বিজ্ঞানের গেরুয়াকরণ
ভারতের Council of Scientific and Industrial Research এর প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী গওহর রাজা মন্তব্য করেছিলেন, মোদী যা শুরু করেছেন তাকে 'Project assault on scientific rationality' বলা যেতে পারে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Council_of_Scientific_and_Industrial_Research
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Gauhar_Raza
দেশটির বিখ্যাত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণা সংস্থাগুলোর বহু নামকরা বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, প্রফেসর ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবী শ্রেণি মোদীর এই অলিখিত প্রজেক্ট কার্যকর করতে হাত লাগাচ্ছেন। বিশাখাপত্তনমের অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রসায়নবিদ জি. নাগেশ্বর রাও কর্তৃক স্টেম সেল বহু হাজার বছর আগে ভারতে তৈরি হয়ে থাকার দাবি থেকে শুরু করে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা কেন্দ্র DRDO এর প্রাক্তন প্রধান ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বিজয় কুমার সারস্বত এর জ্যোতিষের উপর অগাধ আস্থা ও প্রাচীন 'হিন্দু বিজ্ঞান' নিয়ে গৌরব ছাড়াও আরও বহু নজির রয়েছে দেশটিতে ছদ্মবিজ্ঞান প্রচারের।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Gullapalli_Nageswara_Rao
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Defence_Research_and_Development_Organisation
https://en.m.wikipedia.org/wiki/V._K._Saraswat
উল্লেখ্য, সারস্বত VIBHA অর্থাৎ রাস্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিজ্ঞান শাখার উপদেষ্টা। এটি সরকারি তহবিল প্রাপ্ত এবং দেশটির ২৩টি রাজ্যে সক্রিয়। এটির তথাকথিত ২০ হাজার টিম মেম্বার ও ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে যাদের মধ্যে অনেকে দেশটির বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রগুলোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। হিন্দুত্ববাদী আদর্শ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে এটি। মানুষের মধ্যে ছদ্মবিজ্ঞান তথা হিন্দুত্ববাদী পৌরাণিক কাহিনীকে ইতিহাস হিসেবে তুলে ধরা, ভ্রান্ত ধারণা, হিন্দুদের কাল্পনিক গৌরবোজ্জ্বল বিজ্ঞানের ইতিহাস ইত্যাদি প্রচারে এটি অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ISRO ও পারমাণবিক গবেষনা কেন্দ্র BARC এর প্রাক্তন চেয়ারম্যানরা VABHA এর পৃষ্ঠপোষক, CSIR এর প্রাক্তন পরিচালক বিজ্ঞানী শেখর মান্ডে এটির সহ সভাপতি।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Bhabha_Atomic_Research_Centre
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Shekhar_C._Mande
মান্ডের কথায়, VIBHA আদৌ বিজ্ঞান বিরোধী নয়! উপরন্তু তিনি সাংবাদিকদের দুষেছেন যে তারাই নাকি তুচ্ছ বিষয়গুলো বেশি বাড়িয়ে অপপ্রচার করছে, তাই তাদের রিপোর্ট করাই উচিৎ না!
২০১৯ সালের জাতীয় বাৎসরিক বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভায় বিজ্ঞানী কান্নান জেগাথালা কৃষ্ণান আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বকে 'একটি বড় ভুল' বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন নিউটন নাকি বুঝতেই পারেননি কীভাবে মহাকর্ষ কাজ করে! ২০২২ সালে দেশটির প্রাক্তন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী হর্ষবর্ধন (ডাক্তার এবং আরএসএস সদস্য) মন্তব্য করেছিলেন, স্টিফেন হকিং নাকি দাবি করেছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইনের সমীকরণ E=mc2 এর চেয়ে উচ্চতর তত্ত্ব রয়েছে বেদ এ!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Harsh_Vardhan_(Delhi_politician)
এর কয়েক বছর আগে দেশটির বিজ্ঞান কংগ্রেসে 'Neuroscience of yoga', 'Engineering applications of ancient Indian Botany' ইত্যাদি অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে একাধিক সেশন চলেছে। এমনকি কোভিড মহামারীর সময়ও হিন্দু ধর্মীয় পৌরাণিক অনুশীলনকে প্রাধান্য দিয়ে করা ছদ্মবৈজ্ঞানিক দাবির অভাব ছিল না। ২০১৭ সালে বিজ্ঞানী বর্ধন ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে 'পঞ্চগব্য' বিষয়ে গবেষণা ফান্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এটা প্রমাণ করতে যে, পঞ্চগব্য অর্থাৎ গোমূত্র, গোবর ইত্যাদির মিলিত সংমিশ্রণ বহু রোগের প্রতিকার!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Panchagavya
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Indian_Institutes_of_Technology
ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি খড়গপুর এর একটি বিভাগ দ্বারা প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক ক্যালেন্ডারে প্রাচীন ধর্মীয় জ্ঞানকে আধুনিক এবং বিজ্ঞানসম্মত বলে উপস্থাপন করা হয়েছে!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/IIT_Kharagpur
ভারতের আইআইটিগুলোতে হিন্দুত্ববাদী ছদ্মবিজ্ঞান প্রচার করা হলেও তাদের পাঠ্যসূচিতে কিন্তু বেদ পড়ানো হচ্ছে না, অথচ হিন্দুত্ববাদীদের মতে এই বেদেই নাকি সব আধুনিক বিজ্ঞান আছে! আপাতদৃষ্টিতে পরস্পর বিরোধী লাগলেও এর পিছনে সুপরিকল্পিত কারণ রয়েছে। এই 'হিন্দু বিজ্ঞান' প্রচারকারী বুদ্ধিজীবীরা খুব ভালো করেই জানেন যে 'হিন্দু বিজ্ঞান' এর তথাকথিত গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়টা আসলে ভ্রান্ত। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের যুক্তিবোধ ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিকে ক্রমে পঙ্গু করে দেয়া যাতে তাদের মধ্যে সচেতনতা ক্রমে নষ্ট হয়ে যায় আর লাভবান হয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার। এই পুরো বিষয়টি রীতিমত সরকারি উদ্যোগ নিয়ে করা দেশটিতে। ভারতের স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে দাবি করেছিলেন যে গণেশের হাতির মাথা প্রতিস্থাপন নাকি সহস্রাব্দ আগে ভারতীয় অস্ত্রোপচারের দুর্দান্ত সাফল্যের নিদর্শন! এছাড়া তিনি রাও এর মতো স্টেম সেল সম্পর্কে দাবি করেছিলেন। তিনি SARS-CoV-2 তাড়ানোর জন্য 'মহাজাগিক শক্তি'কে আহবান জানান, যার জন্য জনসাধারণকে প্রাচীন সংখ্যাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে 'শুভ' সময়ে শঙ্খ বাজানোর পরামর্শ দেন!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/SARS-CoV-2
তিনি যোগ গুরুর তৈরি কোভিড-১৯ ওষুধ চালু করা থেকে বিরত থাকেননি, এটি এমন ওষুধ যেটির কোনো ক্লিনিক্যাল প্রমাণ নেই এবং ভারতীয় মেডিকেল এসোসিয়েশন দ্বারা সমালোচিত হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দেশটির প্রাক্তন উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী সত্য পাল সিং ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বকে খারিজ করে দিয়েছিলেন এবং স্কুল ও কলেজের পাঠ্যক্রম থেকে এটি সরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Satya_Pal_Singh_(Uttar_Pradesh_politician)
তার কথায়-
"আমাদের পূর্বপুরুষ সহ কেউই লিখিত বা মৌখিকভাবে বলেনি যে তারা কখনও একটি বানরকে মানুষে পরিণত হতে দেখেছে।"
২০২২ সালে ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি জ্যোতিষশাস্ত্রে ডিগ্রি কোর্স চালু করেছে!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Indira_Gandhi_National_Open_University
২০০১ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যা পরে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের পাঠ্যক্রম অনুসারে, বছরের পর বছর ধরে কসাইখানায় দৈনিক প্রাণীদের মৃত্যুর পর তাদের মৃতদেহ থেকে নির্গত Einsteinian Pain Waves এর কারণে Acoustic anisotropy তৈরি হয়, যার সাথে শিলার উপরের চাপ এর ইতিহাস সম্পর্কিত বলে দাবি করা হয়েছে!
আবার হিন্দুধর্ম অনুসারে, মহাবিশ্ব তিনটি জিনিস নিয়ে গঠিত - আত্মা, তত্ত্ব, মহাকাল। কিন্তু আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে, মহাকাশ এবং সময় একে অপরের সাথে জড়িত; যাকে বলা হয় স্পেস-টাইম কন্টিনিউম।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Spacetime
হিন্দুদের মতে তাদের ধর্মে উল্লেখিত 'মহাকাল' এই 'স্পেস-টাইম কন্টিনিউম'!
তারা ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিবকে পরমাণুর মৌলিক কণা ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন এর সাথে তুলনা করে! প্রোটন এবং নিউট্রন সর্বদা নিউক্লিয়াসের মধ্যে সংযুক্ত থাকে। এর সাথে তুলনা টানা হয়েছে ব্রহ্মা এবং বিষ্ণুর সর্বদা Navel cord (নাভি) দ্বারা সংযুক্ত থাকার বিষয়টি।
Fritjof Capra এর 'The Tao of Physics' কিংবা 'Erwin Schrödinger' এর লেখা 'What is life?' এবং এ ধরনের অনেক বই যেগুলোর লক্ষ্য বৈদান্তিক দর্শনের সাথে বিমূর্তভাবে বাস্তবের ভৌত প্রকৃতির মিল খুঁজে বের করা; এগুলো হিন্দু ডানপন্থী ছদ্ম বিজ্ঞানীদের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের প্রচারকে এগিয়ে নিতে। এরা এগুলোকে 'বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট' হওয়ার দাবি করে। বিজ্ঞানের জগতে যখনই কোনো নতুন উন্নতি বা আবিষ্কার হয়, দেশটির ছদ্ম বিজ্ঞানীরা হিন্দু শাস্ত্রের কিছু শ্লোক বা পৌরাণিক কাহিনীর মাধ্যমে তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে। তারা নিজ স্বার্থে এই জাতীয় বই থেকে শব্দের স্থানান্তর এবং সংমিশ্রণ করে তথ্যের বিকৃতিকরণ করে। ভারতীয় একজন ভূতত্ত্ববিদ দাবি করেছিলেন ব্রহ্মার নাকি ডাইনোসর সম্পর্কে জ্ঞান ছিল এবং বেদে তাদের উল্লেখ রয়েছে। তিনি বলেছিলেন সংস্কৃত শব্দ Dino (ডাইনি) এবং Saur (টিকটিকি, আরেকটি অর্থ অসুর) এর সাথে সম্পর্কিত।
.......................................................................
খ্রিষ্টীয় তৃতীয় সহস্রাব্দে সিন্ধু সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল যা বহিরাগত আর্যদের বেদ রচনার অনেক আগের ঘটনা। বেদ রচনা হয় খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মাঝামাঝি সময়ে। সিন্ধু সভ্যতা কিন্তু হিন্দুদের তথা আর্যদের ছিল না। আর্যরা কথা বলতো সংস্কৃতের প্রারম্ভিক রূপ 'বৈদিক সংস্কৃত' ভাষায়। জ্ঞান-বিজ্ঞানে আর্যদের কীর্তি অতিরঞ্জিতভাবে বর্তমান ভারতের নতুন প্রজন্মকে মুখস্থ করানো হলেও অমর্ত্য সেন তার 'The argumentative Indian' বইটিতে লিখেছেন-
"...এটা ঠিক যে বেদ বহুদিক থেকে খুবই সমৃদ্ধ সাহিত্য, কিন্তু তাতে এমন কিছু নেই যাকে পরিশীলিত গণিত বা সুচর্চিত বিজ্ঞান বলা যায়।۔۔۔۔বৈদিক বিজ্ঞান ও গণিত কত প্রাচীন? হিন্দু ভারতকে এগিয়ে রাখবার জন্য এগুলি কি গ্রিক ও ব্যাবিলনীয় সভ্যতার আগে রচিত হয়েছিল? সুতরাং হিন্দুত্ববাদীরা ভারতীয় ইতিহাসকে এমনভাবে পুনর্লিখিত করার চেষ্টা করলেন যাতে এই সমস্যাগুলিকে একইসঙ্গে অতিক্রম করা যায়। যে সংস্কৃতভাষী লোকেরা বেদ রচনা করেছিলেন আর যারা সিন্ধু সভ্যতা নির্মাণ করেছিলেন তাদের হিন্দুত্ববাদীরা একই লোক বলে চালিয়ে দিলেন।۔۔۔"
সিন্ধু সভ্যতার নগর পরিকল্পনা, সংগঠিত শস্যভাণ্ডার আর অভূতপূর্ব পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থার দৃষ্টান্ত পুরো উপমহাদেশে অদ্বিতীয় হলেও উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের উপর হান্টিংটনের ভূত এভাবেই চেপে বসেছে। বিজেপির পেইড এজেন্ট নটবর ঝা এবং এম۔ এন۔ রাজারাম ২০০০ সালের দিকে 'দ্য ডিসাইফার্ড ইন্ডিয়ান স্ক্রিপ্ট' শিরোনামে একটি বই লিখে নানা আজগুবি তথ্য গায়ের জোরে দাবী করেছিলেন। আজ পর্যন্ত কেউ পাঠোদ্ধার করতে সক্ষম না হওয়া সিন্ধু সভ্যতার লিপি তারা এই বইয়ের মাধ্যমে রাতারাতি পাঠোদ্ধার করে ফেলে দাবী করলেন যে এটি খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দের মাঝামাঝি সময়ের সভ্যতা! বিজেপি সিন্ধু সভ্যতার নাম দিয়েছে 'সিন্ধু সরস্বতী সভ্যতা' এবং দেশটির তরুণ প্রজন্মকেও সেটাই মুখস্থ করানো হচ্ছে। এই দুই লেখক সিন্ধু সভ্যতার কথিত পোড়ামাটির সীলমোহরের ছবি দেখালেন যেখানে ঘোড়ার ছবি অঙ্কিত, অথচ এই সভ্যতার লোকেরা ঘোড়ায় চড়তে জানতো না! বরং এই সভ্যতার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ষাঁড়ের ছবি পাওয়া গেছে। পরে বের হয়ে আসে যে তথাকথিত ঘোড়ার ছবিটি সম্পূর্ণ জালিয়াতির কাজ। এক শিং যুক্ত ষাঁড়ের ভাঙা সীলমোহরের টুকরার ছবি থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে এটা বানানো হয়েছিল। কথিত ঘোড়ার ছবির সীলমোহরটি বিংশ শতাব্দীর শেষে তৈরী এবং এটি প্রমাণ করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিষয়ক অধ্যাপক মাইকেল উইজেল, স্টিভ ফার্মারের সঙ্গে লেখা তার এক যৌথ প্রবন্ধে।
...........................................................................
বিজেপি সরকার বিখ্যাত লেখক এ۔ সেথুমাধবনকে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যানের পদ ছাড়তে নির্দেশ দিয়ে ঐ পদে বলদেব শর্মাকে বসায় যিনি আরএসএস এর মুখপত্র 'পাঞ্চজন্য' এর প্রাক্তন সম্পাদক ছিলেন।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স এর প্রাক্তন প্রধান লোকেশ চন্দ্র 'দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' পত্রিকাকে বলেছিলেন মোদী নাকি গান্ধীকেও ছাড়িয়ে গেছে এবং ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাকি ঈশ্বরের প্রতিভূ! শুধু তাই না, তিনি বলেছেন কোরিয়াবাসীর উৎপত্তি নাকি অযোধ্যার এক রাজকুমারী থেকে!
Comments