ইবনে সিনা
৯৮০ খ্রিস্টাব্দে ইবনে সিনার জন্ম বোখারার নিকটবর্তী আফসানা নামক গ্রামে। ইবনে সিনার বাবা ছিলেন তুরস্কের বলক প্রদেশের ইসমাইলি মুসলিম। ধর্মতাত্ত্বিক এবং দার্শনিক চিন্তাভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক দিক থেকে তিনি ছিলেন কোরানের মৌলিক বিশ্বাসের পরিপন্থী। ইবনে সিনার সময় আরবীয় দর্শন এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছায়। তাকে একাধারে দর্শন এবং চিকিৎসা শাস্ত্রের রাজপুত্র নামে অভিহিত করা হতো। পশ্চিমের এরিস্টটল, প্লেটো, নব্য প্লেটোবাদ এবং স্টোয়িক দর্শনের উপর ব্যাপক জ্ঞানার্জন করেন তিনি এবং একই সাথে প্রাচ্যের মনিষীদের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং কাঠামো সম্পর্কে ব্যাপক ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। কিন্তু এগুলোর কোনটিকেই পুরোপুরি মেনে চলতেন না বা অনুসরণ করতেন না। তবে সবগুলো বিশ্বাস থেকেই কিছু কিছু উপাদান নিয়ে নিজস্ব বিশ্বাসের ভিত্তি গড়ে তুলেছিলেন। তার সেই ধর্মীয় বিশ্বাসে আল্লাহ, মানুষ এবং মহাবিশ্বের সবকিছু পরস্পরের উপর নির্ভরশীল বা মুখাপেক্ষি ছিল না। তিনি বিশ্বাস করতেন মানুষ এবং সৃষ্টিকর্তা পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হলেও মানুষ সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। আল্লাহ মানুষের সাথে সরাসরি কোনো যোগাযোগ রাখেন না এবং বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করেন না। ইবনে সিনার সাথে এরিস্টটলের ইশ্বরের পার্থক্য আছে। এরিস্টটলের ইশ্বর মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেননি এবং এটা নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যাথা নেই। ইবনে সিনার ইশ্বর (আল্লাহ) মধ্যপ্রাচ্যের ইশ্বর (আরব, হিব্রু, আসিরীয়, ফিনিশীয় ইত্যাদি); কিন্তু তার নিজস্ব দর্শন দ্বারা পুনঃনির্মিত ইশ্বর। তার আল্লাহর গুণাবলীর যৌক্তিক ব্যাখ্যা এবং সৃষ্টিশীলতার সাথে কোরানের আল্লাহর গুণাবলীর যৌক্তিক ব্যাখ্যা এবং সৃষ্টিশীলতার পার্থক্য রয়েছে।
১) মানুষ এবং মহাবিশ্বের সৃষ্টি
ইবনে সিনার মতে এ বিশ্বের কোনকিছুই শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়নি। পদার্থের শুরু কিংবা শেষ নেই। পদার্থ চিরন্তন এবং জগৎ সৃষ্টির সময় ও স্থান দ্বারা সীমাবদ্ধ নয় - এই জগতের কোনো শুরু এবং শেষ নেই। কোরানের অনুযায়ী আল্লাহ সবকিছু শূন্য থেকে সৃষ্টি করেছেন - মতবাদ তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। বরঞ্চ এ জগৎ তার ইচ্ছাশক্তির ফলস্বরুপ তার সত্তা থেকে বিকিরিত। সক্রিয় বুদ্ধিমত্তা সর্বপ্রথম বিকিরিত হয়, এরপর আত্মা এবং সবশেষে দেহ। সৃষ্টিকর্তা সরাসরি তার সৃষ্টির সাথে যোগাযোগ রাখেন না। আল্লাহ যতদিন ধরে আছেন এই জগতের অস্তিত্ব ততদিনকার। আল্লাহ এ বিশ্বকে এক বিশেষ সময়ে সৃষ্টি করেছেন - এ মতের বিরোধী ছিলেন ইবনে সিনা। এ বিশ্ব পরম স্রষ্টা থেকে আদি বুদ্ধি এবং অন্যান্য বুদ্ধির মধ্য দিয়ে বিকীর্ণ হয়ে অনন্তকাল ধরে বিরাজমান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সর্বত্র বিরাজিত পরম সত্তা এমন কোনো সুশৃঙ্খল এবং মঙ্গলকর বিশ্ব সৃষ্টি করবেন না যেটা তার স্থায়িত্বকে সময়ের প্রেক্ষিতে অতিক্রম করতে সক্ষম নয়।
২) আল্লাহর স্বরূপ এবং তার সর্বজ্ঞান
ইবনে সিনার মতে, আল্লাহর স্বরুপ খুবই সাধারণ। তিনি আল্লাহর বিশুদ্ধ একক সত্তায় বিশ্বাস করতেন। তাকে অস্তিত্ব সম্পর্কিত দর্শনের কোনো শব্দাবলী বা বৈশিষ্ট্য দিয়ে চিহ্নিত করা যাবে যাবে না এবং তাকে বিভিন্ন গুণাবলী দিয়ে প্রকাশ করার চেষ্টা হলো তার একত্ববাদের স্পষ্ট লংঘন। মুতাজিলাদের মতোই তিনি আল্লাহর একক সত্তায় তার আলাদা আলাদা গুণের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেন। অপরদিকে কোরান অনুযায়ী আল্লাহ বিভিন্ন মানবিক গুণাবলীর অধিকারী এবং তার প্রায় শ'খানেক নাম আছে। ইবনে সিনা যে আল্লাহর কথা বলেন সেই আল্লাহ পরম, বিশুদ্ধ একক স্রষ্টা, আমাদের পার্থিক জগতের তুলনায় সেই স্রষ্টা বিকারহীন সত্তা। সমগ্র বিশ্ব সেই স্রষ্টার জ্ঞান প্রক্রিয়ার ফলাফল। ইবনে সিনার মতে, আল্লাহ পৃথিবীর সবকিছু সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা রাখেন; কিন্তু পুঙ্খানুপুঙ্খু জ্ঞান রাখেন না। যেহেতু স্রষ্টার জ্ঞান প্রক্রিয়ার ফলাফল এই বিশ্ব; তাই সার্বিক বস্তু যেমন গ্রহ, সূর্য, তারা, গাছ, মাছ, মানুষ - এইরকম সার্বিক বস্তু সম্পর্কে স্রষ্টা সচেতন এবং এগুলো তার সার্বিক জ্ঞানের অংশ। কিন্তু স্রষ্টা সার্বিক ‘মানুষ’ সম্বন্ধে জ্ঞান রাখলেও তিনি বিশেষ কোনো ব্যক্তিবিশেষ যেমন ‘ইবনে সিনা’ বা হোরাস সম্পর্কে কোনো জ্ঞান রাখেন না। ‘মানুষ’ তার জ্ঞান চিন্তার ফসল, এই কারণে মানুষ কি তা তিনি জানেন; কিন্তু ইবনে সিনাকে তিনি চেনেন না।
৩) মৃত্যু পরবর্তী দৈহিক পুনরুত্থান
ইবনে সিনার মতানুসারে মানুষ আত্মা এবং দেহের সমন্বয়ে গঠিত। তবে কোরানে মৃত্যু পরবর্তী দৈহিক পুনরুত্থানের যে বর্ণনা দেয়া আছে সুনির্দিষ্টভাবে তিনি তা অস্বীকার করেছেন। তার মতে, কোরানের বর্ণনা অনুসারে দৈহিক পুনরুত্থান সম্ভব নয় এবং তা যৌক্তিকভাবে ব্যাখা করা সম্ভব নয়। তিনি আত্মার একত্বে বিশ্বাস করতেন। তার মতে, মৃত্যুর পর পুণ্যাত্মা ফিরে যাবে বুদ্ধির জগতে, এ পর্যায়ে আত্মা আপন বিচ্ছিন্ন অস্তিত্ব হারিয়ে শাশ্বত বুদ্ধির জগতের সাথে একাত্মতা লাভ করবে।
৪) নবীদের বা নবুয়ত সম্পর্কিত ধারণার সংঘর্ষ
নবুয়ত প্রাপ্তি সম্পর্কে ইসলামের ধারণাকে তিনি নামমাত্র পরিমাণে স্বীকার করেছেন। তিনি নিজের মতো করে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কোরানের নবী-রাসুলরা প্রত্যেকে প্রেরিত পুরুষ, অনেকে আসমানি কিতাব প্রাপ্ত। অনেকের সাথে জিব্রাইল সরাসরি যোগাযগ করতেন এবং তারা স্বশরীরে আল্লাহর সাক্ষাত প্রাপ্ত। ইবনে সিনার মতে, নবীরা আল্লাহর মুখপাত্র হিসাবে অর্পিত এবং মনোনীত/আদেশপ্রাপ্ত নন। তারা মানবীয় গুণাবলীর অধিকারী সাধারণ মানুষ, যারা সমাজের চলমান সমস্যা সমাধানের জন্য সমাজেরই সৃষ্টি। সমাজে কিছু মানুষ থাকে যাদের বুদ্ধিবৃত্তিক এবং নৈতিকতার ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় বেশী থাকে। এই নেতাদের (নবী) উচ্চতর অন্তর্জ্ঞান ক্ষমতার সুবিধা থাকার কারণে গোত্রের কিংবা সমাজের প্রয়োজন এবং সমস্যাগুলো ভালো বুঝতে পারেন তারা। এসব সমস্যার সমাধানে তার প্রখর কল্পনা শক্তি তাকে সাহায্য করে, তার বক্তব্য সাধারণ মানুষদের সফলভাবে বোঝানোর ক্ষমতা থাকে এবং তাদের মাঝে প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা থাকে। তার বক্তব্যের রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট থাকে। হয়তো তার পক্ষে সক্রিয় বুদ্ধিমত্তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হলেও হতে পারে। সেই সক্রিয় বুদ্ধিমত্তা হতে পারে সম্ভাব্য, বাস্তব কিংবা আরোহিত বুদ্ধিমত্তা যাকে খ্রিস্টানদের 'হোলি ঘোস্ট' কিংবা ইহুদী-মুসলমানদের জিব্রাইলের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। তবে নবীদের সেই জ্ঞান তার নিজস্ব উপলব্ধীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। সাধারণ মানুষের বোধগম্যতার কথা মাথায় রেখে নবীরা তাকে রুপক কিংবা প্রতীকী ভাষায় সাধারণ্যে উপস্থাপন করেন। আর সাধারণ মানুষ সেটাই আক্ষরিক অর্থে ধরে নেয়। কিন্তু জ্ঞানীরা কখনও তা করে না।
৫) সূফীবাদ
ইবনে সিনার সবচাইতে উল্লেখযোগ্য দর্শনের বই হচ্ছে আল শিফা। এটা একজন মানুষের লেখা দর্শনের উপর সবচাইতে বড় বই। এতে যুক্তি, পদার্থবিদ্যা, অধিবিদ্যা, ভূ-তত্ত্ব, জলবায়ু বিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, গণিত এবং মনবিদ্যা স্থান পেয়েছে। তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য দর্শনের বই আল ইশারাত ওয়া আল তামজিহাদ। তিনি সুফিবাদের উপর তিনটি অধ্যায় এই বইতে লিখেছেন। সুফিবাদের উপর তার আরও ৩২টির মতো প্রবন্ধ/নিবন্ধ আছে। শুধু পার্থিব জগতের ভোগ-লালসা থেকে বিরত থাকা তার কাছে যথেষ্ঠ মনে হয়নি। তিনি মনে করতেন জ্ঞানের চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছানোর জন্য উদ্ভাসনের চেষ্টা করা উচিৎ। আর উদ্ভাসন সম্ভব জাগতিক এবং মহাজাগতিক জগতের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে। উদ্ভাসনের এই তত্ত্বটি নিকট প্রাচ্য (পারস্য) এবং নব্য প্লেটোনিক (গ্রীক) মতবাদের বিভিন্ন উপাদানের সংমিশ্রণ। এর মাধ্যমে ইবনে সিনা সূফীবাদের নতুন ধারার সৃষ্টি করেন যা 'হিকমত আল ইশরাক' নামে পরিচিত। তার ভাবশিষ্য সোহরাওয়ার্দী পরবর্তিকালে সূফীবাদের এই শাখাটির প্রচার এবং প্রসার ঘটান।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Shihab_al-Din_%27Umar_al-Suhrawardi
৬) একমাত্র আল্লাহই সবকিছুর নিয়ন্ত্রক
ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী আল্লাহ হলেন যা কিছু ঘটে তার একমাত্র কার্যকারণ। সুরা আল ইমরানের ২৬-২৭ নম্বর আয়াতে এ কথা পরিস্কারভাবে বলা আছে। আল্লাহ ছাড়া আর কারও পক্ষে কোনো কিছু ঘটানো সম্ভব না - ইবনে সিনা এই মতের বিরুদ্ধে ছিলেন। তার অধিবিদ্যা সম্পর্কিত ব্যাখ্যা অনুযায়ী মানুষ এবং অন্য প্রাণী কিংবা এমনকি জড়বস্তুও আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো কিছুর সংঘটনের কারণ হতে পারে। এছাড়া কোরানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে মানুষের জীবনে যা কিছু ঘটে তার নিয়ন্ত্রক আল্লাহ। ইবনে সিনা এই তত্ত্ব প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন মানুষ নিজেই নিজের কর্মের নিয়ন্ত্রক।
৭) মদ্যপান
দু'টি জিনিষের উপর ইবনে সিনার আকর্ষণ ও মোহ ছিল সর্বজনবিদিত - তার ক্রীতদাসী এবং মদ। প্রথমটি ইসলাম ধর্মমতে জায়েজ এবং সেই সময়ের প্রেক্ষিতে পশ্চিম ও প্রাচ্যে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই তা করতো। তবে মদ্যপান ইসলাম ধর্মমতে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। মদের প্রতি তার আকর্ষণের যে ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন সেটা চিত্তাকর্ষক। তিনি বলেছেন ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে মদ নির্বোধদের জন্য নিষিদ্ধ। কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক আইন অনুসারে বুদ্ধিমানদের জন্য মদ হালাল।
তার পূর্বসূরী আল কিন্দি এবং উত্তরসূরী ইবনে রুশদের মতো তাকেও কাফের ঘোষণা করা হয়েছিল। মোল্লাদের প্ররোচনায় আব্বাসীয় খলিফা আল মুস্তানজিদ তার সব বই পুড়িয়ে ফেলার আদেশ দিয়েছিলেন।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Al-Mustanjid
.............................................................................
"যদি মাতালের শিক্ষাকেন্দ্র মাদ্রাসাগুলো এপিকিউরাস, প্লেটো, এরিস্টটলের দর্শন - শিক্ষালয় হতো,
যদি পীর - দরবেশের আস্তানা ও মাজারগুলো গবেষণা প্রতিষ্ঠান হতো,
যদি মানুষ ধার্মিকের ধর্মান্ধতার পরিবর্তে নীতিজ্ঞানের চর্চা করতো,
যদি মানুষ শাস্ত্র - কিতাব থেকে কেবলমাত্র যুক্তিসঙ্গত ভালো জিনিস গ্রহণে আগ্রহী হতো,
যদি শাস্ত্রের উদ্ভট নিয়মকানুনকে তারা ঘৃণার সঙ্গে বর্জন করতো,
যদি শাস্ত্রকে মানব কল্যাণের জন্য মনে করে মানুষকে শাস্ত্রের উর্ধ্বে স্থান দিতো বিচক্ষণের মতো,
যদি তারা আল্লাহ ও শয়তান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির কল্পনা করে কাহিনী সৃষ্টি না করতো,
যদি উপাসনালয়গুলো সর্ববিদ্যা চর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতো,
যদি শাস্ত্রবাহক আলেম বুজুর্গরা দার্শনিক ও চিন্তাবিদ হতো,
যদি তারা কাল্পনিক গালগল্পকে শাস্ত্রীয় সত্য বলে প্রচার না করতো,
ধর্ম প্রচারকেরা যদি ধর্মতত্ত্বের পরিবর্তে জ্ঞান বিজ্ঞান দর্শন প্রচার করে বেড়াতো,
জ্যোতির্বিদ্যাকে যদি কেউ ভাগ্য গণনার কাজে না লাগাতো,
ধর্মতত্ত্বের চর্চার পরিবর্তে যদি গণিত বীজগণিতের উন্নতি সাধন করতো,
মুসাফির ও হাজীরা যদি জ্যামিতি, ভূগোলের খবর রাখতো,
যুক্তিবিদ্যা যদি সুফীতত্ত্ব, সংস্কার, কুসংস্কারের জায়গা দখল করতো,
ধর্ম যা মানবজাতিকে বিভক্ত করে তা মানবতার দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতো,
এরিস্টটল, প্লেটো, ইবনে সিনা যদি নবী পয়গম্বর হতো,
মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও রাজপ্রাসাদগুলো যদি সৃষ্টি না হতো,
পৃথিবী তাহলে বেহেস্তে পরিণত হতো,
পরপারের বেহেস্ত বিদায় নিতো,
প্রেম প্রীতি মুক্তি আনন্দে জগৎ পরিপূর্ণ হতো নিঃসন্দেহে।"
- ওমর খৈয়াম
Comments