অভিজিৎ এর ভক্তদের প্রতি (পর্ব-তিন)
ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন-
"যেখানে বিভিন্ন ধর্মের লোক বাস করে, সেখানে এরকম দাঙ্গা হয়েই থাকে।"
[ভয়েস অব আমেরিকা, ২২-৫-১৯৮৪]
তার সময়ে সংগঠিত হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন ভারতের গণতান্ত্রিক সংবিধান অনুযায়ী নাকি সাম্প্রদায়িক দলগুলোকে বেআইনি ঘোষণা করা যায়না! ইন্দিরার দলীয় কর্মীরা মোরারজি দেসাই প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন আসামের বাঙালিদের উস্কে দিয়েছিল দাঙ্গার সময়, আবার ক্ষমতায় এসে এরা উল্টো আচরণ করেছে ঐ অঞ্চলের বাঙালিদের সাথে।
অভিজিৎ রায় তার এক বইয়ে উগ্র হিন্দুদের দ্বারা শিখ নিধনকে ধর্মের কারণে মানুষ হত্যার তালিকায় ঢুকিয়ে গেছেন! অথচ শিখদের সরকারের সাথে বিরোধ ধর্মীয় কারণে ছিল না। তাদের দাবিগুলোর একটি খসড়া ইন্দিরা গান্ধীর কাছে পেশ করা হয়েছিল।
দাবিগুলো ছিল-
১) রাভি ও বিয়াস নদীর পানি পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানের মধ্যে ন্যায়ভাবে বন্টনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে যার সিদ্ধান্ত সবাই মেনে নিতে বাধ্য থাকবে।
২) একটি এলাকা নির্ধারণ কমিশন গঠন করে হরিয়ানার পাঞ্জাবীভাষীদের এলাকা পাঞ্জাবের সাথে এবং পাঞ্জাবের হিন্দিভাষীদের এলাকা হরিয়ানার সাথে যুক্ত করতে হবে।
৩) আনন্দপুর সাহেবের কমিশনের প্রস্তাব বিবেচনা।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Anandpur_Sahib_Resolution
৪) চন্ডীগড়কে পাঞ্জাবের রাজধানী করা এবং পাঞ্জাব থেকে জায়গা নিয়ে হরিয়ানার জন্য একটি রাজধানী নির্মাণ ইত্যাদি।
দাবিগুলো আদায়ের অগ্রগতি জানতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরসিমা রাও এর কাছে চিঠি লেখা হয়, ২৫ মে শিখ নেতারা আরও একটি স্বারকপত্র লিখেন এই ব্যাপারে। অথচ কোনো জবাব না দিয়ে ৩রা জুন স্বর্ণমন্দিরে আক্রমণ করা হলো হিন্দুদের ভোট বাড়াতে নির্বাচনের আগে। সেনাবাহিনী কর্তৃক আক্রমণের সময় হরচাঁদ সিং লংওয়াল ফোনে ইন্দিরার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও আগে থেকে তার টেলিফোনের লাইন কেটে রাখা হয়েছিল। অথচ বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ইন্দিরার কংগ্রেস শিখদের মদদ দিয়েছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Harchand_Singh_Longowal
মহান বলশেভিক বিপ্লব ও স্তালিনের শুদ্ধি অভিযানকে 'ইহুদি গণহত্যা' হিসেবে দেখিয়ে গেছেন পশ্চিমাদের নুন খাওয়া এই মুক্তমনা!
স্তালিন ইহুদি বসতি স্থাপনের জন্য সাইবেরিয়ায় 'জিউশ অটোনমাস অবলাস্ট' নামে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বরাদ্দ দিয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালের ১৭ মে ইজরায়েলকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। ইহুদিরা যখন সন্ত্রাসী আর ক্রিমিনালদের সারা পৃথিবী থেকে জোগাড় করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন বানিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে আরম্ভ করে, তখন স্তালিন ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আরবদের ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছিলেন। লিয়ন ট্রটস্কি, গ্রিগরি জিনোভিয়েভ, লেভ কামেনেভসহ পার্টির আরো অনেকে ইহুদি বংশোদ্ভূত ছিল যাদের গ্রেট পার্যের সময় বিচার হয়। ১৯৩৯ সালের ৩ মে স্তালিন তিনি ইহুদি বংশোদ্ভূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম লিটভিনভকে পদচ্যুত করেন। এদের কি কি কর্মকান্ডের কারণে বিচার হয়েছে সেটা না বলে স্তালিনকে 'ইহুদি বিদ্বেষী' বানিয়ে দেয়ার চেষ্টা হাস্যকর। নাৎসিরা যখন সোভিয়েত ভূখণ্ড আক্রমণ করে তখন সোভিয়েত ইউনিয়নের ইহুদি বুদ্ধিজীবীরা 'জিউশ এন্টি-ফেসিস্ট কমিটি' (JAC) গঠন করে। সংগঠনটির জায়নিজমকে ব্যাপক সমর্থন, ইজরায়েলের প্রতি আকর্ষণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকার ফলে স্তালিন এই সংগঠনের সাথে জড়িতদের উপর নজরদারি শুরু করেন।
"যেখানে বিভিন্ন ধর্মের লোক বাস করে, সেখানে এরকম দাঙ্গা হয়েই থাকে।"
[ভয়েস অব আমেরিকা, ২২-৫-১৯৮৪]
তার সময়ে সংগঠিত হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন ভারতের গণতান্ত্রিক সংবিধান অনুযায়ী নাকি সাম্প্রদায়িক দলগুলোকে বেআইনি ঘোষণা করা যায়না! ইন্দিরার দলীয় কর্মীরা মোরারজি দেসাই প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন আসামের বাঙালিদের উস্কে দিয়েছিল দাঙ্গার সময়, আবার ক্ষমতায় এসে এরা উল্টো আচরণ করেছে ঐ অঞ্চলের বাঙালিদের সাথে।
অভিজিৎ রায় তার এক বইয়ে উগ্র হিন্দুদের দ্বারা শিখ নিধনকে ধর্মের কারণে মানুষ হত্যার তালিকায় ঢুকিয়ে গেছেন! অথচ শিখদের সরকারের সাথে বিরোধ ধর্মীয় কারণে ছিল না। তাদের দাবিগুলোর একটি খসড়া ইন্দিরা গান্ধীর কাছে পেশ করা হয়েছিল।
দাবিগুলো ছিল-
১) রাভি ও বিয়াস নদীর পানি পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানের মধ্যে ন্যায়ভাবে বন্টনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে যার সিদ্ধান্ত সবাই মেনে নিতে বাধ্য থাকবে।
২) একটি এলাকা নির্ধারণ কমিশন গঠন করে হরিয়ানার পাঞ্জাবীভাষীদের এলাকা পাঞ্জাবের সাথে এবং পাঞ্জাবের হিন্দিভাষীদের এলাকা হরিয়ানার সাথে যুক্ত করতে হবে।
৩) আনন্দপুর সাহেবের কমিশনের প্রস্তাব বিবেচনা।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Anandpur_Sahib_Resolution
৪) চন্ডীগড়কে পাঞ্জাবের রাজধানী করা এবং পাঞ্জাব থেকে জায়গা নিয়ে হরিয়ানার জন্য একটি রাজধানী নির্মাণ ইত্যাদি।
দাবিগুলো আদায়ের অগ্রগতি জানতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরসিমা রাও এর কাছে চিঠি লেখা হয়, ২৫ মে শিখ নেতারা আরও একটি স্বারকপত্র লিখেন এই ব্যাপারে। অথচ কোনো জবাব না দিয়ে ৩রা জুন স্বর্ণমন্দিরে আক্রমণ করা হলো হিন্দুদের ভোট বাড়াতে নির্বাচনের আগে। সেনাবাহিনী কর্তৃক আক্রমণের সময় হরচাঁদ সিং লংওয়াল ফোনে ইন্দিরার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও আগে থেকে তার টেলিফোনের লাইন কেটে রাখা হয়েছিল। অথচ বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ইন্দিরার কংগ্রেস শিখদের মদদ দিয়েছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Harchand_Singh_Longowal
মহান বলশেভিক বিপ্লব ও স্তালিনের শুদ্ধি অভিযানকে 'ইহুদি গণহত্যা' হিসেবে দেখিয়ে গেছেন পশ্চিমাদের নুন খাওয়া এই মুক্তমনা!
স্তালিন ইহুদি বসতি স্থাপনের জন্য সাইবেরিয়ায় 'জিউশ অটোনমাস অবলাস্ট' নামে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বরাদ্দ দিয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালের ১৭ মে ইজরায়েলকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। ইহুদিরা যখন সন্ত্রাসী আর ক্রিমিনালদের সারা পৃথিবী থেকে জোগাড় করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন বানিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে আরম্ভ করে, তখন স্তালিন ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আরবদের ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছিলেন। লিয়ন ট্রটস্কি, গ্রিগরি জিনোভিয়েভ, লেভ কামেনেভসহ পার্টির আরো অনেকে ইহুদি বংশোদ্ভূত ছিল যাদের গ্রেট পার্যের সময় বিচার হয়। ১৯৩৯ সালের ৩ মে স্তালিন তিনি ইহুদি বংশোদ্ভূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম লিটভিনভকে পদচ্যুত করেন। এদের কি কি কর্মকান্ডের কারণে বিচার হয়েছে সেটা না বলে স্তালিনকে 'ইহুদি বিদ্বেষী' বানিয়ে দেয়ার চেষ্টা হাস্যকর। নাৎসিরা যখন সোভিয়েত ভূখণ্ড আক্রমণ করে তখন সোভিয়েত ইউনিয়নের ইহুদি বুদ্ধিজীবীরা 'জিউশ এন্টি-ফেসিস্ট কমিটি' (JAC) গঠন করে। সংগঠনটির জায়নিজমকে ব্যাপক সমর্থন, ইজরায়েলের প্রতি আকর্ষণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকার ফলে স্তালিন এই সংগঠনের সাথে জড়িতদের উপর নজরদারি শুরু করেন।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Jewish_Anti-Fascist_Committee
স্তালিনের যেসব কর্মকাণ্ডকে 'ইহুদি বিদ্বেষ' হিসেবে প্রচার করা হয় সেখানেও তার সহযোগীদের অনেকে ইহুদি পরিবার থেকে আগত ছিল। ১৯৫৩ সালে 'ডেইলি মেইল' পত্রিকায় লেখা হয় স্তালিন নাকি সোভিয়েত ইউনিয়নে কমপক্ষে দুই কোটি ইহুদি হত্যা করতে চেয়েছিলেন! শেষ পর্যন্ত নাকি ৬০ লক্ষ ইহুদি হত্যা করেছিলেন! সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি জনসংখ্যা ছিল ৫৬ লাখের কাছাকাছি। ১৯৪১ সালে জার্মানি কর্তৃক সোভিয়েত আক্রমণের সময় প্রায় ২৫ লক্ষ ইহুদি নিহত হয়, আরও ২০ লক্ষ নিহত হয় ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত। তারপরও ১৯৫৯-১৯৮৯ পর্যন্ত সোভিয়েতে ইহুদি জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৯ লক্ষ।
জেলেনস্কি ইহুদি, আবার মার্ক্সও ইহুদি পরিবার থেকে আগত। অপরদিকে আনা ফ্রাঙ্ক ইহুদি ছিলেন, আবার নেতানিয়াহু ইহুদি। প্রাসঙ্গিকভাবেই এক্ষেত্রে ধর্মীয় পরিচয় এসেছে। ইজরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে চালানো প্রতিটা আগ্রাসনের সময় মূল ইজরায়েল ছাড়াও সারা বিশ্ব থেকে অসংখ্য আগ্রাসনবিরোধী ইহুদী প্রতিবাদ দেখায়। এক্ষেত্রে ভারতের আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির বিরোধিতা করার সময় মুক্তমনা নামক ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চারা বাম দলগুলোকে 'ভারতবিরোধী' হিসেবে প্রচার করে, সাধারণ মানুষকে মোল্লা হিসেবে দেখায় (যেহেতু অধিকাংশ অধিবাসী মুসলিম)! ফেলানী হত্যার জন্য কিন্তু বাংলাদেশ নয়, পশ্চিমবঙ্গের এক সংস্থা সবার আগে বিএসএফ এর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতা ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদা তুলে বাংলাদেশিদের খাইয়েছে (তাদের সরকারের উদ্দেশ্য অন্যকিছু থাকলেও)। মুম্বাই বন্দরের শ্রমিকরা নিজেদের বেতনের টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে, সাধারণ মানুষের সাহায্যের পরিমাণ অনেক বেশি। মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। ছবির লোকটির নাম ইয়র কলোময়স্কি। জেলেনস্কির সিরিজটি প্রচারিত হতো কলোময়স্কির মালিকানাধীন একটি টিভি চ্যানেলেই এবং ঐ চ্যানেল ও প্রোডাকশনের লোকজনই প্রথম জেলেনস্কির পক্ষে রাজনৈতিক দল গঠন করেছিল। কলোময়স্কি অনেক আগে থেকেই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পরোশেঙ্কোর প্রতিদ্বন্দ্বী। কলোময়স্কি জেলেনস্কির খ্যাতিকে কাজে লাগিয়েই পরোশেঙ্কোকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে এবং জেলেনস্কির সরকারে পেছন থেকে কলকাঠিও তিনিই নাড়ছেন। ইউক্রেনের সরকার কর্তৃক দৈত্ব নাগরিকত্ব নিষিদ্ধ হলেও এই লোক সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইউক্রেন, সাইপ্রাস আর ইজরায়েলের নাগরিক বর্তমানে! এই লোক 'সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান মিডিয়া এন্টারপ্রাইজেস' এর বোর্ড অব ডিরেক্টরস এর একজন সদস্য এবং এখানে তার শেয়ারও আছে!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Central_European_Media_Enterprises
তার নিয়ন্ত্রণাধীন 'ওয়ান প্লাস ওয়ান মিডিয়া গ্রূপ' ইউক্রেনের আটটি টিভি চ্যানেল পরিচালনা করে!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/1%2B1_Media_Group
ইউক্রেনের সবচেয়ে বড়ো প্রাইভেট ব্যাংক 'প্রিভাত' ব্যাংক এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এই লোক।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/PrivatBank
এগুলো ছাড়াও তার লোহা, তেল, এয়ারলাইন্স ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক দেশে ব্যবসা আছে। কলোময়স্কি তার ব্যবসাগুলো সুইজারল্যান্ড থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। তার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে হুমকির মাধ্যমে ব্যবসা বৃদ্ধির দুর্নাম আছে এবং আলেকজান্ডার ঝুকোভ এর 'জেকেএক্স অয়েল এন্ড গ্যাস' এর ভাগ্যেও এমনটাই হয়েছে বলেও প্রমাণ আছে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/JKX_Oil_%26_Gas
সেসময় এই কোম্পানির সাথে যুক্ত ছিলেন দমিত্র ফিরতাশ, যিনি কিনা পশ্চিমাপন্থী ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদদের চক্ষুশূল!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Dmytro_Firtash
রাশিয়া কর্তৃক ক্রিমিয়া দখলের পর কলোময়স্কির ঐ অঞ্চলের সম্পদগুলো জাতীয়করণ করা হয়। পূর্ব ইউক্রেনে হাজার হাজার রুশ হত্যার জন্য যেসব অপারেশন চালায় ইউক্রেন সরকার, সেগুলোর বিশাল অংশ ফান্ডিং করতো এই লোক। কলোময়স্কি কট্টর পশ্চিমাপন্থী জুলিয়া তিমোশেঙ্কোর পিছনের অন্যতম বড়ো ফান্ড যোগানদাতা। তাছাড়া ইউডিএআর এর সবচেয়ে বড়ো ফান্ডদাতা হিসেবেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Ukrainian_Democratic_Alliance_for_Reform
এই লোক পূর্ব ইউক্রেনের প্রত্যেক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ধরে আনতে দশ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে এবং তাদের খুন করার অস্ত্র জোগাড়ে অর্থ সহায়তা করে। সে দশ মিলিয়ন ডলার খরচ করে দনিপ্রো ব্যাটালিয়ন বানানোর পিছে!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Dnipro-1_Regiment
তাছাড়া আইদার, আযভ, দোনবাস ভলান্টিয়ার ব্যাটালিয়ন ইত্যাদি উগ্রপন্থী দলগুলো তৈরির পেছনেও সে বিপুল পরিমাণে অর্থ প্রদান করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Aidar_Battalion
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Azov_Battalion
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Territorial_defence_battalions_(Ukraine)
এই ক্রিমিনালের ব্যক্তিগত মিলিশিয়া বাহিনী আছে যারা তার নানা কুকর্ম বাস্তবায়ন করে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ওলেগ সারইয়ভ এর জন্য এই বদমাইশ পাঁচ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Oleg_Tsaryov
এফসি দনিপ্রো এর মতো ফুটবল ক্লাব এর মালিক এই লোক।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/FC_Dnipro
এছাড়া বাস্কেটবল ক্লাব বিসি দনিপ্রো, হকি ক্লাব এইচসি বুদিভেলনুক এর মালিক এই লোক।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/BC_Dnipro
https://en.m.wikipedia.org/wiki/HC_Budivelnyk
দনিপ্রোপেত্রোভস্ক ওবলাস্ট এর গভর্নর এর দায়িত্ব শেষে তার মার্কিনি ভিসা জুটে যায় এবং সে তার অনেকটা সময় মার্কিন মুল্লুকে কাটায়। তাছাড়া এই লোক উগ্র ডানপন্থী ইউকেআরওপি পার্টির নেতা।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/UKROP
.....................................................................
নেরুদার স্মৃতিকথা থেকে স্তালিন সম্পর্কে কিছু জানা যাক। তিনি 'স্তালিন পুরস্কার' কমিটির অন্যতম সভ্য হিসেবে দৃঢ়তার সাথে বলেছেন যে স্তালিন কোনোদিন এই পুরস্কার সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যাপারে প্রভাব বিস্তারের বিন্দু মাত্র চেষ্টা করেননি। স্তালিনের ব্যাপারে বিরুদ্ধ মত নির্মমভাবে দমনের কাল্পনিক মিথ পশ্চিমারা ছড়িয়ে দিলেও কয়েকটা ঘটনা থেকেই মানুষটা কেমন ছিলেন জানা যায়। সোভিয়েত সাহিত্যিক ইলিয়া এরেনবুর্গ স্তালিনের অন্যতম কঠোর সমালোচক ছিলেন। অথচ স্তালিন নিজে এই সাহিত্যিককে ফোন করে জানিয়েছিলেন তিনি লেখকের 'পারির পতন' উপন্যাসটি পড়েছেন এবং এই ধরণের উপন্যাস আরও লিখতে লেখককে অনুরোধ জানান। মায়াকোভস্কিকে গোঁড়া সোভিয়েত সমালোচকেরা পছন্দ করতেন না সোভিয়েত ব্যবস্থার নানা ব্যাপারে তার বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। এই সাহিত্যিকের প্রণয়ী লিলি ব্রিক স্তালিনকে লেখা এক চিঠিতে অনুরোধ করেছিলেন মায়াকোভস্কির অমর সৃষ্টিগুলো রক্ষা করতে। চিঠির উত্তরে স্তালিন লিখেছিলেন-
"সোভিয়েত সাহিত্যে মায়াকোভস্কি সর্বোত্তম কবি।"
স্তালিনের নির্দেশে মায়াকোভস্কির বহু স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী হয় এবং তার সৃষ্টিগুলোর বহু সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবিপ্লবীদের সাথে মাখামাখি এবং সরকারের নীতির প্রকাশ্য বিরোধিতার পরও দিমিত্রি শোস্তাকোভিচ এর মতো সংগীত প্রতিভার বিরুদ্ধে স্তালিন ব্যবস্থা নেননি সোভিয়েত ইউনিয়নের শিল্প-সাহিত্যের স্বার্থে। বিখ্যাত চিত্র পরিচালক সের্গেই আইজেনস্টাইন সমকামী হয়েও স্তালিনের আমলে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছেন। প্রতিবিপ্লবীদের সমর্থনের পরও সোভিয়েত ইউনিয়নের বিখ্যাত কবি বরিস পাস্তেরনাক ছাড়া পান স্তালিনের আদেশে।
Comments