কাশ্মীর
শিখ শাসক রণজিৎ সিং কাশ্মীরের ক্ষমতায় এসে গরু জবাই নিষিদ্ধ করেছিলেন, শ্রীনগরের প্রধান মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং অন্যান্য মসজিদগুলোকে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে পরিণত করেছিলেন। এই পদক্ষেপগুলোকে উগ্র মুসলিমদের দমনে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে চাড্ডি এবং কথিত কিছু মুক্তমনাদের দ্বারা প্রদর্শন করা হলেও তারা ভুলেও তার কর সংক্রান্ত নীতির ব্যাপারে কোনো শব্দ উচ্চারণ করে না। মুঘলরা গরিবদের থেকে কর নিতো না। অন্যদিকে রণজিৎ গরিবদের উপর বিশাল পরিমাণে কর চাপিয়ে দেন। ১৮৪৬ সালের প্রথম অ্যাংলো-শিখ যুদ্ধে জয়ের পর ব্রিটিশরা ৭৫ লাখ রুপির বিনিময়ে কাশ্মীরকে ডোগরা'র শাসকের কাছে বিক্রি করে দেয়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Treaty_of_Amritsar_(1846)#:~:text=The%20Treaty%20of%20Amritsar%20marked,16%20March%201846)%20were%20signed.
ডোগরা'র শাসক ক্ষমতা পেয়ে পূর্বের চেয়ে আরো বেশি পরিমাণে কর কাশ্মীরিদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল সেসময়। কৃষকদের নামিয়ে আনা হয়েছিল ক্রীতদাসের পর্যায়ে। কাশ্মীরি শ্রমিকরা ১৯২৪ সালের বসন্তে ধর্মঘটের সূচনা করে। রাষ্ট্রায়ত্ত সিল্ক ফ্যাক্টরির ৫ হাজার শ্রমিক দাবি জানায় বেতন বৃদ্ধির এবং প্রটেকশন র্যাকেট চালায় এমন এক কর্মকর্তার অপসারণের। ম্যানেজমেন্ট দাবি পূরণে কিছুটা রাজি হলেও আন্দোলনের নেতাদের একে একে গ্রেফতার করে। শ্রমিকরা আবারো ধর্মঘটের ডাক দিলে আফিমখোর রাজা প্রতাপ সিং তার গুন্ডা বাহিনী পাঠায়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Pratap_Singh_of_Jammu_and_Kashmir
আন্দোলনকারীদের প্রচন্ড মারধর করা হয়, নেতাদের বরখাস্ত করা হয়, আন্দোলনের মূল সংগঠককে কারাগারে নির্মম অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়। ঘটনার কয়েক মাস পর শ্রীনগরের বিশিষ্ট কয়েকজন ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড রিডিং এর কাছে পাঠানো স্মারকলিপিতে জানান-
"সেনাবাহিনী পাঠিয়ে সবচেয়ে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে গরিব, অসহায়, নিরস্ত্র, শান্তিপ্রিয় শ্রমিকদের সাথে। তাদের আক্রমণ করা হয়েছে বর্শা, বল্লম ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে। কাশ্মীরের মুসলমানরা আজ চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে তারা চরমভাবে অবহেলিত। জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষার হার মাত্র ০۔৮ শতাংশ। এতদিন ধরে আমাদের দুর্দশা ও দাবির প্রতি রাষ্ট্রের উদাসীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতা আমরা ধৈর্যের সাথে সহ্য করে যাচ্ছি। কিন্তু ধৈর্যের সীমা আছে।"
ভাইসরয় স্মারকলিপিটি পাঠিয়ে দেন রাজার কাছে। তিনি 'রাষ্ট্রদোহীদের' মেরে ফেলতে চাইলেও ব্রিটিশরা এই সিদ্ধান্ত আটকে দেয়। আবেদনটির সংগঠক সাদ উদ্দিনকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। এর কয়েক বছর পর রাজার মৃত্যু হলে ক্ষমতায় আসে তার ভাতিজা হরি সিং।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hari_Singh#:~:text=Hari%20Singh%20was%20the%20son,remain%20as%20an%20independent%20kingdom.
এতে পরিস্থিতির একচুলও পরিবর্তন হয়নি। ব্রিটিশদের দ্বারা মনোনীত মুখ্যমন্ত্রী আলবিয়ন ব্যানার্জি পদত্যাগ করে বলেছিলেন-
"বিশাল মুসলিম জনসংখ্যা একেবারেই অশিক্ষিত। দারিদ্রের যাঁতাকলে খেটে চলেছে। অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ গ্রামগুলোতে। এদেরকে শাসন করা হচ্ছে বোবা রাখালের হাতে থাকা গবাদি পশুর মতো।"
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Albion_Rajkumar_Banerjee
ব্রিটিশরা ও হরি সিং মিলে ১৯৩১ সালে জম্মু'র মসজিদগুলোতে জুমার খুৎবা নিষিদ্ধ করে। তাদের দাবি অনুযায়ী, মুসা ও ফেরাউনের উল্লেখ করে পরোক্ষভাবে 'রাষ্ট্রদ্রোহিতা' প্রদর্শন করা হচ্ছিল। এর প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয় এবং ১১ জন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করা হয় ঔপনিবেশিকদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। এই ১১ জনের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শেখ আবদুল্লাহ এবং আবদুল ক্বাদির। ক্বাদির প্রতিবাদ সমাবেশে ডোগরা শাসকদের উল্লেখ করেন 'রক্তচোষাদের রাজবংশ' হিসেবে যারা "শুষে নিচ্ছে আমাদের জনগণের সমস্ত শক্তি আর সম্পদ"। এই বক্তব্যের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হলে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ তার বিচারিক কার্যক্রমে উপস্থিত থাকার দাবি করে কারাগারের বাইরে জড়ো হয়। পুলিশ গুলি চালিয়ে ২১ জনকে হত্যা করেছিল তখন। ঐসময় রাজা হরি সিং এর চার নাম্বার বৌ তারা দেবীর বাচ্চা হয় ফ্রেঞ্চ রিভেরা'তে। আগের তিন বৌ এর বাচ্চা হয়নি দেখে লোকেরা হরি সিং এর পুরুষত্ব নিয়ে ব্যঙ্গ করতো। এজন্য তিনি গণ বেত্রাঘাতের আদেশ দিয়েছিলেন। এই পুত্র সন্তানের নাম রাখা হয় কারান সিং। তার জন্ম উপলক্ষে হরি সিং ৫ দিনের জন্য আমজনতাকে চুষে সৃষ্টি করা সম্পদ দিয়ে বিলাসিতার বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন। সারা উপমহাদেশে শুরু হওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামে ভীত ব্রিটিশরা হরি সিং'কে নির্দেশ দেয় কারাবন্দি জাতীয়তাবাদী নেতাদের মুক্তি দিতে। এর অনেক বছর পর কারান সিং তার বাবা সম্পর্কে লিখেন-
"তিনি ছিলেন খুব দুর্বলচিত্তের একজন মানুষ। যেকোনো ধরনের খেলায় একটুখানি বিপত্তি; হোক সেটা শুটিং অথবা মাছ ধরা, নয়তো পোলো খেলা কিংবা দৌড় প্রতিযোগিতা; তাকে একেবারে মুষড়ে ফেলতো। তা-ও একেবারে কয়েকদিনের জন্য। এবং অবধারিতভাবেই এটা ধাবিত করে মোকদ্দমার দিকে, যেটা ছিল একটা লম্বা তদন্ত। যার বিষয়বস্তু ছিল কর্মচারী বা চাকরদের মধ্যে হতভাগা কারো অদক্ষতা বা দুর্ব্যবহার। এখানে কর্তৃত্ব ছিল উদারতাবিহীন, ক্ষমতা ছিল সহানুভূতিহীন।"
জেল থেকে মুক্তি পেয়ে সব ধর্মের লোকেদের নিয়ে শেখ আবদুল্লাহ ও তার সহযোগীরা ১৯৩২ সালে গঠন করেন 'দি অল জম্মু এন্ড কাশ্মীর মুসলিম কনফারেন্স'। যেই উঁচু বর্ণের কাশ্মীরি হিন্দু পন্ডিতদের নিয়ে এতো আলোচনা তারা নিম্ন বর্ণের কাশ্মীরি হিন্দু, মুসলিম এবং শিখদের নিচু চোখে দেখতো।
অন্যদিকে ঔপনিবেশিক প্রভুদের তারা পা চাটতো। ব্রিটিশরা এই উচ্চ বর্ণের পন্ডিতদের দিয়ে প্রশাসন চালালেও নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা ছিল সবদিক দিয়ে বঞ্চিত। শেখ আবদুল্লাহ'র সেক্যুলার দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মিরওয়াইজ ইউসুফ শাহ কিছু উগ্র মুসলিমদের সাথে নিয়ে আলাদা হয়ে যায়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Mirwaiz_Yusuf_Shah
...............................................................................
সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইজরায়েলের সামরিক অফিসাররা কংগ্রেস সরকারের আমন্ত্রণে ভারতের আখনুর মিলিটারি বেইস এ এসেছিল সন্ত্রাসবাদ বিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Avi_Mizrahi#:~:text=3%20Notes-,Military%20career,way%20up%20to%20brigade%20commander.
কেবল ২০০২ থেকে পরবর্তী ছয় বছর কংগ্রেস সরকার ইজরায়েল থেকে কিনেছিল ৫ বিলিয়ন মূল্যের অস্ত্রসামগ্রী।
"১৯৮৪ সালে যখন ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেসময় আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের সুযোগ নেননি (যখন কাশ্মীরিরা ভয়ের সাথে প্রত্যক্ষ করে তাদেরই ধর্মের ভাইদের সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কি রকম আচরণ করেছে) এবং তখন একটি গণভোটের আয়োজন করেননি। তিনি চুপ করে ছিলেন।"
- তারিক আলী
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Tariq_Ali
International People's Tribunal on Human Rights and Justice in Kashmir এর তথ্য অনুসারে, ১৯৮৯-২০০৯ সালের মধ্যে ৭০,০০০ কাশ্মীরিকে মেরে ফেলা হয়েছে!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/International_People%27s_Tribunal_on_Human_Rights_and_Justice_in_Kashmir#:~:text=Article-,International%20People's%20Tribunal%20on%20Human%20Rights%20and%20Justice%20in%20Kashmir,in%20Kashmir%20and%20rest%20of
অনুসন্ধানী বিভিন্ন সাংবাদিকদের লেখায় উঠে এসেছে কংগ্রেস এর গৃহপালিত চামচা ফারুক আবদুল্লাহ ও তার পুত্রের সীমাহীন দুর্নীতির কথা। তাছাড়া বিরোধী দলের নেতারাও সেখানে ডাবল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে পাকিস্তান ও ভারত উভয় দেশ থেকেই অর্থ নেয়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Mirwaiz_Umar_Farooq
উল্লেখ্য, আন্দোলনের সাথে জড়িত নিহত বা জীবিত কারো পরিবারের সদস্য এমনকি স্কলারশিপ থাকার পরও ভারতের বাইরে পড়াশোনার অনুমতি পায় না সেই কংগ্রেস আমল থেকেই।
২০১১ সালের মার্চ মাসের অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর রিপোর্ট অনুযায়ী এর আগের ২০ বছরে কংগ্রেস সরকারের শাসনামলে বিশ হাজার কাশ্মীরিকে কেবল সন্দেহের বশে 'পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট' এর অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Jammu_and_Kashmir_Public_Safety_Act,_1978
অঙ্গনা পি۔ চট্টোপাধ্যায় কাশ্মীরের শত শত ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে ও সশরীরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ভয়াবহ এক চিত্র তুলে এনেছেন। ভারতীয় সৈন্যরা নারীদের পাশাপাশি অসংখ্য পুরুষ বন্দি, তৃতীয় লিঙ্গ আর ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের ধর্ষণ করেছে অঞ্চলটিতে।
নিজেকে প্রকাশ্যে সোশ্যাল ডেমোক্রেট দাবি করা এবং তৃণমূলকে চাড্ডিদের দল বিজেপি'র বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা অমর্ত্য সেন তার সুবিধাবাদী আচরণ কাশ্মীর সংক্রান্ত ইস্যুতে দেখিয়েছেন। তার 'আর্গুমেন্টেটিভ ইন্ডিয়ান' বইয়ে কাশ্মিরীদের উদ্দেশ্য করে একটি ফুটনোটে লিখেছেন-
“এই কাঁটাযুক্ত প্রশ্নটা আমি এখানে নিচ্ছি না!”
তার 'আইডেন্টিটি এন্ড ভায়োলেন্স' বইটিতেও তিনি কাশ্মীর সংক্রান্ত মতামত ঐ ফুটনোটেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন যেন কেন্দ্র চটে না যায়।
............................................................................
"...ভারত-পাকিস্তান এমনভাবে কাজ করে যেন কাশ্মীর একটা 'সমস্যা'। আসলে তাদের উভয়ের জন্য কাশ্মীর হলো 'সমাধান'। এটা বলছি এ কারণে যে, দেশ দু'টি কাশ্মীর নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে রয়েছে। তারা ইস্যুটার সুরাহা চায় না। কারণ, এতে অসুবিধা হবে। যখনি পাকিস্তান ও ভারতে অভ্যন্তরীণ সংকট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তারা হ্যাটের ভেতর থেকে 'কাশ্মীর' নামের খরগোশটা বের করে আনে। তাই এই দু'টি রাষ্ট্র কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান করবে না।۔۔۔"
- মার্কিন সাংবাদিক এমি গুডম্যান'কে দেয়া অরুন্ধতী রায়ের সাক্ষাৎকার
"ভারতের কোন অংশে সংবিধান প্রচলিত আছে, মিস্টার ভার্গিস? দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর, কাঙ্কের, নারায়ণপুর, রাজনান্দগাঁও? ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায়? লালগড়ে, জঙ্গলমহলে? কাশ্মীর উপত্যকায়? মণিপুরে? আপনার সংবিধান কোথায় লুকিয়ে ছিল ২৫ বছর ধরে হাজার হাজার শিখকে গণহত্যা করার পরে? যখন হাজার হাজার মুসলমানকে মারা হয়? যখন লাখ লাখ কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়? যখন হাজার হাজার মানুষকে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সালওয়া জুদুম গ্যাং দ্বারা হত্যা করা হয়? যখন আদিবাসী নারীদের গণধর্ষণ করা হয়? যখন সাধারণ মানুষকে ইউনিফর্মধারী গুন্ডাদের দ্বারা অপহরণ করা হয়? আপনার সংবিধান এমন এক কাগজের টুকরো যেটির মূল্য ভারতের অধিকাংশ মানুষের কাছে টয়লেট পেপারের চেয়েও কম।"
- কমরেড আজাদ
সূত্র: Broken Republic
................................................................................
ব্রিটিশ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স এর কুখ্যাত কর্মকর্তা কর্নেল টি۔ ই۔ লরেন্স ১৯২৮ সালের দিকে লাহোরের নেডুস হোটেলে চেক ইন করেছিলেন। এর আগে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আফগান বাদশাহ আমানুল্লাহ'র সরকারকে অস্থিতিশীল করে আসেন। আফগানিস্তানে 'কারাম শাহ' নামক এক মুসাফির আলিমের ছদ্মবেশ নিয়ে তিনি গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দেন। নেডুস হোটেলেই শেখ আবদুল্লাহ'র ভবিষ্যৎ স্ত্রী আকবর জেহানের সাথে লরেন্সের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাবার চাপে জেহান আর লরেন্সের বিয়ে হয়। সম্পর্ক তৈরী ও বিয়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লরেন্স উপমহাদেশে অবস্থান করতে থাকেন। ১৯২৯ সালের জানুয়ারি মাসে বাদশাহ আমানুল্লাহ'কে ক্ষমতাচ্যুত করে ব্রিটিশদের পুতুল শাসককে গদিতে আনা হয়। ১২ জানুয়ারি কিপলিং এর পুরানো পত্রিকা [যা ছিল সাম্রাজ্যবাদীদের সিভিল ও মিলিটারি গ্যাজেট] একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে যেখানে লরেন্স এর প্রকৃত পরিচয় গোপন রাখতে চেষ্টার ত্রুটি হয়নি। কিন্তু কলকাতার 'লিবার্টি' পত্রিকা আফগানিস্তানের সীমান্তে অবস্থিত ওয়াজিরিস্তানে লরেন্স এর কার্যক্রমের বিশদ বিবরণ তুলে ধরে এবং অনেকগুলো প্রমাণ দিয়ে বলে যে, লরেন্স আর কারাম শাহ একই ব্যক্তি। ব্রিটিশরা লরেন্সকে ব্রিটেনে সরিয়ে নিয়ে যায় সত্য ফাঁস হয়ে গেলে। আর নেডুস তার মেয়ে জেহানকে তালাক দিতে লরেন্সকে বাধ্য করেন।

Comments