ইন্দো-ইয়াঙ্কি ভাই ভাই

 

আমেরিকায় প্রথম যে দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল সেটি ছিল কার্নেগি কর্পোরেশন।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Carnegie_Corporation_of_New_York

১৯১১ সালে কার্নেগি স্টিল কোম্পানির মুনাফার টাকায় এর সমিতিবদ্ধকরণ হয় এবং রকফেলার ফাউন্ডেশনের স্ট্যান্ডার্ড অয়েলের জেডি রকফেলারের দ্বারা ১৯১৪ সালে যার প্রতিষ্ঠা হয়।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/John_D._Rockefeller

রকফেলার ফাউন্ডেশন থেকে যেসকল প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য প্রারম্ভিক পুঁজি অথবা সহায়ক অর্থ হিসেবে দেয়া হয়েছিল সেগুলো হলো জাতিসংঘ, সিআইএ, কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস, নিউইয়র্কের মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট এবং রকফেলার সেন্টার (যেখানে ডিয়েগো রিভেরাকে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয়াল থেকে খুবড়ে ফেলা হয়েছিল; কারণ সেখানে পুঁজিবাদী আর লেনিনের মূর্তি চিত্রিত করা হয়েছিল।)।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Council_on_Foreign_Relations

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Museum_of_Modern_Art

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Diego_Rivera

https://www.npr.org/2014/03/09/287745199/destroyed-by-rockefellers-mural-trespassed-on-political-vision

১৯২৪ সালে রকফেলার এবং কার্নেগি ফাউন্ডেশন যৌথভাবে কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস প্রতিষ্ঠা করে, যা দুনিয়ার সবচাইতে শক্তিশালী বিদেশনীতি নির্ধারণের চাপ সৃষ্টিকারী গ্রুপ বলে পরিচিত।

https://www.cfr.org/

এটি পরবর্তীকালে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের দ্বারাও আর্থিক সাহায্যপুষ্ট হয়।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Ford_Foundation

১৯৪৭ এর মধ্যে 'কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস' সিআইএ-কে মদদ জোগাতে এবং তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে শুরু করে। বছরের পর বছর ধরে ২২ জন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারিকে কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস এর সদস্যপদে রাখা হয়েছিল। ১৯৪৩ সালে যে স্টিয়ারিং কমিটি জাতিসংঘের পরিকল্পনা করে তার ৫ জনই ছিল কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস এর সদস্য এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ের জমি জেডি রকফেলাররা ৮.৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়ে কিনে দেয়। ১৯৪৬ সাল থেকে বিশ্বব্যাংকের যে ১১ জন সভাপতি হয়েছে, তারা সবাই ছিল কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস এর সদস্য (একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল জর্জ উডস, যে ছিল রকফেলার ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এবং চেস ম্যানহাটন ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট।)

https://en.m.wikipedia.org/wiki/George_David_Woods

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Chase_Bank

কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস এর মতো আরেকটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হলো ট্রাইল্যাটারাল কমিশন।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Trilateral_Commission

ডেভিড রকফেলার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জিগনিয়েভ ব্রিজিনস্কি (আফগান মুজাহিদিনদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য যারা ছিল তালিবানদের পূর্বসূরি), চেস ম্যানহাটন ব্যাংক এবং আরও কয়েকজন মিলে ১৯৭৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করে।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Zbigniew_Brzezinski

এদের উদ্দেশ্য ছিল উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং জাপানের মধ্যে সহযোগিতার বন্ধন তৈরি করা। পরে তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক চীন ও পুঁজিবাদী ভারত থেকে সদস্যদের এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। (ইনফোসিসের প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এন আর নারায়ণ মূর্তি, জামশেদ গোদরেজ, জামশেদ জে ইরানি, আভান্থা গ্রূপের গৌতম থাপার প্রমুখ)।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/N._R._Narayana_Murthy

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Jamshyd_Godrej

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Jamshed_Jiji_Irani

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Gautam_Thapar

স্থানীয় মাতব্বর, ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন দেশে এটির অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মিলে একটি আন্তর্জাতিক ক্লাব হলো এসপেন ইনস্টিটিউট।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Aspen_Institute

আর ভারতে এটির সভাপতি হলো তরুণ দাস এবং
চেয়ারম্যান হলো গৌতম থাপার।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Tarun_Das

ম্যাকেঞ্জি গেবাথ ইনস্টিটিউটের অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস, ট্রাইল্যাটারাল কমিশন আর এসপেন ইনস্টিটিউটের সদস্য।

শ্রীলংকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপালা সিরিসেনা 'শ্রীলংকান ফ্রিডম পার্টি'র সদস্য ছিলেন, যাদের রাজনৈতিক আদর্শ ছিল সোশ্যাল ডেমোক্রেসি। এর আগে তিনি নির্বাচনপন্থী 'কমিউনিস্ট পার্টি অব শ্রীলংকা'র সদস্য ছিলেন। ইকোনমিক্স টাইমস এর তথ্য অনুযায়ী তিনি জাপান ও ভারতের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন যেটির মাধ্যমে তিনি এই দেশ দু'টিকে কলম্বো বন্দর সম্প্রসারণে অনুমতি দিয়েছিলেন। তিনি জাপান ও ভারতকে ত্রিকোমালি শহরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির অনুমতি দেন।

ভারতে পারমাণবিক প্রযুক্তি সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। নিউক্লিয়ার সাপ্লাইয়ার্স গ্রূপে ভারতের সদস্য হওয়ার ইচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। ভারত কর্তৃক জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের সদস্য হওয়ার ইচ্ছায়ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়েছে। ২০১৬ সালে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হওয়া সামরিক চুক্তি অনুযায়ী দেশ দু'টি পরস্পরের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে মার্কিন বিমানবহর ভারতের বিমানঘাঁটিগুলো ব্যবহার করতে পারবে রিফুয়েলিং এর জন্য। চুক্তিটি Logistics Exchange Memorandum of Agreement বা সংক্ষেপে LEMOA চুক্তি হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া আরও দু'টি চুক্তি দেশ দু'টির মধ্যে হয়েছে যেগুলো Communications Interoperability and Security Memorandum of Agreement (CISMOA) এবং Basic Exchange and Cooperation Agreement for Geo-Spatial Cooperation ((BECA) নামে পরিচিত। সিসমোয়া চুক্তির ফলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব তথ্য পাবে যুক্তরাষ্ট্র। আর বেকা চুক্তির ফলে বিভিন্ন স্থানের ডিজিটাল মানচিত্র ও সমীক্ষা রিপোর্ট ব্যবহার করতে পারবে মার্কিনিরা। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখর মার্কিনিদের একই সুযোগ দিয়েছিলো। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সময় আমেরিকায় বসবাসরত ভারতীয়রা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ডোনেশন দিয়েছিল।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Chandra_Shekhar

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভারত চীনের বিরুদ্ধে নজরদারি ও মার্কিনিদের তথ্য সরবরাহের জন্য ড্রোন বিমান তৈরী করবে। আর বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন টাটা কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে এফ-১৬ বিমান তৈরী করবে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তির কারণে মার্কিন ব্যবসায়ীদের লাভ হয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিপরীত শক্তি হিসেবে ভারতের নৌবাহিনীকে তৈরী করতে অস্ট্রিন শ্রেণীর ল্যান্ডিং প্লাটফর্ম ডক 'ইউএসএ ট্রেনটন' বিক্রি করেছে। এমনকি ভারতের অগ্নি-৩ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর মার্কিন সরকার সবুজ সংকেত দিয়েছিলো (হিন্দুস্তান টাইমস)।

তথাকথিত সাম্রাজ্যবাদবিরোধী খোমেনীর ইরান এশিয়ায় মার্কিনিদের প্রক্সি ওয়ার বাস্তবায়নের অন্যতম সহযোগী ভারতকে ওমান উপসাগরের তীরে অবস্থিত তাদের 'চাহ বাহার' শহরে গভীর সমুদ্র বন্দর এবং শহরটি থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত সড়ক ও রেলপথ নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল। এই রেলপথ চাহ বাহার থেকে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে আফগানিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে ইরানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর ভারত তা সমর্থন করেছিল এবং ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এটি সোভিয়েত ইউনিয়নকে মিত্র দেশগুলো দিয়ে ঘিরে ফেলার মার্কিন নীতির অনুরূপ যা বর্তমানে চীনের ব্যাপারে সুপরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে দ্রুতগতিতে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদে প্রেরণের আগে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার বৈঠকে ভারত ইরানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল।

ইয়েলৎসিনের অত্যন্ত প্রিয় পাত্র তাজিক রাষ্ট্রপতি ইমোমআলি হিসার ও ফারখোরে ভারতকে বিমান ঘাঁটি করতে দিয়ে নিজের আসল চরিত্রই দেখিয়েছেন। রাহমোন নাবীয়েভ সহ আরও অনেক বিখ্যাত কমিউনিস্ট নেতার হত্যাকারী এই রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতায় এনেছিল ইয়েলৎসিন। এমনকি তালেবানরা ক্ষমতায় আসার আগে আফগানিস্তানেও ভারতের গোপন বিমান ঘাঁটির অস্তিত্ব ছিল।

ওবামা প্রশাসন ২০০৭ সালে তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক
ভিয়েতনামের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্যপদ পাওয়াকে সমর্থন করেছিল। ওবামা ২০১৬ সালের জুন মাসে ভিয়েতনাম সফর করেছিলেন। তিনি ভিয়েতনামের সঙ্গে টিপিপি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Trans-Pacific_Partnership

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামের উপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছিল এবং ৩২০ কোটি ডলারের ৬টি ইলেকট্রিক সাবমেরিন বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়ায় প্রক্সি ওয়ারের অন্যতম মাধ্যম ভারতের সাথে চুক্তি করে ভিয়েতনাম তাদের দক্ষিণ চীন সাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের সুযোগ করে দিয়েছে। সেখানে ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের চারটি গাইডেড মিসাইল সজ্জিত যুদ্ধজাহাজ আছে। এছাড়া ভারত ভিয়েতনামকে ৫০ কোটি ডলারের সামরিক সহযোগিতা করেছে।

মোদি ইজরায়েল সফরে যাওয়ার পর নেতানিয়াহু প্রটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে নিতে গিয়েছিলেন। মোদির নামে তিনি ইজরায়েলের একটি ফুলের নামকরণ করেছিলেন সেসময়। ভারতে তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদীদের দোসর এই দেশটি। প্রতি বছর এই দু'টি দেশের মধ্যে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ব্যবসা হয়। ভারত ইজরায়েলি অস্ত্র ও প্রযুক্তি যে মাওবাদীদের হত্যা করতে কাজে লাগায় তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। স্টকহোম পিস রিসার্স ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী ২০১৩-২০১৭ সময়কালের মধ্যে ভারত বিশ্বের আমদানিকৃত অস্ত্রের ১২% আমদানি করেছিল।

ফোর্ড ফাউন্ডেশন ১৯৩৬ সালে তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে এটির সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। রিসার্চ আ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন হচ্ছে সামরিক গবেষণা সংস্থা, যারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা পরিষেবার জন্য অস্ত্র নিয়ে গবেষণা করে আর তাদের অর্থ জোগায় এই ফোর্ড ফাউন্ডেশন

https://en.m.wikipedia.org/wiki/RAND_Corporation

১৯৫২ সালে এরা 'ফান্ড ফর দ্য রিপাবলিক' প্রতিষ্ঠা করে, যা পরে নাম পরিবর্তন করে 'সেন্টার ফর দ্য স্ট্যাডি অব ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউশনস' করা হয় যাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে কমিউনিজমের গতিরোধ।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Fund_for_the_Republic

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Center_for_the_Study_of_Democratic_Institutions#:~:text=The%20Center%20for%20the%20Study,hoped%20would%20influence%20public%20deliberation.

এই ফাউন্ডেশন ভারতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তারা সেদেশের শিল্পীদের, ছায়াছবি নির্মাতাদের, সামাজিক কর্মীদের পিছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম এবং বৃত্তির জন্য উদার হাতে টাকা ঢেলেছে।

এডওয়ার্ড ফিলেন ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্রেডিট ইউনিয়ন মুভমেন্টকে লক্ষ লক্ষ ডলার অনুদান এবং ধার হিসেবে দিয়েছিল।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Credit_union

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Edward_Filene

https://en.m.wikipedia.org/wiki/History_of_credit_unions

ফিলেন সেসময় শ্রমিকদের সাধ্যের মধ্যে ধার নেয়ার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য ভোগ্যপণ্যের বাজার তৈরির অভিমুখী 'গণ ভোক্তা সমিতি' গঠন করে।

পুঁজিপতিরা ফিলেনের ধ্যান-ধারণাকে লুফে নেয় এবং কোটি কোটি ডলার শ্রমিকদের 'সাধ্যের মধ্যে' ঋণ দিয়ে জীবনধারণের মান ধরে রাখার পিছনে শ্রমজীবী মানুষকে প্রলুব্ধ করে চিরস্থায়ী ঋণের দায়ে জড়িয়ে ফেলে। এর অনেক বছর পর বাংলাদেশে সেই একই ধারণা চুইয়ে পৌঁছায় যখন ইউনুস এবং তার গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুধার্ত কৃষকদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করে তাদের ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়। ক্ষুদ্র আর্থিক কোম্পানিগুলো ভারতের হাজার হাজার মানুষের আত্মহত্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৫০ এর দশকে আমেরিকা যখন ল্যাটিন আমেরিকা, ইরান, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোর নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারগুলোকে একের পর এক ভেঙে দিচ্ছিল তখন রকফেলার এবং ফোর্ড ফাউন্ডেশন বিভিন্ন এনজিও ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা যুগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আধা-সহযোগী অংশের মতো কাজ শুরু করে। ইন্দোনেশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোর্ড ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক আদলে পাঠক্রম চালু করে। ইন্দোনেশিয়ার সেরা ছাত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা বিদ্রোহ দমনের কাজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে ১৯৫২ সালে ইন্দোনেশিয়ায় সিআইএ পরিচালিত অভ্যুত্থান ঘটিয়ে জেনারেল সুহার্তোকে ক্ষমতায় বসায়। জেনারেল সুহার্তো হাজার হাজার কমিউনিস্ট বিপ্লবীকে হত্যা করে।

১৯৭৩ সালে সিআইএ'র মদদে চিলিতে অভ্যুত্থান ঘটানোর আগে 'শিকাগো যুবা'দের মিল্টন ফ্রায়েডম্যান তাদের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসে।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Chicago_Boys

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Milton_Friedman

১৯৫৭ সালে রকফেলার ফাউন্ডেশন সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের জন্য র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার চালু করে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কমিউনিস্ট আদর্শের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের সহযোগী ফিলিপিন্স এর রাষ্ট্রপতি র‌্যামন ম্যাগসেসের নামে এটির নামকরণ করা হয়।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Ramon_Magsaysay

২০০০ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশন 'র‌্যামন ম্যাগসেসে লিডারশিপ এওয়ার্ড' চালু করে। ভারতের এমএস শুভলক্ষী, সত্যজিৎ রায় এই পুরস্কার পেয়েছেন।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/M._S._Subbulakshmi

জয়প্রকাশ নারায়ণ এবং পি সাইনাথ এটি পেয়েছেন।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Jayaprakash_Narayan

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Palagummi_Sainath

আন্না হাজারে, অরবিন্দু কেজরিওয়াল এবং কিরণবেদী তিনজনই ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত। কেজরিওয়ালের এনজিওগুলোর মধ্যে একটির পেছনে ফোর্ড ফাউন্ডেশন প্রচুর অর্থ ঢালে।

https://m.timesofindia.com/city/nagpur/guj-govt-taking-ford-foundation-funds-is-ok/articleshow/32573211.cms

কিরণ বেদীর এনজিও কোকাকোলা এবং লেহমান ব্রাদার্স এর অর্থে চলে।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Lehman_Brothers

আন্না হাজারের আন্দোলনে ব্যক্তি মালিকানা, কর্পোরেট ক্ষমতা কিংবা অর্থনৈতিক 'সংস্কার' সম্পর্কে একটি শব্দও উচ্চারিত হয়নি। অথচ কর্পোরেট সংবাদমাধ্যমগুলো তাকে সেদেশের 'জনগণের কণ্ঠস্বর' বলে প্রচার করে! তিনি ২০০৮ সালে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পুরস্কার পেয়েছিলেন

'ফাউন্ডেশন এন্ড পাবলিক পলিসি: দ্য মাস্ক অব প্লুরালিজম' নামের বইটিতে জোয়ান রোয়েলফস বর্ণনা করেছেন কেমন করে ফাউন্ডেশনগুলো রাষ্ট্রবিজ্ঞান শিক্ষা দেয়ার পদ্ধতি পুনর্গঠন করে 'আন্তর্জাতিক' এবং 'এলাকাভিত্তিক' অনুশীলনকে পাঠক্রমের অংশ বানিয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাগিরি ও সুরক্ষার কাজে নিয়োগের উপযুক্ত বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত এক দঙ্গল বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে পেরেছে। সিআইএ এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রবিভাগ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে কাজকর্ম চালায়। এজন্য বৃত্তি প্রদানের নৈতিকতা বিষয়টি এখন বড় প্রশ্নের সম্মুখীন

https://www.amazon.com/Foundations-Public-Policy-Pluralism-Political/dp/0791456420

জমি অধিগ্রহণ এবং নয়া আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে সারা ভারতে প্রতিরোধ আন্দোলনের বিস্তার ঘটতে থাকলে মধ্য ভারতে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার আড়ালে সেই প্রতিরোধের প্রভাব বিস্তার রোধ করতে বায়োমেট্রিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় দেশটিতে।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Aadhaar

ইনফোসিসের প্রাক্তন সিইও নন্দন নীলিকানি বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেন দেশটির সরকারের এই কার্যক্রমে

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Nandan_Nilekani

তথ্য সংগ্রহের প্রতি নীলিকানির কারিগরি নির্ভর উচ্ছ্বাস বিল গেটসের 'নিউম্যারিকাল টার্গেট', 'স্কোরকার্ড অব প্রগ্রেস' ইত্যাদির তুল্য। যেন উপনিবেশ নয়, ঋণগ্রস্ততা নয়, কর্পোরেটদের মুনাফা সর্বস্ব কুটিল নিয়মনীতি নয় - তথ্যের অভাবই বিশ্বব্যাপী অনাহারের কারণ! কর্পোরেটদের অর্থে পুষ্ট ফাউন্ডেশনগুলো সমাজবিজ্ঞান ও শিল্পকলার ব্যাপক অর্থ যোগানদার। এরা 'ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ', 'কমিউনিস্ট স্টাডিজ', 'কালচারাল স্টাজিড', 'বিহ্যাভেরিয়াল সায়েন্স' এবং 'হিউম্যান রাইটস' এর উপর পড়াশোনার জন্য ছাত্রবৃত্তির ব্যবস্থা করে। এসব আন্তর্জাতিক ছাত্রদের মধ্য থেকেই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, অর্থনীতিবিদ, কর্পোরেট আইনবিদ, ব্যাঙ্কার এবং প্রশাসক তৈরি হয়েছে যারা নিজেদের দেশের অর্থনীতিকে গ্লোবাল কর্পোরেশনকে উপহার দিয়েছে।ফাউন্ডেশনের অনুকূল অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান শিখতে দালালদের ফেলোশিপ, গবেষণার জন্য অর্থ, বিভিন্ন অনুদান, বৃত্তি ও চাকরি প্রদানের দ্বারা পুরস্কৃত করা হয়।

ছত্তিশগড়, ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ডের সরকারগুলো ২০০৫ সালে বক্সাইট, লোহা ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ (কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের) বিক্রির কয়েকশ চুক্তি নামমাত্র মূল্যের বিনিময়ে স্বাক্ষর করেছিল, এসব চুক্তিতে সরকারের পাওনা রয়্যালটি ধরা হয় মাত্র ০.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত। বস্তারে ইনটিগ্রেটেড স্টিল প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য টাটা স্টিলের সঙ্গে ছত্তিশগড় সরকারের চুক্তি সম্পাদনের কয়েকদিন পর নজরদারির জন্য সশস্ত্র বাহিনীর উদয় হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় জঙ্গলে মাওবাদী গেরিলাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে নাকি জনসাধারণ এটি বানিয়েছে! খনির জন্য ক্ষেত্র পরিষ্কারের কাজে একে লাগানো হয়, যার জন্য অর্থ এবং অস্ত্রের যোগানদার হলো সরকার আর খননকারী কর্পোরেশনগুলো তার ভর্তুকি যোগায়। ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও অন্য নামে এমন সশস্ত্র বাহিনী তৈরি হয়েছে।ওড়িশার কলিঙ্গনগরে টাটাদের অপর একটি স্টিল প্ল্যান্টে ২০০৬ সালের ২ জানুয়ারি ১০ প্লাটুন পুলিশ পাঠায় যারা গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালায়। এতে ১৩ জন মারা যায়। এই সময়কালে ছত্রিশগড়ে সালোয়া জুডুম এর মাধ্যমে শত শত গ্রামে খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ চালিয়ে ৬০০ গ্রামকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, ৫০ হাজার মানুষকে পুলিশ ক্যাম্পে এসে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে এবং ৩,৫০,০০০ মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Salwa_Judum

রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিল যারা বন ছেড়ে বেরিয়ে না আসবে তাদের 'মাওবাদী সন্ত্রাসবাদী' হিসেবে চিহ্নিত করা হবে! ২০০৯ সরকার 'অপারেশন গ্রিন হান্ট' এর সূচনা হয়।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Operation_Green_Hunt

ছত্তিশগড়, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিম বাংলায় দুই লক্ষ আধা সামরিক বাহিনী নামানো হয়। পরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে সেখানে কাজে লাগানো হয় কর্পোরেট জোঁকেদের জন্য বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে। কাশ্মীর, মণিপুর নাগাল্যান্ড এবং সারা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার ঠিকানাহীন কবর এবং নামগোত্রহীন চিতাস্থল এই বাহিনীর অবদান। মধ্য ভারতের বনভূমি তখন ঘেরাও হয়ে আছে এই খুনিদের দ্বারা। 'মাওবাদী' তকমা লাগিয়ে হাজার হাজার মানুষকে জেলে পুরে রাখা হয়েছে সেখানে। জেলগুলোতে আদিবাসী মানুষে উপচে পড়ছে। বস্তারে শোণি শোরি নামে একজন আদিবাসী স্কুল শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে অত্যাচার চালানো হয়েছিল। তার যৌনাঙ্গে পাথরের টুকরো ঢুকিয়ে দেয়া হয় যাতে তিনি 'স্বীকার' করতে বাধ্য হন যে তিনি একজন মাওবাদী সংবাদ প্রেরক। কলকাতার এক হাসপাতালে তার দেহ থেকে পাথর খন্ডগুলো বার করানো হয়।পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট অঙ্কিত গর্গ, যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল, তাকে 'সাহসিকতার জন্য' প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদকে ভূষিত করা হয়!

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Ankit_Garg#:~:text=Ankit%20Garg%20is%20a%20police,the%20Police%20Medal%20for%20Gallantry.

ভারতের গণমাধ্যমগুলোর আয়ের প্রধান উৎসই হলো কর্পোরেটদের বিজ্ঞাপন। কেবল আরআইএল ২৭টি টিভি চ্যানেলের মালিক।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Reliance_Industries

দৈনিক ভাস্করের ১৩টি রাজ্যজুড়ে ৪টি ভাষার ১৭.৫ লক্ষ পাঠক আছে। এদের অধীনে ৬৯টি কোম্পানি আছে যাদের স্বার্থ খনিজ উত্তোলন, শক্তি উৎপাদন, রিয়েল এস্টেট এবং বস্ত্র শিল্লের সঙ্গে জড়িত। ছত্তিশগড় উচ্চ আদালতে অভিযোগ জানিয়েছিল একটি আবেদন পেশ করা হয়েছিল যে 'ডিবি পাওয়ার লিমিটেড' কোম্পানির সংবাদপত্রকে অনৈতিকতাবে এবং স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে একটি খোলামুখ কয়লা খনির ব্যাপারে গণ শুনানির ফলাফল প্রভাবিত করার কাজে লাগানো হয়েছিল।

https://diliigentpower.com/

অরুণাচল প্রদেশে ১৬৮টি বড় বাধ তৈরি হচ্ছে, যার অধিকাংশই ব্যক্তি মালিকানায় এবং প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা দিচ্ছে ভারতের সেনাবাহিনী। মণিপুর এবং কাশ্মীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে মানুষকে খুন করা ডালভাতের ব্যাপার

টাটা গ্রুপ হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের মতো প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মিলিয়ন ডলার এবং কর্নেল ইউনিভার্সিটিকে ৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়। ইনফোসিসের নন্দন নীলিকানি এবং তার স্ত্রী রোহিনী, ইয়েলের 'ইন্ডিয়া ইনিশিয়েটিভ'কে প্রারম্ভিক তহবিল হিসেবে ৫ মিলিয়ন ডলার দেয়।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Nandan_Nilekani

মহিন্দ্রা গ্রুপের আনন্দ মহিন্দ্রার কাছ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার অনুদান পাওয়ার পর হার্ভার্ড হিউম্যানিটিস সেন্টার পরে মহিন্দ্রা হিউম্যানিটিস সেন্টারে পরিণত হয়।

https://mahindrahumanities.fas.harvard.edu/

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Mahindra_%26_Mahindra

জিন্দাল গ্রুপ (খনি, ধাতু এবং শক্তি উৎপাদন শিল্পে সব চাইতে বেশি পরিমাণ বিনিয়োগ আছে ভারতে এদের) জিন্দাল গ্লোবাল ল' স্কুল এবং জিন্দাল স্কুল অব গভর্নমেন্ট এন্ড পাবলিক পলিসি চালায়। উল্লেখ্য, ফোর্ড ফাউন্ডেশন কঙ্গোতে একটি ল' স্কুল চালায়।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/O._P._Jindal_Global_University

নন্দন নীলিকানির অনুদানপুষ্ট ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (ইউফোসিসের লাভ থেকে যার অর্থ যোগান দেয়া হয়) সমাজবিজ্ঞানীদের পুরস্কার এবং ফেলোশিপ দিয়ে থাকে।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Infosys

জিন্দাল আ্যালুমিনিয়ামের সাহায্যপুষ্ট সীতারাম জিন্দাল ফাউন্ডেশন ঘোষণা করেছিল গ্রামোন্নয়ন, দারিদ্র দূরীকরণ, পরিবেশ শিক্ষা এবং নৈতিক মানোন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের পাঁচটি ১ কোটি টাকার নগদ পুরস্কার দেবে। এসময় মুকেশ আম্বানির ৩২ বিলিয়ন রুপি সাহায্যপুষ্ট 'অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন' রকফেলার ফাউন্ডেশনের ঘরানায় সাজানো হয়।

https://www.sitaramjindalfoundation.org/

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Observer_Research_Foundation

এর রিসার্চ ফেলো এবং উপদেষ্টামণ্ডলী হিসেবে আছে অবসরপ্রাপ্ত গোয়েন্দা, সরকারি নীতি বিশ্লেষণকারী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং নীতিনির্ধারণের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। ওআরএফ এর প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগীদের তালিকায় আছে রেথিয়ন এবং লকহিড মার্টিন এর নাম, যারা পৃথিবীর সবচাইতে বৃহৎ অস্ত্র নির্মাতা।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Raytheon_Technologies

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Lockheed_Martin

২০০৭ সালে রেথিয়ন ঘোষণা করেছিল তারা ভারতের দিকে চোখ ফেরাচ্ছে। ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এর অর্থনীতি বহুল পরিমাণে অস্ত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এটাই একমাত্র ক্ষেত্র যা তারা চীনের কাছে 'আউটসোর্স' করেনি। সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ঠান্ডা যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের দোসর হিসেবে পাকিস্তান যে ভূমিকা পালন করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে নয়া ঠান্ডা যুদ্ধে ঠিক একইভাবে যুক্তরাষ্ট্র চায় ভারত পাকিস্তানের মতো ভূমিকা পালন করুক। ভাষ্যকার এবং কূটনীতি বিশ্লেষকদের মধ্যে যারা ভারত এবং চীনের মধ্যে বৈরিতা তৈরির খেলায় মত্ত, তাদের অনেকে ইঙ্গ-মার্কিন পরামর্শদাতা ও ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত। ভারতের মাটিতে মার্কিনিদের বিশেষ বাহিনীকে আতিথ্য দেয়ার ব্যাপারটা এক পেন্টাগন কমান্ডার বিবিসি'র কাছে স্বীকার করেছিল। ওআরএফ এর ইনস্টিটিউশনাল পার্টনারের তালিকায় আছে র‍্যান্ড কর্পোরেশন, ফোর্ড ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/RAND_Corporation

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Brookings_Institution

জার্মানির রোজা লুক্সেমবার্গ ফাউন্ডেশনের নামও আছে এই তালিকায়

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Rosa_Luxemburg_Foundation

যিনি কমিউনিজমের জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন তার নামের সঙ্গে জড়িত সংগঠন এমন তালিকায় আছে!

Comments

Popular posts from this blog

শিবিরনামা [পর্ব-এক]

পশ্চিমাদের পুতুল সরকার [পর্ব-এক]

দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-এক]