সমাজবিজ্ঞানী ই. বার্ক রচফোর্ড অসংখ্য রেফারেন্স সহ গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন ইস্কন আমেরিকা ও ভারতে তাদের দ্বারা পরিচালিত বোর্ডিং স্কুলগুলোতে খ্রিস্টান পাদ্রীদের মতোই শিশুদের উপর যৌন নিপীড়ন চালায় ও মানসিকভাবে অত্যাচার করে। সেই সাথে শারীরিক মারধর তো আছেই। কীর্তনানন্দ স্বামী নামক ইস্কন এর এক ধর্মীয় গুরুকে আমেরিকান আদালত ২০ বছরের সাজা দিয়েছিল ধান্দাবাজি আর ইমেইলে প্রতারণার অভিযোগে। ১৯৭৬ সালে এই সংগঠনের প্রেসিডেন্টকে নিউ ইয়র্ক এর একটি আদালতে ডাকা হয় জোর করে কিছু শিশুকে আটকে রাখার জন্য। তখন বলা হয়েছিল যে, সংগঠনটির চিন্তাধারা মানুষকে হাজার বছর পিছিয়ে দেয়। ক্যালিফোর্নিয়ায় এরা আবার অভিযুক্ত হয় এক মেয়েকে অপহরণ করে তাকে মা-বাবাকে অস্বীকার করতে শিখিয়ে দেয়ার অভিযোগে। মেয়ের চিন্তায় বাবা শেষে মারা গিয়েছিল। ....................................................................................... ভারতে চাড্ডি বাটপারদের অত্যন্ত লাভজনক একটা ব্যবসা আছে। পশ্চিমের পুঁজিবাদী দেশগুলোতে উদ্ভূত নানা সংকট থেকে মুক্তি পেতে দেশগুলোর অনেকেই প্রাচ্যের ধর্মগুলোর দিকে ঝুঁকছে। এরা ভারতে এসে ধ্যান এর জন্য নির্জন জায়...
বাম রাজনীতির সাথে জড়িত কুখ্যাত ফরহাদ মজহার এর বৌ এই মহিলা যিনি সাম্রাজ্যবাদীদের পুতুল সরকারের অন্যতম সদস্য। এটা সেই মজহার যিনি মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন মার্কিন আগ্রাসন প্রতিরোধ করার! এক গাদা এনজিও এর প্রতিষ্ঠাতা এই লোক সম্পদে নারীর সমঅধিকার বাস্তবায়নের চেষ্টাকে উস্কানীমূলক বলে প্রচার করেছিলেন! কাঠমোল্লাদের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে ইসলামী শাসন কায়েমের স্বপ্নও বুনেছিলেন ফরহাদ মজহার! তিনি মনে করতেন যে সকল ব্যক্তি বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী তারা বুশ-ব্রাউনের এজেন্ট! তার ভাষায়- "এদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ বলা আর গলায় সাপকে ফুলের মালা বলা একই কথা।" তিনি ধর্মনিরপেক্ষতাকে কিছুটা ঘুরিয়ে ফ্যাসিবাদ বলে ভাবতেন এবং মনে করতেন, বাংলাদেশে ইসলামের যুদ্ধটা এই ফ্যাসিবাদ আর পরাশক্তির সমর্থকদের সাথেই ঘটবে! আর এই ধরনের শিবিরের অতি প্রিয়পাত্র বামের বৌ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হবে না তো কে হবে? শিবিরের কর্মীরা নিয়মিত তার লেখা এখনো পড়ে। পশ্চিমাদের পুতুল সরকারের এই সদস্য কুখ্যাত রাজাকার কাদের মোল্লার আইনজীবী ছিলেন এবং সেই সাথে ফখরুদ্দিন এর অবৈধ সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা ছি...
উইকিলিকস এর গোপন নথি অনুযায়ী ২০০৮ সালের গোড়ার দিকে পাকিস্তানের আইএসআই গোপনে ইজরায়েলের মোসাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছিল। আইএসআই মোসাদকে ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসীদের দ্বারা সম্ভাব্য বড় ধরনের হামলার ইঙ্গিত দিয়ে তথ্য দিয়েছিল, যেখানে ইজরায়েলি নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে। ২৬ নভেম্বর, ২০০৮ সালে এই সন্ত্রাসী হামলা লস্কর-ই-তৈয়বা দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল যারা অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে 'নারিমান হাউস' নামে পরিচিত ইহুদি কেন্দ্রে আক্রমণ করেছিল। এই হামলার পর পাকিস্তানি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ সুজা পাশা ইজরায়েলের মোসাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছিলেন। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় ইজরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ব্লকের অংশ ছিল, যেখানে জোটনিরপেক্ষ পাকিস্তান মিত্র ছিল তাদের। আমেরিকার মিত্র পাকিস্তান এবং ইজরায়েল সোভিয়েতদের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগান মুজাহিদিনদের সমর্থনে পাকিস্তানে অস্ত্র এবং তহবিল সরবরাহ করেছিল। ইজরায়েল পূর্ববর্তী সংঘাতগুলোর সময় ফিলিস্তিন এবং অন্যান্য আরব গোষ্ঠী (যারা সকলেই সোভিয়েত ইউন...
Comments