দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-দশ]
![]() |
নৃতত্ত্ব আমাদের বলে প্রথমদিকে কেউ রিচ্যুয়াল পাত্তা দিতো না। কাল্পনিক কাহিনী আমদানির পর ভয়ে আস্তে আস্তে মানতে শুরু করে একে একে। একাত্তরে মিডল ইস্টকে এভাবে বুঝিয়েছে এরা আমাদের বিরুদ্ধে। |
![]() |
এই সম্প্রদায়ের কাছে বহুত্ববাদের আশা করা অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছু না। এরা ইউরোপে গিয়ে সেখানে শরিয়া শাসন চায়! |
তাদের কাছে জীবিত নারীরা কি অবস্থায় থাকবে তার নমুনা!
![]() |
আদিম যুগের মানসিকতা ধারণকারী সম্প্রদায় |
ইসলামের হিস্ট্রি পড়লে কে কার কি লাগে ঐটা মনে রাখতেই খবর হয়ে যায়। যেমন- আলী একদিকে ফাতেমার চাচা, আরেকদিকে জামাই।
[দক্ষিণ ভারতে একটা নোংরা প্রথা আছে। মামা তার ভাগ্নিকে বিয়ে করে অঞ্চলটিতে]
![]() |
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকা নিম্নবিত্ত নারীদের 'ফকিন্নি' বলার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে এই সমস্ত টাউটদের বেলায় শব্দটা বলুন। |
![]() |
৯১% মুসলমানদের দেশের সারা বছরে সক্রিয় কুকুরেরা |
সে তার বৌকে পিটিয়ে আধা মরা বানিয়েছিল। এফএম রেডিও-তে ভন্ড তান্ত্রিক, কবিরাজদের নিয়ে প্রোগ্রাম চালাতো। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের প্রতিবেদন পর্যন্ত আছে। এই লোকের বাপ উগ্র ইন্ডিয়া বিদ্বেষী তৎকালীন বিডিআর এর সদস্য ছিল যে কিনা আগ বাড়িয়ে বিএসএফ এর সাথে ঝামেলা করতে গিয়ে মরেছিল গুলি খেয়ে।
![]() |
মহান বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার! |
![]() |
নোংরামির চৰ্চা সর্বত্র |
![]() |
ফতোয়া! |
ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ!
পতাকা যখন গণ্ডমূর্খদের হাতে উঠে
![]() |
'শহীদ' কেবল মুসলমানরাই হয়, কথা ক্লিয়ার? |
সরকারি চাকরিজীবী!
৩৭৬ ধারা দণ্ডবিধি অনুসারে ধর্ষণের শাস্তি-
"যদি কেউ ধর্ষণ করে, তার অবশ্যই শাস্তি হবে যা দশ বছরের কারাদণ্ডের সমান হতে পারে এবং জরিমানাও করা হবে যদি না ধর্ষিত নারী তার নিজের স্ত্রী হয় এবং তার বয়স ১২ বছরের বেশী হয়।"
এই ধারা দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পরও এখনো বাতিল হয়নি!
'বিপ্লব' নয়, দেশের মানুষ 'ইসলামি বিপ্লব' চেয়েছে; সেটাই পেয়েছে। এজন্য অসন্তোষ দেখানো বন্ধ করে পূর্ণ শরিয়া শাসন বাস্তবায়নে এদের সহযোগিতা করুন। আপনাদের এই 'ইসলামি বিপ্লব' কায়েমের অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ মোল্লাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারলে আপনারাও 'বিপ্লব বিপ্লব' খেলার ভণ্ডামি বর্জন করে সঠিকভাবে 'ইসলামি বিপ্লব' শব্দযুগল উচ্চারণ করুন। ইরানিরা বুঝেছে, সিরিয়ানরা বুঝতে শুরু করেছে, আপনারাও না হয় বুঝবেন শরিয়া শাসন কি জিনিস। সাইকেল চালানো কেউ বই পড়ে শিখতে পারে না, তাকে হাত-ঠ্যাং ছিঁড়েই শিখতে হয়। কেবল কোরান হাদিস পড়ে শরিয়া আইনের প্রেমে পড়া এক জিনিস আর কোনো শরিয়া আইন চালু থাকা দেশে অবস্থান করা আরেক জিনিস।
অশিক্ষা, কুশিক্ষা কিংবা অল্পশিক্ষার কারণে গণতন্ত্র সম্পর্কে বিকৃত ধারণা রয়েছে অনেকের। এদের মধ্যে এমনকি পশ্চিমের গণতান্ত্রিক দেশে বাস করা লোকজনও আছে, যারা মনে করে যাচ্ছেতাই বলা ও করাই বুঝি গণতন্ত্রিকতা! যাচ্ছেতাই বলা ও করার সাথে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। যাচ্ছেতাই বলা ও করা হয়তো কোনো কোনো নৈরাষ্ট্রবাদ অনুমোদন করে, যাকে ইংরেজীতে এ্যানার্কিজম বলা হয়। যে আদর্শবাদ মানুষের তৈরী শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাস না করে মৌলবাদীদের দাবী মতো প্রাচীন রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ঐশ্বরিক ও পবিত্র মনে করে তা দেশ ও জাতির ওপর আরোপ করতে চায়, তা সংজ্ঞানুসারে গণতন্ত্র বিরোধী। আর গণতান্ত্রিক হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে এই প্রবণতার বিরুদ্ধে লড়া। ঐশ্বরিক ও পবিত্র দাবী করা শাসনতন্ত্র কিংবা ঈশ্বরের আশির্বাদপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও তার বংশের লোকদের পূর্ব নির্ধারিত ও আরোপিত শাসনকে প্রত্যাখ্যান ও পরাস্ত করা ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। গণতন্ত্রকে জন্ম নিতে হয় এসব পূর্বনির্ধারিত ও আরোপিত শাসনের কবরের ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী নিলেই যেমন প্রকৃত শিক্ষিত হওয়া যায় না, একইভাবে গণতন্ত্রিক দেশে বাস করে গণতন্ত্রের সুবিধাদি ভোগ করলেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অর্জন করা যায় না। গণতন্ত্র হচ্ছে একটি সেক্যুলার দার্শনিক ধারণা, যেখানে ধর্মীয় শাসনতন্ত্রের কোনো স্থান নেই।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড এর 'মেধাবীরা' এমনকি পাহাড়ি ও অমুসলিম নারী শিক্ষিকাদেরও বোরখা-হিজাব-নেকাব পরিধানের নির্দেশ দিয়েছিল!
Comments