দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-আট]

 

হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে এটাই 'দেশীয়' সংস্কৃতি [মুসলিমদের কাছে 'মুসলিম' সংস্কৃতি]

কাঠমোল্লাদের 'পাগল' সাজিয়ে বারবার ছেড়ে দেয়া

রুচি বিকৃতির শেষ সীমা

এই সম্প্রদায় মাহফিলগুলোতে একদিকে উগ্রতার চূড়ান্ত পর্যায় অতিক্রম করে, আরেকদিকে তাদের নৈতিকতাবোধের নমুনা

একজন শিক্ষিকার দ্বারা এমন অবৈজ্ঞানিক কাজ মানায় কি?

দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মসজিদেও!

তাদের মস্তিষ্কের দৌড়

এদেশে নবীর নামে সাইনবোর্ড লিখে জমি দখলের ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে

😂

এদের দ্বারা সব ধরনের বর্বরতাই সম্ভব

এদের নৈতিকতার দৌড়

নির্যাতিত হওয়ার ভং ধরা সম্প্রদায় যখন হাতে ক্ষমতা পায় 

এদের লক্ষ্যই ছিল মধ্যপন্থী দলগুলোর ছাত্র সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করে রাজনৈতিক ইসলাম ধীরে ধীরে কায়েম করা

শিল্প-সংস্কৃতির অবস্থা

৯১% মুসলিমগণ মেয়েদের এভাবেই রানির মতো রেখেছে। ক্ষমতায় যেই থাকুক না কেন পরিসংখ্যান ১৯-২০ হবেই।


এই দলটার একটা রীতি আছে। কেউ 'বেইমানি' [তাদের ভাষায়] করলে তারা অন্যান্য কর্মীদের দ্বারা ঐ কর্মীকে গণধর্ষণ করায়। খোমেনিপন্থী আর মওদুদীপন্থী উভয়েই এই রীতি অনুসরণ করে। 

আমাদের কালচার-

#বৌ পেটানো 
#মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় বাধা দেয়া 
#নারীদের চাকরি করতে না দেয়া 
#দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া
#কিশোরী নির্যাতনে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হওয়া
#যৌতুকের জন্য মেয়েদের মেরে ফেলা 
#মদ খেয়ে ঘরে ঘরে অশান্তি তৈরি করা 
#মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণ করা 
#রাস্তায়, গলিতে মেয়েদের উত্যক্ত করে পড়াশোনা বন্ধ করা 
#এসিড মেরে মেয়েদের চেহারা বীভৎস বানিয়ে পুরুষত্ব প্রদর্শন 
#রমজানে অসৎ উপায়ে লাভবান হওয়া
#ভেজাল ওষুধ তৈরি করা 
#ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত করা 
#অপ্রয়োজনীয় ওষুধ আর টেস্ট দিয়ে ভুল চিকিৎসা করে পকেট ভর্তি করা 
#দুর্নীতির টাকায় কেনা বড়ো বড়ো গরু, ছাগল কোরবানি করা 
#মসজিদ, মাদ্রাসার ডোনেশনের লক্ষ লক্ষ টাকায় ফুর্তি করা 
#দাখিল, আলিম, ফাজিল, কামিল পরীক্ষার সময় কোরান আর হাদিসের পাতা জুতার নিচে ঢুকিয়ে বা বাথরুমে রেখে নকল করা 
#অমুসলিমদের ফাঁসিয়ে দিতে কোরান পোড়ানো
#একজনের বিরুদ্ধে আরেকজন মামলা করা 
#সমকামী পর্নোগ্রাফি দেখার দিক থেকে বিশ্বে সেরা দশে থাকা 
#প্রতি বছর ধর্ষণের বিশাল রেকর্ড তৈরি করা 
#মা-বাপকে বৃদ্ধ হলে পেটানো 
#পাগল আত্মীয়দের বাড়ি থেকে দূরে ছেড়ে আসা 
#অন্যের কৃষি খেতে আর মাছের পুকুরে বিষ ফেলা 
#চর বা জমি দখলের উদ্দেশ্যে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করা 
#তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গ্রামের অধিবাসীদের দ্বারা জংলীগিরি করা 
#পাহাড়ে, সমুদ্রে, হ্রদে, অরণ্যে আবর্জনার পাহাড় তৈরি করা 
#দেশকে ডাস্টবিনে পরিণত করা 
#সংখ্যালঘুদের উপর বর্বর আচরণ করা 
#বিজ্ঞানবিমুখ, খেলাধুলা বিমুখ হলেও টিকটক এর নষ্টামি সমান তালে চালানো

ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি............................


কোনো নারী দোকান থেকে নিজে প্যাড কিনে আনার সময় শুয়োর শ্রেণীর বাঁকা দৃষ্টি কিংবা নোংরা মন্তব্যের স্বীকার না হলে উনি বিরল সত্তার জীবনযাপন করছেন এই অঞ্চলের দেশগুলোতে! পাশের দেশের সরকারি তথ্য অনুযায়ী স্যানিটারি ন্যাপকিন না পাওয়ার জন্য ২ কোটি ৩০ লক্ষ মেয়েকে স্কুল থেকে বিদায় নিতে হয় প্রতি বছর। এবার বাংলাদেশের অবস্থা দেখা যাক। স্কয়ার কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী ৪০ শতাংশ স্কুল ছাত্রী মাসে অন্তত ৩ দিন পিরিয়ডের সময় স্কুলে উপস্থিত হতে পারে না। গার্মেন্টস কর্মীরা মাসে ৬ দিন কাজে যোগ দিতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিক্স ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮ অনুসারে, দেশের প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে মাত্র ২৯ শতাংশ। ২০১৪ সালে যা ছিল মাত্র ১৪ শতাংশ। ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮ অনুসারে, বেশিরভাগ কিশোরী মেয়ে (৫০ শতাংশ) এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারী (৬৪ শতাংশ) মাসিকের স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার জন্য পুরানো কাপড় ব্যবহার করে। নারীদের (২৯ শতাংশ) তুলনায় কিশোরীদের (৪৩ শতাংশ) মধ্যে নিষ্পত্তিযোগ্য প্যাড ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেশি ছিল। জরিপে দেখা গেছে, পুরানো কাপড় ব্যবহারকারী স্কুলছাত্রীদের মধ্যে কাপড় পরিষ্কার ও শুকানোর অনুমোদিত পদ্ধতি অনুসরণ করে ২০ শতাংশেরও কম। মাত্র ২৩ শতাংশ স্কুলছাত্রীর সাবান এবং পানিসহ উন্নত টয়লেটের অ্যাক্সেস এবং স্কুলে ব্যবহৃত মাসিকের উপকরণগুলো নিষ্পত্তি করার জায়গা রয়েছে। রিপোর্টে আরও দেখা গেছে, ৩০ শতাংশ স্কুলছাত্রী পিরিয়ডের কারণে মাসে গড়ে ২.৫ দিন অনুপস্থিত থাকে।

মত প্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহার এই সম্প্রদায় এভাবেই করে

"I cover my brain also"

এক কথায় প্রকাশ

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমাদের পুতুল সরকার [পর্ব-এক]

পশ্চিমাদের পুতুল সরকার [পর্ব-দুই]

শিবিরনামা [পর্ব-এক]