থ নিয়েছিল ইজরায়েল থেকে।
http://www.informationclearinghouse.info/
.........................................................................
আমেরিকান কোম্পানিগুলো যুগোস্লাভিয়ার প্রাক্তন জেনারেল স্টাফের বিল্ডিং 'পুনঃনির্মাণ' করার পরিকল্পনা করছে, যেটি ১৯৯৯ সাল থেকে ন্যাটো আগ্রাসনের প্রতীক হিসেবে গণ্য। বেলগ্রেড এবং প্রিস্টিনার মধ্যে সংলাপের জন্য ওয়াশিংটনের প্রাক্তন দূত রিচার্ড গ্রেনেল বলেছেন, এটি একটি বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ যা "যুদ্ধের প্রতীককে শান্তি ও বন্ধুত্বের প্রতীকে পরিণত করবে।" বোমা হামলা, ক্ষতিগ্রস্তদের কষ্ট এবং ন্যাটোর অপরাধের স্মৃতি মুছে ফেলা হচ্ছে এভাবেই।
...............................................................................
বাংলাদেশের কথিত কিছু মুক্তমনাদের কাছে ক্রিস্টোফার হিচেন্স অনেক জনপ্রিয়। অভিজিৎ রায়ের বিভিন্ন বইয়ে এই লোকের উল্লেখ বারবার করা হয়েছে। এই লোক বুশ প্রশাসনকে আহবান জানিয়েছিলেন সামরিক জোট গঠনের যা নাকি দেশে দেশে 'গণতন্ত্র' প্রতিষ্ঠা করবে!
................................................................................
পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী কলামিস্ট থমাস ফ্রিডম্যান 'নিউইয়র্ক টাইমস' এ লিখেছিলেন-
"আমাদের নিরাপত্তা এবং বিশ্বমঞ্চে নিজেদের কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে ইরাক দখলে আনতেই হবে।"
.............................................................................
'আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট' এর কর্মকর্তা মাইকেল লিডেন 'ন্যাশনাল রিভিউ অনলাইন' এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন-
"আমেরিকার উচিত ১০ বছর পর পর একেকটা দুর্বল দেশকে ধরে দেয়ালে আছড়ে মেরে ফেলা। এটাই বাণিজ্য।"
............................................................................
হামিদ কারজাই আমেরিকার তেল উত্তোলন কোম্পানি ইউনোকল এর প্রাক্তন কর্মী ছিলেন।
Comments