Posts

ওসমানীয়দের স্বরূপ [পর্ব-এক]

Image
  'দেলি' নামে ওসমানীয়দের বাহিনী ছিল যারা অধিকাংশই ছিল ভয়াবহ দাগী আসামী। এদের পুরো শরীর পশমে ঢাকা থাকতো আর মাথা থেকে পা পর্যন্ত ট্যাটু আঁকা থাকতো। https://islamqa.info/en/answers/20283/are-tattoos-haram-in-islam এই আসামীদের দ্বারা গঠিত বাহিনীকে যুদ্ধ করাতে বেহেস্ত এর প্রাসাদের লোভ দেখানো হতো নিয়মিত। এরা অমুসলিম দেশগুলোতে আক্রমণের পর শত্রুদের মাথা বিচ্ছিন্ন করতো হত্যার সময়।  ওসমানীয়রা রাজজ্যোতিষী রাখতো বেতন দিয়ে, যাদের কাজ ছিল শুভলগ্ন দেখে যুদ্ধের দিন ঠিক করা। https://islamqa.info/en/answers/2538/are-zodiac-signs-haram তুর্কি নাবিকরা জাহাজে ওঠার আগে পুরানো মাদুলি ফেলে দিয়ে নতুন মাদুলি পড়তো 'দুর্ভাগ্য' দূর করার উদ্দেশ্যে। https://islamqa.info/en/answers/10543/ruling-on-wearing-amulets-for-protection ওসমানীয়রা জিপসি'দের ঘোড়ায় চড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নিজেরা ঘোড়ায় চড়তো বলে। অথচ এরাও মুসলিম ছিল। https://en.m.wikipedia.org/wiki/Romani_people_in_Turkey ওসমানীয়দের আমলে তাদের সাম্রাজ্যের সেরা রুটিগুলো বানাতো গ্রিকরা। অথচ হিংসুটে মুসলিমরা গুজব ছড়িয়ে দিয়েছিল গ্রিকরা রুটি...

ক্লারা সেৎকিন

Image
  ক্লারা সেৎকিন জার্মান সমাজের শ্রেণি বৈষম্য ও পুঁজিতন্ত্র কর্তৃক শ্রমিক শোষণের ব্যবস্থা উচ্ছেদ তথা শ্রমিক শ্রেণির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মার্কসবাদী দর্শন গ্রহণ করেছিলেন। মার্কসবাদী দর্শন অনুযায়ী সমাজের আমুল রূপান্তর ঘটাতে হলে পশ্চাৎপদ নারীদের রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তুলতে হবে এবং নারীজাতি তার শৃঙ্খল ভেঙ্গে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতির সামগ্রিক মুক্তি সম্ভব নয়- এ শিক্ষায় তিনি নিজেকে সুদৃঢ়ভাবে গড়ে তোলেন এবং নারীদের মাঝে ব্যাপকভাবে কাজ করেন। ক্লারা সেৎকিন নারীদের সমস্যা নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি করেন। তিনি বিশ্লেষণ করে দেখান জার্মান নারীরা কিভাবে পুঁজিবাদের শ্রম শোষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার, পুঁজিবাদ কিভাবে নারীকে ভোগ্যপণ্যে পরিণত করেছে। “গৃহে স্বামী বুর্জোয়া ও স্ত্রী সর্বহারা শ্রেণি গঠন করে”- এঙ্গেলসের এই বিখ্যাত উক্তিকে তিনি জোরালোভাবে আঁকড়ে ধরে তার ব্যাখ্যা করেন এবং এটা যে শুধু জার্মান নারীদের সমস্যা নয়, শ্রেণি বিভক্ত সমস্ত দেশের নারীদের সমস্যা তার বিশদ ব্যাখ্যা করেন। ক্লারা সেৎকিন ১৮৯৬ সালে অনুষ্ঠিত পার্টি কংগ্রেসে নারীদের সমস্যার উপর দীর্ঘ বক্তৃতা দেন। কংগ্রেসে প্রদত্ত বক্তৃতায় তিনি...

সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নারী

Image
  “শ্রমিক শাসিত সরকার, কমিউনিস্ট পার্টি ও সংঘগুলো নরনারীর সেকেলে ধারণাগুলো দূর করার জন্য, অসাম্যবাদী মনস্তত্ত্বকে বিনাশ করার জন্য কোনও রকম কসুর করছে না। আইনের দিক থেকে অবশ্যই পুরুষ এবং নারীর মধ্যে সম্পূর্ণ সাম্য রয়েছে। এই সাম্যকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য আমরা মেয়েদের নিয়ে আসছি অর্থনীতি, আইনসভা ও সরকারের মধ্যে। যাতে তারা কাজকর্মের শক্তি আর সামাজিক শক্তি বাড়াতে পারে সেই জন্যেই সমস্ত শিক্ষায়তনে প্রবেশের পথ তাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আমরা প্রতিষ্ঠা করছি যৌথ রান্নাঘর, সাধারণের খাবারঘর, শিশুদের রাখার জায়গা, শিশুদের খেলাঘর, ছেলে-মেয়েদের বাড়ি, সব রকম শিক্ষালয়। এক কথায়, স্বতন্ত্র সংসারের অর্থনৈতিক ও শিক্ষামূলক কাজকে সামাজিক কাজে পরিণত করার চেষ্টায় আমরা সত্যিই উঠেপড়ে লেগেছি। তার দরুন নারীরা মুক্তি পাবে বহু দিনকার পুরনো ঘর-সংসারের একঘেঁয়ে কাজ থেকে এবং পুরুষের আধিপত্য থেকে। ফলে নারীরা নিজেদের প্রতিভা এবং রুচিকে পুরোমাত্রায় কাজে লাগাতে পারবে।শ্রমজীবী নারী আন্দোলনের প্রধান কাজ হলো নারীদের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমতার জন্য সংগ্রাম করা, এবং তা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক সমতা নয়। মূল বিষয়টা হলো নারী...

ফিলিপাইনের অগ্নিকন্যারা

Image
  স্পেনীয় ও মার্কিন উপনিবেশ, জাপানি ফ্যাসিস্ট আক্রমণ এবং স্থানীয় সামন্ত শোষণের বিরুদ্ধে ফিলিপিনো নারীদের অস্ত্র হাতে নেয়ার ইতিহাস গৌরবময়। পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা যুদ্ধ করেছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে অনেক। স্পেনীয় উপনিবেশ বিরোধী সংগ্রামে গ্যাবরিয়েলা জীবন দেয়। তার সেই আত্মত্যাগ আজো ফিলিপিনো নারীদের বিপ্লবী সংগ্রামে উৎসাহিত করে।  https://en.m.wikipedia.org/wiki/Gabriela_Silang কিন্তু জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবের সশস্ত্র বাহিনীতে নারীরা যে ক্রমবর্ধিতহারে যোগ দিচ্ছে ফিলিপাইনের ইতিহাসে তার নজির নেই। বিপ্লবের সৈনিক হিসেবে নারীরা এখন গেরিলা ঘাঁটিতে, গ্রামে রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠায়, সংগঠনের দায়িত্বপূর্ণ পদে, নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।  নারী গেরিলা ও কৃষক নারীদের দেখা যায় সভায়। অফিস-আদালত ও মিলিটারি ক্যাম্পমুখী মিছিলে। নারী শ্রমিকরা যোগ দেয় সড়ক অবরোধ করতে। র‌্যালির অগ্রভাগে থাকে নারীরা। তারা সরকারি নির্মূল বাহিনীর বিরুদ্ধে বাড়ির চারপাশে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। সংখ্যালঘু নারীরা পিঠে শিশু সন্তান নিয়ে সরকারি ও বহুজাতিক উন্নয়ন প্রকল্পের স্বার্...

নারী

Image
  রেভারেন্ড জেমস ফরডাইস তার 'Sermons to Young Women' বইটিতে নারীদের প্রতি যেসব আপত্তিকর কথা লিখেছিলেন, তার জবাবে মেরি ওলস্টোনক্র্যাফ্ট তার 'A vindication of the rights of women' বইটিতে লিখেছেন- "এটিকে দীর্ঘদিন ধরে বিশেষভাবে মহিলাদের গ্রন্থাগারের অংশ করে রাখা হয়েছে। যারা তার উপদেশাবলীর লক্ষ্য ছিলেন সেই যুবতী নারীদের ফরডাইস 'সেইসব পুরুষালি নারীদের' বিরুদ্ধে সাবধান করে দিয়েছিলেন, 'যারা পুরুষদের রাজ্যে ভাগ বসানোর জন্য ওকালতি করছে।' পুরুষদের রাজ্য বলতে তিনি কেবলমাত্র 'যুদ্ধবিগ্রহের' কথাই বলেননি; ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, শক্তি ও দক্ষতার অনুশীলন, বিমূর্ত দর্শন, দুরূহ বিজ্ঞান সবই এর অন্তর্গত।" https://en.m.wikipedia.org/wiki/James_Fordyce .......................................................................... মেরি উলস্টোনক্রাফট তার 'এ ভিন্ডিকেশন অফ দ্য রাইটস অফ উইমেন' বইটিতে পরগাছা স্বভাবের নারীদের প্রতি টিটকারি দিয়েছেন এভাবে-   "মেয়েদের সমান অধিকার দাও, দেখবে পুরুষরা যা পারে তারাও সেটা করে দেখাতে পারবে। হয় সে বন্ধনমুক্ত হয়ে আরও...

কমরেড চিয়াং চিং

Image
  পশ্চাৎপদ সামন্ততান্ত্রিক চীনা কৃষক নারীরা যখন শোষণ-নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে পুনর্জন্মে কুকুর হয়ে জন্মগ্রহণ করতে চাইতো সেই সমাজে সানতু প্রদেশের এক শ্রমজীবী পরিবারে ১৯১৪ সালে চিয়াং চিং জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে একটি নাট্যদলে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে রাজধানী পিকিং চলে আসেন। ১৯৩১ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা পরিচালিত নাট্যদলে যোগদান করেন এবং ১৯৩৩ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন।  চিয়াং চিং-এর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তেমন না থাকলেও এসময় তিনি মার্কসবাদ-লেনিনবাদের ওপর প্রচুর অধ্যয়ন করেন। লাইব্রেরিতে চাকরিরত অবস্থায় সমাজবিজ্ঞানের উপর ব্যাপক পড়াশোনা ও গবেষণা করেন। ১৯৩৩ সালের বসন্তে তাকে সাংহাইতে নিয়োগ করা হলো, যখন মাও লাইনের প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী ওয়াং মিং ও তার শহরকেন্দ্রিক লাইনের প্রভাবে পার্টি কাঠামো ধ্বংসপ্রায় এবং সুবিধাবাদ ছড়িয়ে পড়েছিল।  https://en.m.wikipedia.org/wiki/Wang_Ming চিয়াং চিং সাংহাইতে কাজ শুরু করেন মঞ্চ অভিনেত্রী হিসাবে। এখানে তিনি কয়েকটি প্রগতিশীল নাটক মঞ্চস্থ করেন। এতে দরিদ্র শ্রেণির জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। একইসাথে তিনি নারী শ্রমিকদের মাঝেও কা...

পাকিস্তান ও ইজরায়েল

Image
  উইকিলিকস এর গোপন নথি অনুযায়ী ২০০৮ সালের গোড়ার দিকে পাকিস্তানের আইএসআই গোপনে ইজরায়েলের মোসাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছিল। আইএসআই মোসাদকে ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসীদের দ্বারা সম্ভাব্য বড় ধরনের হামলার ইঙ্গিত দিয়ে তথ্য দিয়েছিল, যেখানে ইজরায়েলি নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে। ২৬ নভেম্বর, ২০০৮ সালে এই সন্ত্রাসী হামলা লস্কর-ই-তৈয়বা দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল যারা অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে 'নারিমান হাউস' নামে পরিচিত ইহুদি কেন্দ্রে আক্রমণ করেছিল। এই হামলার পর পাকিস্তানি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ সুজা পাশা ইজরায়েলের মোসাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছিলেন। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় ইজরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ব্লকের অংশ ছিল, যেখানে জোটনিরপেক্ষ পাকিস্তান মিত্র ছিল তাদের। আমেরিকার মিত্র পাকিস্তান এবং ইজরায়েল সোভিয়েতদের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগান মুজাহিদিনদের সমর্থনে পাকিস্তানে অস্ত্র এবং তহবিল সরবরাহ করেছিল। ইজরায়েল পূর্ববর্তী সংঘাতগুলোর সময় ফিলিস্তিন এবং অন্যান্য আরব গোষ্ঠী (যারা সকলেই সোভিয়েত ইউন...

দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-নয়]

Image
  ইসলাম এবং মুসলিমরা নারীদের দিয়েছে অধিকার! খেলাফত প্রতিষ্ঠার সৈনিকরা সুস্থ বিনোদন সহ্য করতে না পারা অসুস্থরা বিশ্বের সবচেয়ে গুন্ডা সম্প্রদায় তাহারা বিশ্বের সবচেয়ে অসহনশীল সম্প্রদায় ১৩৪কে সদস্য! দানবাক্স নিয়ে লুটপাট তাদের চাহিদা এসব দিক থেকে এরাই প্রথমে একুশ শতকে বহু বিবাহকে বৈধতা দেয়া বর্বররা চলুক জোকারি সহি মুমিনীয় মানসিকতা এই মোল্লার অনুসারী এদেশে লাখ লাখ হায়রে অভাগা দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে অক্ষম সম্প্রদায় যখন নৃশংসতায় ওস্তাদ 'বিসমিল্লাহ করপোরেশন' পরিপূর্ণ শরিয়া বাস্তবায়িত হলে এই মেয়েদের উপর কি নেমে আসতো সেটা কিছুদিন পরই টের পাওয়া যাবে আমাদের গৌরব যখন সত্যিটা উপলব্ধি করেন প্রতিটা সেক্টরে তাহারা থাকলে এমনটাই ঘটবে

দেশ যখন ইসলামাইজেশন এর পথে [পর্ব-আট]

Image
  হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে এটাই 'দেশীয়' সংস্কৃতি [মুসলিমদের কাছে 'মুসলিম' সংস্কৃতি] কাঠমোল্লাদের 'পাগল' সাজিয়ে বারবার ছেড়ে দেয়া রুচি বিকৃতির শেষ সীমা এই সম্প্রদায় মাহফিলগুলোতে একদিকে উগ্রতার চূড়ান্ত পর্যায় অতিক্রম করে, আরেকদিকে তাদের নৈতিকতাবোধের নমুনা একজন শিক্ষিকার দ্বারা এমন অবৈজ্ঞানিক কাজ মানায় কি? দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মসজিদেও! তাদের মস্তিষ্কের দৌড় এদেশে নবীর নামে সাইনবোর্ড লিখে জমি দখলের ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে 😂 এদের দ্বারা সব ধরনের বর্বরতাই সম্ভব এদের নৈতিকতার দৌড় নির্যাতিত হওয়ার ভং ধরা সম্প্রদায় যখন হাতে ক্ষমতা পায়  এদের লক্ষ্যই ছিল মধ্যপন্থী দলগুলোর ছাত্র সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করে রাজনৈতিক ইসলাম ধীরে ধীরে কায়েম করা শিল্প-সংস্কৃতির অবস্থা ৯১% মুসলিমগণ মেয়েদের এভাবেই রানির মতো রেখেছে। ক্ষমতায় যেই থাকুক না কেন পরিসংখ্যান ১৯-২০ হবেই। এই দলটার একটা রীতি আছে। কেউ 'বেইমানি' [তাদের ভাষায়] করলে তারা অন্যান্য কর্মীদের দ্বারা ঐ কর্মীকে গণধর্ষণ করায়। খোমেনিপন্থী আর মওদুদীপন্থী উভয়েই এই রীতি অনুসরণ করে।  আমাদের কালচার- #বৌ পেটানো  #মেয়েদের উচ্চ শিক্...