আব্রাহামিক ধর্মগুলোর বিবর্তন
আব্রাহামিক তিনটি ধর্মের অনুসারীরা ইব্রাহিমকে একেশ্বরবাদী ধর্মের প্রবক্তা হিসেবে গায়ের জোরে দাবি করলেও পৃথিবীর প্রথম একেশ্বরবাদী ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা জরাথ্রুস্ট। তৎকালীন সমাজে পূজিত বরুণ, মিত্র ও ইন্দ্রকে পূজা করতে অস্বীকার করে তার পরিবর্তে শুরু করেন আহুরা মাজদা নামক একক পুরুষ দেবতার পূজা।
জরাথ্রুস্টরা তাদের ধর্মের নানা বিষয় এডপ্ট করেছিল কুরগান জাতি থেকে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Kurgan_hypothesis
যিশুর জন্মের দুই হাজার বছর আগে তারা ইরান আক্রমণ করে। তাদের আবাসস্থল ছিল রাশিয়ার দক্ষিণে। খাদ্য ও উন্নত জীবন-জীবিকার খোঁজে বিপুল সংখ্যক কুরগান মধ্যপ্রাচ্যে বসতি গড়ে তোলে। তারা বহু দেবতায় বিশ্বাসী ছিল। তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ ছিল 'ভেদাস'। অন্যদিকে পশ্চিম ইউরোপে যেসব কুরগান বসতি স্থাপন করেছিল তারা পরবর্তীতে 'সেল্টিক' হিসেবে পরিচিত হয়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Celts
সেল্টিকদের ধর্মীয় বিশ্বাস কালক্রমে হয়ে যায় ড্রুইডিজম।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Druid
অন্যদিকে যেসব কুরগান মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েছিল তাদের বিশ্বাসে যুক্ত হয় মৃত ব্যক্তির আত্মার পাপ মোচন আর নরক দণ্ড ভোগের কনসেপ্ট। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তির আত্মাকে ঘোড়ায় চড়ে পার হতে হবে খুবই সরু একটি সাঁকো। তাদের মতে, দেবতা রাশু (Rashu) প্রত্যেক আত্মার এই সাঁকো পার হওয়া কিংবা পতন তদারকি করবে।
আধুনিক কোড ব্রেকারদের মতে, 'বাফোমেট' শব্দটি দ্বারা জ্ঞানের দেবী সোফিয়াকে বোঝায়। যদিও আব্রাহামিক তিন ধর্মের অনুসারীরা শব্দটি দ্বারা 'শয়তান'কে বুঝে থাকে। তারা বিশ্বের যেই প্রান্তেই গেছে, প্যাগান ধর্মগুলোর বিশেষ করে নারী দেবীদের শয়তান বানিয়ে প্রচার করেছে। একই কাজ করেছিল আর্যরা উপমহাদেশ আক্রমণের পর অনার্য জাতিদের উপাস্যদের ক্ষেত্রে।
ইতিহাসবিদ জি۔ মেসান্ডির এর মতে, খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দী থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫৩ সালের মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে ইহুদিরা জরাথ্রুস্ট এর প্রচারিত মতবাদ থেকে অনেক কিছু এডপ্ট করে।
জরাথ্রুস্টদের ধর্মগ্রন্থ জেন্দ আভেস্তা'য় 'হুরান এ বেহেস্ত' নামে একটা টার্ম আছে যাদের সাথে কথিত পুণ্যবানরা মাইয়াবাজি করবে মৃত্যুর পর। আব্রাহামিক ধর্মগুলোর অনুসারীরা এখান থেকেই অশ্লীল এই ধারণাটা মেরে দিয়েছিল। এই ধর্মটিতে উল্লেখিত 'চিন্দবাদ' নামক ব্রিজ অতিক্রমের ধারণাও এরা হুবহু মেরে দিয়েছে। সেই সাথে 'সাওসান্ত' নামক রক্ষাকারীর আগমনের ধারণাটিও।
বাইবেলে বছরের একটি দিনকে পবিত্র বিবেচনা করা হয়, যা 'প্রায়শ্চিত্যের দিন' হিসেবে পরিচিত। দুইটি ছাগল বলিদানের মাধ্যমে দিনটি উৎযাপন করা হয়। প্রথম ছাগলটি বলি দেয়া হয় ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে এবং অন্যটি আজাজিল এর জন্য। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই বলির মাধ্যমে ছাগলটি সকল খ্রিষ্টানের পাপ মরুভূমিতে বয়ে নিয়ে বালির সাথে মিশিয়ে দেয়। মিশরীয়দের এই প্রথা খ্রিষ্টানরা গ্রহণ করেছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Yom_Kippur
স্লাভিক শব্দ 'Bog' অর্থ 'ঈশ্বর'। যেটি প্রাচীনকালে আর্যদের এই অঞ্চলে আগমনের সময় হয়ে যায় 'Bhaga' কিংবা 'Bhugavan'। তারপরও আর্যদের উত্তরসূরিদের মধ্যে অন্যতম হিন্দু ধর্মের উগ্র অনুসারীরা নিজেদের বহিরাগত মানতে নারাজ।
সলোমনের মন্দিরের কাহিনীর সাথে কাবা'র কাহিনীর মিল চোখে পড়ার মতো। মুসলমানদের মতে, কাবা নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল ইব্রাহিমকে। আর ইহুদিদের এই উপাসনালয় নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল রাজা সলোমনকে, যিনি মুসলমানদের কাছে নবী হিসেবে স্বীকৃত। সলোমন হাইরাম আবিফ নামক এক ইঞ্জিনিয়ারকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাকে মরতে হয় জুনিয়রদের হাতে। উল্লেখ্য, ইজরায়েলের প্রাচীন অনেক রাজার অস্তিত্ব সম্পর্কে নৃতাত্ত্বিকরা সন্দিহান। কাবাকে মুহাম্মদের আগেও আরবরা নিজেদের আধিপত্য কায়েম রাখতে ব্যবহার করতো। বর্তমানে হজ থেকে প্রাপ্ত কোটি কোটি ডলারের অর্থে সৌদি রাজপরিবার যেমন লুইচ্চামি করে ভোগবাদী জীবন কাটাচ্ছে, মুহাম্মদের আগেও ঐ অঞ্চলের আরবরা তেমনি অন্যান্য অঞ্চলের তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থে ধনী হয়ে যেতো। অন্যদিকে 'টেম্পল অব সলোমন' এর আবেগকে কাজে লাগিয়ে মধ্যযুগের ইউরোপের রাজারা ও পাদ্রীরা চমৎকারভাবে ফায়দা লুটেছিল (মারিও পুজো এর 'দ্য ফ্যামিলি') আর বর্তমানে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী ও তাদের হাতের পুতুল ইজরায়েলের সরকার করে যাচ্ছে সেই কাজ। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে মুহাম্মদের নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জায়গা দখলের ঘটনা ঘটেছে। পাশের দেশ ভারতে কাল্পনিক রামের কথিত জন্মভূমি নিয়ে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে।
মুসলমান আস্তিকরা নিরীশ্বরবাদী প্রাক্তন মুসলিমদের আরবি নাম বজায় রাখা নিয়ে টিটকারি দেয়। তাদের উদ্দেশ্যে একটা তথ্য দেয়া যাক। 'সালমান' নামটি ছিল ইসলাম পূর্ব আরবের এক দেবতার নাম।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Salman_(myth)#:~:text=A%20god%20worshiped%20in%20pre,the%20names%20Solomon%20and%20Shalmaneser.
..........................................................................
প্যাগানদের ধর্ম থেকে বৌদ্ধ ধর্মও অনেক কিছুই এডপ্ট করেছে। তাই এখানে বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপারে আলোচনাও প্রাসঙ্গিক।
মুসলমানদের ইমাম মাহদী, হিন্দুদের কল্কি অবতার, জরাথ্রুস্টদের সাওশিয়ান্ত, ইহুদিদের মোশিয়াহ কিংবা পৃথিবীতে প্রচলিত বাকি ধর্মগুলোর প্রতিশ্রুত ত্রাণকর্তার আদলে বৌদ্ধ নিজের মুখেই বলে গেছেন-
“ভ্রাতৃসকল, মৈত্রেয়ী নামে এক মহাত্মা আবির্ভূত হবেন। পরিপূর্ণ রূপে জাগরিত; জ্ঞান, কল্যাণ, সুখ আর প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ; অতুলনীয় পথনির্দেশক, দেবতা আর মানবকূলের শিক্ষক এবং বুদ্ধ; এমনকি আমার থেকেও। তিনি নিজে থেকেই সৃষ্টিজগতের সকল কিছু দেখবেন এবং জানবেন; যেন মুখোমুখি বসা। এমনকি আমি যতটা জানি ও দেখি; তার চেয়েও স্পষ্ট।”
- দীর্ঘ নিকায়
মৈত্রেয়ীকে চিত্রিত করা হয় সিংহাসনে বসে অবতরণের অপেক্ষায় থাকা মহাপুরুষ হিসেবে। গায়ে ভিক্ষুর পোশাক। তার জন্ম হবে চক্রবর্তী রাজা শঙ্খের রাজ্য খেতুমতিতে। সন্তান জন্মের পর গৃহত্যাগ করবে নিগূঢ় জ্ঞান সাধনার জন্য। সাত দিনের মাথায় বোধি লাভ করবে। শিষ্যত্ব বরণ করবে অশোক, ব্রহ্মদেব, সুমন, পাদুম এবং সিহা। তার আগমণের মধ্য দিয়ে গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা অপ্রচলিত হয়ে পড়বে। পুনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে দুনিয়ায়।
তার অনুসারীরা বলেন, জীব হত্যা মহাপাপ। কিন্তু নিজে মাংস খেতে পছন্দ করতেন। হিন্দু পণ্ডিতদের ধারণা, বিষাক্ত শুকরের মাংস খাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল।
কসমোলজি সংক্রান্ত বুদ্ধের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তার মতে-
জগৎ অনন্তকাল থেকে বিদ্যমান আছে এবং অনন্তকাল এভাবেই থাকবে। বিশ্বের আকৃতি চিরকালই এরূপ আছে এবং আগামীতেও একইরূপে থাকবে।
তিনি জন্মান্তরবাদের মতো ভ্রান্ত ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন যা তিনি তার জন্মগতভাবে প্রাপ্ত পূর্বের ধর্মটি থেকে এডপ্ট করেছিলেন। তার মতে-
কর্মানুসারে প্রাণীসমূহ সংসারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তিনি এমনই 'মহামানব' ছিলেন যে অত্যাচারী শোষক রাজাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দাস ও সৈন্যদের বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন!
আজ থেকে বহু বছর আগে মার্ক্সবাদী লেখক রাহুল সাংকৃত্যায়ন তিব্বতের ধর্মীয় গুরুদের ভণ্ডামি করে সাধারণ মানুষকে শোষণের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে গেছেন। এই লেখায় এক পশ্চিমা ভন্ডের ব্যাপারে জানানো হবে। তার দাবি অনুযায়ী লবসাং রাম্পা নামক তিব্বতের লামা নাকি তার শরীরে ভর করেছিল। সে বৌদ্ধ ধর্মের আধ্যাত্বিকতা সংক্রান্ত অনেকগুলো বই লিখে পশ্চিমে ব্যাপক ব্যবসা করেছিল। তৎকালীন দালাই লামার নীরব সম্মতিতেই সে এসব ভণ্ডামি চালিয়ে গেলেও তার আসল পরিচয় প্রকাশিত হয়ে গেলে নিজেদের গা বাঁচাতে তিব্বতের ভন্ডরা এই লোকের সাথে তাদের সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছিল। অথচ এই লোকের কাছে তৎকালীন দালাই লামার দ্বারা অনুমোদিত আস্থাপত্র পর্যন্ত ছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Lobsang_Rampa
...........................................................................
উত্তর মিসরের হামরা ডোম অঞ্চলে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে বিশ্রামের জায়গা খুঁজতে গিয়ে দুই ভাই একটি গুহার ভেতর এক বাক্স প্যাপিরাস পেলো। এ ধরনের কিছুর সন্ধান পেলে আইনানুযায়ী স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা। কিন্তু তারা তা করলো না। সরকারের নজর এড়াতে তারা কালোবাজারে পুরানো সম্পদ হিসেবে আলাদা আলাদাভাবে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলো সেগুলো। ছেলে দু'টির মা জিন-ভূতের আছরের ভয়ে বেশ কয়েকটি সদ্য প্রাপ্ত প্যাপিরাস পুড়িয়ে ফেলেন। পরের বছর দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া বেধে গেলো। কেন এই ঝগড়া হয়েছিল তা জানা যায়নি। এই ঝগড়ায় তাদের মায়ের মনে কথিত জিন-ভূতের আছরের আশঙ্কা আরো জোরদার হলো। তিনি পান্ডুলিপিগুলো এক পাদ্রীর কাছে জমা দিলেন। তিনি সেগুলো কায়রোর কপ্টিক মিউজিয়ামের কাছে বিক্রি করলেন। তখন প্যাপিরাসের নাম দেয়া হয়েছিল 'ম্যানুস্ক্রিপ্টস ফ্রম নাগ হামাদি' (যে গুহায় পান্ডুলিপিটি পাওয়া গেছে, তার সবচেয়ে কাছের শহরের নাম এটি)।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Nag_Hammadi_Codex_II
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Nag_Hammadi_library
জাদুঘরটির অন্যতম বিশেষজ্ঞ ধর্মীয় ইতিহাসবিদ জ্যা ডোরেস (Jean Doresse) এই আবিষ্কারের গুরুত্ব বুঝতে পেরে ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত এক লেখায় এগুলোর অস্তিত্বের কথা প্রথম প্রকাশ করেন। বাকি প্যাপিরাসগুলো কালোবাজারে আত্মপ্রকাশ করতে লাগলো। মিশর সরকার শিগগিরই আবিষ্কারের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পান্ডুলিপিগুলো যাতে দেশের বাইরে পাচার হতে না পারে সেই উদ্যোগ নিলো। ১৯৫২ সালের বিপ্লবের পর বেশিরভাগ সামগ্রী কায়রোর কপ্টিক মিউজিয়ামে হস্তান্তর করে জাতীয় সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মাত্র একটি পান্ডুলিপি তারা উদ্ধার করতে পারেনি যা বেলজিয়ামের একটি প্রাচীন সামগ্রীর দোকানে ঠাঁই পেলো। নিউ ইয়র্ক ও প্যারিসে ব্যর্থ বিক্রয়ের চেষ্টার পর ১৯৫১ সালে কার্ল জাঙ ইনস্টিটিউটে এটির জায়গা হয়। এই প্রখ্যাত মন:সমীক্ষকের মৃত্যুর পর সেটি আবার কায়রো ফিরে আসে। সেখানেই এক হাজার পৃষ্ঠা এবং নাগ হামাদি'র পান্ডুলিপিগুলোর ছেঁড়া কিছু অংশ এখন দেখা যায়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Carl_Jung
https://en.m.wikipedia.org/wiki/C._G._Jung_Institute,_Z%C3%BCrich
প্যাপিরাসে যা কিছু লেখা ছিল সেগুলোর সব ছিল গ্রীক অনুবাদে। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতক থেকে ১৮০ সালের শেষ দিক পর্যন্ত অনুবাদের কাজ করা হয়েছিল। এগুলো 'এপক্রিফাল গসপেলস' নামে পরিচিত ছিল।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/New_Testament_apocrypha
https://en.m.wikipedia.org/wiki/List_of_Gospels
আমরা আজ যেটাকে বাইবেল বলে চিনি, এগুলো তাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। নিউ টেস্টামেন্টে কোন কোন পান্ডুলিপি অন্তর্ভুক্ত হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে ১৭০ সালে একদল বিশপ সম্মেলনে মিলিত হন। আমরা আজ যে চারটি গসপেল সম্পর্কে জানি, সেগুলো গ্রহণ করার পাশাপাশি বিশপদের কাছে খ্রিস্টধর্মের প্রধান প্রধান মতবাদের সাথে 'সামঞ্জস্যপূর্ণ' বিবেচিত ধর্মপ্রচারকদের চিঠিপত্র ও অন্যান্য সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত হলো। বিশপদের এই সম্মেলন ও তাদের অনুমোদিত গ্রন্থপঞ্জির তালিকার উল্লেখ 'মুরাটোরিয়ান ক্যানন' এ পাওয়া যায়।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Muratorian_fragment
নাগ হামাদি'র মতো অন্যান্য যেসব বই বাদ দেয়া হয়েছে সেগুলো হয় ছিল নারীদের দ্বারা লিখিত গ্রন্থ (যেমন- মেরি মাগদালেনের গসপেল), কিংবা সেগুলোতে যীশুকে এমনভাবে চিত্রিত করা হয়েছিল যে তিনি তার ঐশী মিশন সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। সেগুলোতে আরো লেখা ছিল যে, তার মৃত্যুযাত্রা অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘায়িত হবে না ও কম কষ্টদায়ক হবে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Gospel_of_Mary
ইংরেজ প্রত্নতত্ত্ববিদ স্যার ওয়াল্টার উইলকিনসন ১৯৭৪ সালে আরেকটি পান্ডুলিপি আবিষ্কার করেন। সেটি আরবি, হিব্রু ও ল্যাটিন ভাষার সমন্বয়ে লিখিত ছিল। ঐ অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক আইন সম্পর্কে জানা থাকার কারণে তিনি পান্ডুলিপিটি কায়রো জাদুঘরের পুরাতত্ত্ব বিভাগে পাঠিয়ে দেন। শিগগিরই সেখান থেকে জবাব আসে যে, দুনিয়া জুড়ে অন্তত প্রায় ১৫৫ টি একই ধরনের কপি রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে তিনটি ছিল কায়রো জাদুঘরে। কার্বন-১৪ (জৈব বস্তুর বয়স নির্ধারক পরীক্ষা) পরীক্ষায় প্রকাশ পায় নথিটি ১৩০৭ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকের। পান্ডুলিপিটির উৎস ছিল মিশরীয় ভূখণ্ডের বাইরে, ঘানার আক্রা নগরীতে। সেজন্য মিশর থেকে পান্ডুলিপিটি সরানোর কাজে কোনো বাধা নিষেধ ছিল না। এই প্রেক্ষাপটে স্যার ওয়াল্টার মিশর সরকারের কাছ থেকে পান্ডুলিপিটি সাথে নিয়ে ইংল্যান্ড যাওয়ার লিখিত অনুমতি পেয়েছিলেন।
Comments