জামায়াতে ইসলামী
মওদুদী হায়দ্রাবাদের নিজামের অধীনে চাকুরীতে থাকাকালীন রাজতন্ত্রের সমর্থন করতো এবং গণতন্ত্রের বিরোধিতা করে বলতো-
"জনগণের সরকার, জনগণের জন্য এবং জনগণের দ্বারা - একজন মুসলমান হিসাবে আমি এই নীতির সমর্থক নই।"
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আন্দোলনের ব্যাপারে সে বলেছিল-
"আমরা দেশীয় শাসনের অধীন না ব্রিটিশ শাসকের অধীন তা বড় কথা নয়। আমাদের দেখতে হবে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর অধীন কিনা।"
দেশী-বিদেশী শোষকদের স্বার্থে সে মুসলিম লীগ ও কংগ্রেস উভয় দলকে ইসলামবিরোধী হিসেবে ঘোষণা করে। পাকিস্তান প্রস্তাবকে সে 'খোঁড়া পাকিস্তান', 'লেংড়া পাকিস্তান', 'নাপাকিস্তান' বলে বিদ্রুপ করতো। অথচ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর সে লাহোরে চলে আসে! তৎকালীন পাকিস্তান সরকার অনৈসলামিক - এই অজুহাতে সে সরকারি কর্মচারীদের 'পাকিস্তানের প্রতি অনুগত থাকবো' এই শপথ নিতে এবং মুসলমান যুবকদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে নিষেধ করে। তৎকালীন সরকার মওদুদীর এই বিষয়ে লিখিত পুস্তিকা বাজেয়াপ্ত করে তাকে গ্রেফতার করে। জেল হতে ছাড়া পাওয়ার পর সে মুসলমানদের উস্কানি দিয়ে হাজার হাজার কাদিয়ানীকে হত্যা করায়। লাহোরে মার্শাল ল' জারি করে তার বিরুদ্ধে ফাঁসির হুকুম দেয়া হলেও সে প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে ফাঁসি হতে রক্ষা পায়। ১৯২৩ সাল হতে দীর্ঘ ৩০ বছর গণতন্ত্রের বিরোধিতা করার পর এই বদমাইশ ইসলামকে 'গণতন্ত্রের সারমর্ম' বলে প্রচার শুরু করে।
https://www.ninedownload.com/saiyed-abul-ala-moududee-pdf-book-free-download/
একসময় সে নারীদের ভোটার হওয়া হারাম ঘোষণা করেছিল। আবার ফাতেমা জিন্নাহর প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচন প্রার্থী হওয়াকে হালাল ঘোষণা করে! অবাধে মুনাফা লুন্ঠন ও জমিদারী শোষণকে হালাল ঘোষণা করতে গিয়ে মওদুদী বলেছিল-
"হালাল পন্থায় যত খুশি উপার্জন করুন, বাধা নেই। একজনের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে অন্যকে দেয়ার কোনো অধিকার সরকারের নেই।"
যেসকল দেশে পশ্চিমারা ঢুকেছে সেসব দেশে তারা দেশী-বিদেশী শোষকদের স্বার্থে প্রচার ও চক্রান্ত চালানোর অংশ হিসেবে মুসলিম ব্রাদারহুড, ইন্দোনেশিয়ার মাসয়ুমী পার্টির মতো সংগঠন সৃষ্টি করেছে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Masyumi_Party
মার্কিনি ও অন্যান্য জোঁকেদের সাথে মিলে মাসয়ুমী পার্টি ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১০ লক্ষ নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলেছিল। একই সুরে জামায়াতে ইসলাম হুমকি দিয়েছিল এই অঞ্চলকে ইন্দোনেশিয়া বানানোর। মুসলিম ব্রাদারহুড লিবিয়া, সিরিয়া, আলজেরিয়া, সুদান, মিশর, ইরাক প্রভৃতি দেশে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সরকারগুলোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদীদের সর্বক্ষণ চক্রান্তে প্রত্যক্ষ সহায়তা করেছে বহুবার।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Muslim_Brotherhood
মওদুদীর কিছু অমৃত বাণী শ্রবণ করা যাক-
"জাতীয়তাবাদের বিকাশ লাভ করার অর্থ হলো ইসলামের বিকাশ রুদ্ধ হওয়া আর ইসলামের উন্নতি ও বিকাশের অর্থ হলো জাতীয়তাবাদের মূল উৎপাটিত হওয়া।"
[এই বদমাইশ বাঙালিদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে সেসময় 'দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ' হাদিসটির সত্যতা অস্বীকার করেছিল।]
"মুসলমানদের মধ্যে জাহেলী জাতীয়তা ঢুকে পড়েছে।"
জামায়াতে ইসলামীর আরেক নেতা গোলাম আজম বলেছিল-
"বাংলাভাষা আন্দোলন একটি মারাত্মক ভুল।"
জামায়াতে ইসলামী সব ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতের মুঠোর ভেতর রাখার মতলবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে ভেঙে দুইটি প্রদেশ বানানোর প্রস্তাব রেখেছিল। এই লোক লাহোর থেকে প্রকাশিত তার এক প্রবন্ধে ফতোয়া জারি করেছিল যে, 'আখেরাতে অমুসলমানদের যৌবনদীপ্ত যুবক-যুবতীরা মুসলমানদের জন্য তৈরী বেহেস্তে গেলমান আর হুর হবে'!
মার্কিনিদের উপর চাল ও গমের জন্য নির্ভরশীল তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের চামচা 'আকাশবাণী'তে ঘোষিত হয়েছিল-
"পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী একটি মহান দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল।"
সাঈদীনামা:
#দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পাড়েরহাট বন্দরের বিপদ সাহাকে বাড়িতেই আটকে রেখে অন্যান্য রাজাকারসহ তার মেয়ে ভানু সাহাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতো। ভানু সাহা পরে দেশ ত্যাগে বাধ্য হন।
#স্বাধীনতার পর সাঈদী নিজের অপরাধকে আড়াল করার জন্য অস্ত্রসহ যশোরের মো. রওশন আলীর বাড়িতে আত্মগোপন করে। অনেকদিন পর তার কাহিনী জানাজানি হলে সে পরিবার নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর সে আত্মগোপন থেকে বের হয়ে আসে এবং ভুয়া মাওলানা পরিচয়ে ওয়াজ মাহফিল শুরু করে।
#মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে একদল রাজাকার পিরোজপুরের হুগলাবুনিয়া গ্রামে হানা দেয়। রাজাকারদের আগমন দেখে গ্রামের অধিকাংশ হিন্দু নারী পালিয়ে যায়। কিন্তু মুধুসুদন ঘরামীর স্ত্রী শেফালী ঘরামী ঘর থেকে বের হতে পারেননি। তখন সাঈদীর নেতৃত্বে রাজাকাররা তাকে ধর্ষণ করে। এর ফলে স্বাধীনতার পর তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এ নিয়ে গ্রামে বিভিন্ন কথা উঠায় শেফালী ঘরামী দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন।
#সাঈদীর নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিভিন্নভাবে নির্যতন চালাতো। তাদের বাড়ি লুঠ করা সহ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিতো। লোকজন সব হারিয়ে ভারতের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। আর যারা যেতে পারেননি তাদের সাঈদী ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করে। তাদের নিয়ে সে মসজিদে নামাজ পড়তো, তাদের মুসলমান নামও দেয় সে।
#সাঈদী আরবি ও উর্দু ভাষায় পারদর্শী। এ কারণে পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এজাজের সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এই কারণে সে রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার হতে সক্ষম হয়।
#তার নেতৃত্বে এবং সহযোগিতায় পারেরহাট বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং রাজাকার বাহিনী হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ, লুট, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করে। পিরোজপুরে বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এবং মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বাবা পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমানকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাজাকারদের সহায়তায় হত্যা করে।
তার আরো কিছু কুকীর্তি-
#একাত্তরের ৪মে মধ্যম মাছিমপুর বাসস্ট্যান্ডের পেছনে জমায়েত হওয়া ২০ জন নিরীহ বাঙালিকে গুলি করে হত্যা।
#একইদিন মাছিমপুর হিন্দুপাড়ায় আক্রমণ চালিয়ে বিজয় কৃষ্ণ মিস্ত্রী, উপেন্দ্রনাথ মিস্ত্রী, সুরেন্দ্রনাথ মিস্ত্রী, মতিলাল মিস্ত্রী, যজ্ঞেশ্বর মন্ডল, সুরেন মন্ডলসহ ১৩ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা।
#একইদিন ধোপাবাড়িরে সামনে দেবেন্দ্রনাথ মন্ডল, খগেন্দ্রনাথ, পুলিন বিহারী, মুকুন্দ বালাকে হত্যা।
#৫মে পিরোজপুরের এসডিপিও ফয়জুর রহমান আহমেদ, এসডিও মো. আব্দুর রাজ্জাক, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাঈফ মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা।
#২৫মে থেকে ৩১মে পর্যন্ত সময়ে আন্ধাকুল গ্রামের বিমল হাওলাদারের ভাই ও বাবাকে ধরে কুড়িয়ানা হাইস্কুল ক্যাম্পে নিয়ে তাদের সহ ৩০০০ নিরীহ বাঙালিকে কুড়িয়ানা পেয়ারা বাগানে নিয়ে হত্যা।
#২৫মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোনো একদিন হোগলাবুনিয়া গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে তরণী সিকদার ও তার ছেলে নির্মল সিকদার, শ্যামকান্ত সিকদার, বানীকান্ত সিকদার, হরলাল কর্মকার, মাইঠভাঙ্গারের প্রকাশ সিকদারসহ ১০ জনকে গুলি চালিয়ে হত্যার পর নদীতে লাশ ফেলে দেয়া।
#৪মে হতে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পাড়েরহাটে আক্রমণ করে হরলাল মালাকার, অরকুমার মির্জা, তরণীকান্ত সিকদার, নন্দকুমার সিকদার সহ ১৪ হিন্দুকে রশিতে বেঁধে পাকিস্তানি সেনাছাউনীতে নিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়া।
....................................................................................
যেসব শ্রেণী সচেতনহীন মুসলমান 'মুসলিম-মুসলিম ভাই ভাই' থিওরি বিশ্বাস ও প্রচার করেন তারা ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশের মুসলমান সম্প্রদায় থেকে আগত তথাকথিত সংস্কারকদের নিয়ে চরম বিভ্রান্তিতে ভুগেন। উদাহরণস্বরূপ, স্যার সৈয়দ আহমদের গোটা মুসলমান সমাজ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা ছিল না। তিনি শুধু উচ্চবংশীয় অভিজাত মুসলমানদের (আশরাফদের) ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন এবং তাদের হিন্দু মধ্যবিত্তের সমকক্ষ করতে চেয়েছিলেন। কৃষক-মজুর গরিব মুসলমানদের জন্য 'স্যার' এর কোনো বালাই ছিল না। তিনি নিজেই বলতেন-
"মুসলমানদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রচলন করে আমি এটা চাই না যে আতরাফ শ্রেণীর মুসলমানরা আশরাফদের সমকক্ষ হোক।"
নেহরুর 'দ্য ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া' বইয়ে এ প্রসঙ্গে লেখা আছে-
"Sir Syed Ahmed Khan's influence was confined to certain sections of the upper classes among Moslems; he did not touch the urban or rural masses. These masses were completely cut off from their upper classes."
...................................................................................
![]() |
দুই ধর্মের আহাম্মকেরা দেশ ভাগের সময় নিজেরা নিজেরা মারামারি করলেও ফায়দা মূলত কাদের হতো বা এখনো হচ্ছে সেটা এই পরিসংখ্যান চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। |
......................................................................................
স্যার জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ার্সন বাংলাদেশে প্রচলিত ভাওয়াইয়া গানগুলো সংগ্রহ করেছিলেন সর্বপ্রথম। জামায়াতের মতো উগ্র ইসলাম চর্চাকারী দলগুলোর প্রোপাগান্ডার প্রভাবে বাংলাদেশে লোকগীতি চর্চা এখন হুমকির মুখে। বাংলাদেশের কিছু লোকসংগীতের নাম-
ভাটিয়ালি, বাউল গান, ভাওয়াইয়া, চটকা, জারি, সারি, মুর্শিদি গান, মাইজভাণ্ডারি, কবি গান, পালা গান, পুঁথি গান, গম্ভীরা, আলকাপ, গাজীর গান, পথকবিতা গান, পালকির গান, ঘাটু গান, সাম্পানের গান, পট গান, সুফী গান, কীর্তন, বিয়ের গান, মেয়েলি গান, ধুইয়া গান, লেটো গান, মাদার বক্সের গান, ধূপ, বল, দেওয়ানা মদিনা, পাঁচালি গান, মর্সিয়া, টপ্পা ইত্যাদি।
۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔
১৯৬০ এর দশকের শেষের দিকে বগুড়ার জয়পুরহাট এলাকায় পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে যে কৃষক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল ছমির মণ্ডল ছিলেন তার স্থপতি। কমরেড রাবেয়া আখতার বেলী ছিলেন ছমির মণ্ডলের অন্যতম সহকর্মী। তিনি ছাত্র ইউনিয়ন (মাহবুবুল্লাহ) বগুড়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন; একই সাথে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া শাখার নেতৃস্থানীয় সংগঠক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী বাঙ্গালী নিধন করা শুরু করলে ছমির মণ্ডলের নেতৃত্বে দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের যে প্রশিক্ষণ শিবির খোলা হয়েছিল বেলী তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পাকবাহিনী জয়পুরহাটে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলে ভারতে যাওয়ার পথে বেলী ছমির মণ্ডলসহ তাদের হাতে গ্রেফতার হন। পাক সেনারা ছমির মণ্ডল, কাজল মাঝি, আব্দুল মেম্বরকে হত্যা করে এবং বেলী ও অন্যান্যদের ছেড়ে দেয়। এলাকায় ফিরে এসে ছমির মণ্ডলের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বেলী পুনরায় প্রতিরোধ যুদ্ধ সংগঠিত করার প্রস্তুতিকালে মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা তাকে আটক করে পাকবাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। পাক সেনারা বেলীর সহযোদ্ধা আজম, কুদ্দুস, সাত্তার, ফজলু, মোফাজ্জেল এযারতকে হত্যা করে এবং তাকে একটি বাড়ীতে আটক করে রাখে। আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয় কিছু লোকের তদবীরে বেলী পুনরায় ছাড়া পান। পরে বেলী ভারতে চলে যান। কমিউনিস্ট হওয়ার অপরাধে সেখানেও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদী ও আওয়ামীপন্থীরা তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে, এজন্য ভারতে পালিয়ে থাকতে হয় তাকে। ১৯৭২ সালের ২৪শে জানুয়ারি বেলী দেশে ফিরে আসেন। ইতিমধ্যে মুসলিম লীগ-জামায়াতের একাংশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ-জামায়াত যৌথভাবে বেলীকে খোঁজ করতে থাকে। আক্কেলপুরে নিরাপত্তার সমস্যা হতে পারে ভেবে বেলী জাফরপুরে ফুফুর বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে আওয়ামী লীগ এর কর্মীরা বেলীকে হত্যা করে লাশ পলাশপুরে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয় জনগণ এখানেই তার লাশ কবর দেন।
....................................................
দেইল্লা রাজাকারের মৃত্যুর পর তাকে মহিমান্বিত করতে সমর্থকরা নিচের গুজবগুলো ছড়িয়েছে-
Comments