দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-পাঁচ]

 

অথচ উনি ফয়সাল আরেফিন দীপন এর বাবা যাকে জঙ্গিরা খুন করেছিল। গত বছরের নভেম্বর মাসের এক শুক্রবার বাংলা একাডেমির সভাগৃহে আয়োজিত ‘ইসলামের অভেদ ভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন-

"মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য মদিনার সনদ করলেন। আজকের দিনে মদিনার সনদ সামান্য বিষয় মনে হতে পারে। তবে সেকালে মানুষের শিক্ষা-দীক্ষা বিবেচনায় মদিনার সনদ বড় অর্জন। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে।"

বাংলাদেশের বিখ্যাত নায়ক যুদ্ধপরাধীদের দলের আমিরের সাথে দেখা করেছে

এই একুশ শতকেও হিল্লা বিয়ের বর্বরতা চলছে

এই ধরনের বইয়ে এখন অনলাইনের বুক সাইটগুলো সয়লাব

কথিত আন্দোলনে এরাই ছিল (প্রোফাইল লাল)

মিথ্যুক মুমিনগণ গ্রূপের কথা উল্লেখ না করেই প্রচার করেছে ১৭৪ জন প্রতিযোগীর মধ্যে এরা প্রথম হয়েছে। 

এই প্রতিযোগিতায় মোট পাঁচটি গ্ৰুপ ছিল- ১. শাতেবি পদ্ধতিতে সাত কেরাতসহ পূর্ণ কোরআন হিফজ, ২. তাজবিদসহ পূর্ণ কোরআন হিফজ এবং একক শব্দগুলোর তাফসির, ৩. তাজবিদসহ পূর্ণ কোরআন হিফজ, ৪. তাজবিদসহ ১৫ পারা হিফজ, ৫. তাজবিদসহ পাঁচ পারা হিফজ (ওয়াইসিভুক্ত নয় এমন দেশের জন্য প্রযোজ্য)। ৩য় গ্রুপে ১ম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশের হাফেজ আনাছ বিন আতিক্ব। ৪র্থ গ্রুপে ১ম স্থান অর্জন করেছে মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামি ঢাকার কিতাব বিভাগের ছাত্র হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ।

তাদের হামলা থেকে সেলিব্রিটিরাও রক্ষা পাচ্ছে না 

১৮ হাজার লাইক!

আল আকসা'য় নামাজ পড়তে না পেরে সারা দুনিয়াকে বিচার দেয়ার ব্যাপারটা! সারা দুনিয়ার সামনে মজলুম সাজার ব্যাপারটা! সারা দুনিয়াকে একমাত্র বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায় হিসেবে নিজেদের প্রদর্শনের ব্যাপারটা!

রাজু ভাস্কর্যের হিজাব পরা নারী মুক্তিযোদ্ধা! পুরুষদের পাশাপাশি শত শত নারী মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করলেও কোথাও কোনো বাজে ঘটনার রেকর্ড নেই। এমনকি বীরাঙ্গনাদেরও তোদের মতো শুয়োররা সেসময় পরিবারে গ্রহণ না করলেও করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারাই। হাজার হাজার যুদ্ধ শিশুকে মানুষ করতে নিয়ে গিয়েছিল পশ্চিমারা, যাদের দায়িত্ব তোদের মতো শুয়োররা নেয়নি তখন।

'পাহাড়ি মাল'

জোর করে হিন্দুদের মণ্ডপে গিয়ে ইসলাম প্রচার 

এদের দ্বারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন মূত্র বিসর্জনের স্থানে পরিণত হয় 

ঢাকা ভার্সিটি থুক্কু ঢাকা মাদ্রাসা

মঙ্গল শোভাযাত্রা ইসলামের শত্রু।

শিখা চিরন্তন ইসলামের শত্রু।

পহেলা বৈশাখ ইসলামের শত্রু।

বৈসাবি, ওয়ানগালা, বাউলধর্ম সব ইসলামের শত্রু।

লালন-রবীন্দ্রনাথ ইসলামের শত্রু।

ভাস্কর্য, চিত্রকলা, নৃত্য, কবিতা সবই ইসলামের শত্রু।

আর সর্বোপরি বাঙালি সংস্কৃতি তো ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু।

বাংলাদেশের ধর্মান্ধ মুসলিমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ইসলামের পরাজয় বলে মনে করে। সেজন্যই কেউ স্বাধীনতার স্বপক্ষে জোরালো অবস্থান নিলে তাকে এরা ইসলামের শত্রু হিসেবে ধরে নেয়। অচিরেই দাড়ি না রাখার অপরাধে একদিন আপনাকেও পেছন থেকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করতে পারে ওরা। বোরকা না পরার অভিযোগে আপনার শাড়ি খুলে নিয়ে আপনাকে বিবস্ত্র করা হতে পারে রাস্তার উপর। অপেক্ষা করুন।

খালেদ হোসেনী তার বিশ্বখ্যাত বই 'দ্য কাইট রানার' এ উল্লেখ করেছেন তালেবানরা প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর কিভাবে কোনো মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার সময় রাস্তায় পেলে ধর্ষণ করতো ও এসিড নিক্ষেপ করতো শিক্ষা অর্জন করতে চাওয়ার 'অপরাধে'।

শেয়াল যখন মুরগি পাহারার দায়িত্ব নেয়

বুর্জোয়া গণতন্ত্রে এমন স্বেচ্ছাচারিতাই স্বাভাবিক 


ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের মৃত্যু মহা সমারোহে স্মরণ
 

নীতিশ সেনগুপ্ত তার 'History of the Bengali-speaking people' গ্রন্থে লিখেছেন-

“বাংলার মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের শেকড় প্রোথিত রয়েছে ব্রিটিশ শাসনের আগমনে বাংলা মুসলমানদের প্রায় পাইকারিভাবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শৈক্ষিক অধঃগমন। তারা শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতা, সুবিধা ও পৃষ্ঠপোষকতা হারায়নি; ১৭৯৩ সালের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত [আইন] মুসলমান জমিদার ও ভূস্বামীদের সংখ্যা কঠোরভাবে কমিয়ে আনে। ঐতিহাসিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি তত উন্মুক্ত না থাকা বাংলার মুসলমানেরা নতুন যুগের আনীত অর্থনৈতিক সুযোগসমূহের কোনো সুবিধা নিতে পারেনি। ঐতিহ্যগতভাবে সন্দিগ্ধ ও রক্ষণশীল মুসলমানেরা নিজেদের নতুন ইংরেজী শিক্ষা থেকে দূরে রাখার মধ্য দিয়ে মঞ্চ ছেড়ে দেয় হিন্দু বাঙালীদের জন্য; যারা সরকারী চাকুরি এবং আইন, চিকিৎসা ও শিক্ষকতার মতো পেশাগুলোতে প্রাধান্যে চলে আসে। তারা ধীরে ধীরে নিজেদের প্রত্যাহার করে ব্রিটিশ ও আধুনিক বিষয়াদির সাথে সংস্রবহীন একটি গুটির মধ্যে গুটিয়ে আনে। মজার বিষয় হলো, বিহার সহ দেশের [ভারত] অন্যান্য অংশের মুসলমানেরা [বাংলার মুসলমানদের] এই অভিজ্ঞতার শরিক হয়নি। [ভারতীয়] উপমহাদেশের অন্য কোথাও মুসলমানেরা বাংলার মুসলমানদের মতো এতো দুরবস্থায় ছিল না এবং বিপরীতক্রমে বাঙালী হিন্দুর মতো [ভারতে] কম সম্প্রদায়ই আছে যারা ব্রিটিশ শাসন থেকে এতো বেশি সুবিধা ভোগ করেছে।”

নীতিশ সেনগুপ্ত বইটিতে স্যার উইলিয়াম হান্টারের ‘The Indian Musalmans’ গ্রন্থ থেকে নিম্নলিখিত উদ্ধৃতি দিয়েছেন-

“আমার মন্তব্য প্রযোজ্য শুধু নিম্ন বাংলায়, যে প্রদেশটির সাথে আমি সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং যেখান আমি এ পর্যন্ত জেনেছি, ব্রিটিশ শাসনের অধীনে মুসলমানেরা ভুগেছে সবচেয়ে সাংঘাতিকভাবে। আমি ক্ষমাপ্রার্থী হবো, যদি আমি এই প্রত্যয় গঠন করি কিংবা এই বিশ্বাস পাঠকের কাছে পৌঁছাই যে, [আমার] নিম্নলিখিত মন্তব্য ভারতের সকল মুসলমানের ক্ষেত্রেও সম্ভব। কখনও পেশার প্রয়োজনে যদি কোনো জাতি এগিয়ে এসে থাকে, সে হচ্ছে বাংলার মুসলমান সম্প্রদায়। বাংলায় প্রথম আয়ের উৎস ছিল সাম্রাজ্যিক কর উত্তোলন পরিচালনা এবং এতে একাধিপত্য ছিল মুসলমান অভিজাতদের। অন্য আরেকটি বিশাল আয়ের উৎস ছিল পুলিস [আইন শৃঙ্খলা] এবং পুলিসের কর্মকর্তারা ছিল মুসলমান। আইনের আদালতগুলো ছিল বিশাল আয়ের তৃতীয় উৎস এবং এতে মুসলমানদের ছিল একাধিপত্য। সর্বোপরি, সেখানে ছিল সেনাবাহিনী, যেটি এমন একটি সেনাবাহিনী নয় যার অফিসারগণ ছিল তাদের কমিশনের মূল্যের ওপর ব্যাঙ্কের সুদের হারের চেয়ে স্বল্প লভ্যাংশভোগী ভদ্রলোক; বরং সেটি ছিল দিগ্বিজয়ীদের একটি যৌথ সংস্থা যারা সেনা সংগ্রহ করতেন কৃষকদের মধ্য থেকে এবং বেতন সংগ্রহ করতেন সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্র থেকে। একশো সত্তর বছর আগে [১৮৭০ থেকে] বাংলায় কোনো সুজাত মুসলমানের পক্ষে দরিদ্র হওয়া ছিল অসম্ভব প্রায়। বর্তমানে [১৮৭০ সালে] তার পক্ষে বিত্তশালী থাকা প্রায় অসম্ভব।”


মোল্লারা মুসলমানদের অমুসলিমদের ঘৃণা শেখায়। একটা মাত্র বই পড়তে শেখায়। নারীদের পণ্য বানিয়ে রাখে। প্রশ্ন করতে নিষেধ করে। এমনকি নিজেদের মধ্যেও বিভেদ তৈরি করে রাখে। মোল্লাদের টার্গেট থাকে মানুষ নয়, আজ্ঞাবহ মুসলমান বানানো। এই মোল্লারা নির্বোধ, লোভী, বিকৃতমনা এবং ইন্দ্রীয়সর্বস্ব। ১৫০০ বছর ধরে মানু‌ষের খেয়ে, মানু‌ষের পরে, মানুষের নিয়ে এরা মানুষের মনেই অন্ধকারের চাষাবাদ করছে।

অন্যদিকে ইসলামপন্থী বামেরা ইসলামের সমস্ত সন্ত্রাসকে পুঁজিবাদ ও আমেরিকার অস্ত্র বিক্রির ষড়যন্ত্র বলে প্রমাণ করতে সিদ্ধহস্ত। এরা কোরআনের জিহাদি আয়াতের মধ্যেও আমেরিকার ষড়যন্ত্র খুঁজে পায়। সবকিছুই নাকি বুর্জোয়া সমাজ ব্যবস্থার ফলাফল, মালিক শ্রেণীর লোভ। মুসলমান সন্ত্রাসী কর্তৃক শ্রীলঙ্কার গির্জায় বোমা হামলার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সর্বভারতীয় বাম নেত্রী কবিতা কৃষ্ণান টুইটার বার্তায় বলেছিলেন, "এসব বৌদ্ধদের কাজ"। এই মিথ্যাচারের উদ্যেশ্য কি মুসলমানদের প্রতি ভালোবাসা না এদেরকে বোকা বানিয়ে এসব নির্বাচনপন্থীদের দ্বারা ভোটের ধান্ধা করা? বাংলাদেশের জ্ঞানপাপী আহমেদ ছফার যোগ্য উত্তরসূরী ফরহাদ মজহার ও সলিমুল্লাহ খানরা ওসামা বিন লাদেনকে 'কমিউনিস্ট বিপ্লবী' বলে গলা ফাটিয়েছে! এদের গুণমুগ্ধরা ছড়িয়ে আছে সারা বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে। এছাড়া হিন্দু বামেরাও শুধু ভোটের ধান্ধায় মুসলমানদের আরও মুসলমান হতে প্ররোচিত করে। উদ্দেশ্য বোকা করে রাখা, চির প্রতিবন্ধী করে রাখা। বামেরা যখন ধর্মের পক্ষে সাফাই গায়, ধর্ম পালনের অধিকার চায়; তখন স্পষ্টই বুঝা যায় এরা সমাজতন্ত্র তথা সাম্যবাদ কী, সেটাই আসলে জানে না। কিন্তু মুসলমানদের সমর্থন দিয়ে আরও অন্ধকারের অতলে পাঠিয়ে দেয় ঠিকই।

মডারেট মুসলমানরা সবচেয়ে বিপদজনক। এরা ধর্মের তথা ইসলামের অপব্যাখ্যা, ভিন্ন ব্যাখ্যা এবং রংচঙে ব্যাখ্যা দিতে ওস্তাদ। এরা মানুষের স্বভাব ধর্ম মানবতা ও চাপানো ধর্ম রিলিজিয়নকে গুলিয়ে এক করে ফেলে প্রচলিত ধর্মগুলোকে সমর্থন দিয়ে যায়। কেউ একটা উদাহরণ দিয়ে ধর্মের ভয়াবহতা বুঝাতে চাইলে এরা সমস্বরে চিৎকার করবে "এটা সঠিক ব্যাখ্যা না। আসলে কোনো ধর্মই খারাপ না"! 'ছয় বছরের শিশু বিয়ে করা সুন্নত' বললে ওরা বলবে "এসব ইহুদীদের ষড়যন্ত্র"। কোরানের মধ্যে তারা আরেক কোরান আবিষ্কার করেছে, নাম দিয়েছে 'সত্য কোরান'। এরা কবিতা লেখে-

"কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর!
মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর।"

কিন্তু এরাই আবার বাচ্চাকে নামাজ পড়ার জন্য পেটাবে। এরা গলা ফাটিয়ে ফেলবে, সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম নেই। অথচ সন্ত্রাসীরাই বলছে, আমরা ধর্মীয় কারণে খুন করেছি। এরা বলবে "ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান, আমরা সকলে মিলেই ঈশ্বর"। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে ঈশ্বরকে খুঁজতে জুমার নামাজে হাজির হবে। এদের জীবনাচরণের সাথে এদের কবিতার কোনো মিল নেই! এরা প্রত্যেকে মোল্লাদের পা চাটা। এরাই ধর্মের ইতরামিগুলো বিভিন্ন কৌশলে ঢেকে রেখে ধর্মগুলোকে সুরক্ষা দিচ্ছে, আর মুসলমানদের মানুষ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটবে, এরা যথাসাধ্য ঢেকে রাখবে। আর ঢাকতে না পারলে বলবে "এটা সহি ইসলাম না"!

রাজনৈতিক নেতারা তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ধর্মকে ব্যবহার করে এসেছে চিরকাল। এরা মানুষকে ধর্মান্ধ ও নির্বোধ দেখতে চায়; কারণ এতে তাদের ক্ষমতা, শোষণ, নিপীড়ন ও দুর্নীতি যায়েজ করতে সহজ হয়। যেহেতু ইসলাম বেশি আগ্রাসী ধর্ম; তাই তারা টার্গেট করে মুসলমানদের অনুভূতিরই সেবা করে। নারী নেতারা আরও বেশি, কারণ এরা জানে ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম। এরা জানে মুসলিমরা তাদের অন্ধত্বের সাপোর্ট পেলে খুশি হয়, আর এরাও সেই সুযোগটাই নেয়। দুনিয়াজুড়ে রাজনৈতিক নেতারা ধর্মকে তাদের রাজনীতির হাতিয়ার বানিয়েছে। এতে বিভ্রান্ত হচ্ছে আর পিছিয়ে যাচ্ছে নির্বোধ ধার্মিকরা, বিশেষ করে মুসলমানরা।

Comments

Popular posts from this blog

শিবিরনামা [পর্ব-এক]

পশ্চিমাদের পুতুল সরকার [পর্ব-এক]

দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-এক]